ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
- (১)কেউ নিজ মা,বোন ও আত্মীয়-স্বজনকে দ্বীনের রাস্তায় নিয়ে আসার যথাসাধ্য চেষ্ট প্রচেষ্টা করার পরও যদি মাতপিতা দ্বীনের রাস্তায় না আসে,তাহলে এক্ষেত্রে ছেলের সন্তান দায়ুস হবে না।
ﻭَﻣَﺎ ﺃُﻣِﺮُﻭﺍ ﺇِﻟَّﺎ ﻟِﻴَﻌْﺒُﺪُﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻣُﺨْﻠِﺼِﻴﻦَ ﻟَﻪُ ﺍﻟﺪِّﻳﻦَ ﺣُﻨَﻔَﺎﺀ ﻭَﻳُﻘِﻴﻤُﻮﺍ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ﻭَﻳُﺆْﺗُﻮﺍ ﺍﻟﺰَّﻛَﺎﺓَ ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺩِﻳﻦُ ﺍﻟْﻘَﻴِّﻤَﺔِ
তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর এবাদত করবে, নামায কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে। এটাই সঠিক ধর্ম।
قَالَ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -:انما الأعمال بالنيات ،
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, আ’মল নিয়তের উপর নির্ভরশীল।
وَقَالَ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: «لَا عَمَل َلِمَنْ لَا نِيَّةَ لَ
রাসুৃলুল্লাহ সাঃ বলেন, যার নিয়ত নেই, আমল গ্রহণযোগ্য নয়
নিয়ত হচ্ছে, অন্তরের বিষয়।অন্তর দিয়ে নিয়ত করতে হয়।শুধুমাত্র মূখে উচ্ছারণ করাকে জরুরী মনে করা বিদআত। তবে অন্তরে যা রয়েছে সেটাকে জবান দ্বারা উচ্ছারণ করা যাবে। এবং অন্তরের ইচ্ছাকে জবান দ্বারা উচ্ছারণ করা সুন্নাত।
وَاعْلَمْ أَنَّ النِّيَّةَ لَا تَتَأَدَّى بِاللِّسَانِ؛ لِأَنَّهَا إرَادَةٌ وَالْإِرَادَةُ عَمَلُ الْقَلْبِ لَا عَمَلُ اللِّسَانِ؛ لِأَنَّ عَمَلَ اللِّسَانِ يُسَمَّى كَلَامًا لَا إرَادَةً إلَّا أَنَّ الذِّكْرَ بِاللِّسَانِ مَعَ عَمَلِ الْقَلْبِ سُنَّةٌ فَالْأَوْلَى أَنْ يَشْغَلَ قَلْبَهُ بِالنِّيَّةِ وَلِسَانَهُ بِالذِّكْرِ
প্রকাশ থাকে যে,নিয়ত জবান দ্বারা আদায় হয় না।কেননা নিয়ত হল, ইরাদা বা ইচ্ছার নাম।আর ইরাদা বা ইচ্ছা অন্তরের বিষয়।সেটা জবানের বিষয় না।কেননা জবান দ্বারা যা উচ্ছারিত হয়,সেটাকে 'কালাম' বলা হয়,ইরাদা বলা হয় না।হ্যা অন্তরের ইচ্ছার সাথে জবান দ্বারা উচ্ছারণ করা সুন্নাত।সুতরাং উত্তম হল,অন্তরে কাজের নিয়ত রাখা এবং সাথে সাথে জবান দ্বারা সেই নিয়তকে উচ্ছারণ করা।(আল জাওহারাতুন-নাইয়্যিরাহ-১/৪৮)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অর্থ সহ আরবী তে মুখস্থ থাকলে ভালো।আরবীতেই বলবেন।তবে অর্থ জানা না থাকলে, মনের কথাকে বাংলাতেই জবান দ্বারা উচ্ছারণ করে নিয়ত করে নিবেন।জাযাকুমুল্লাহ।বিস্তারিত জানুন-
1254
- (৩) 4461 নং ফাতাওয়ায় আমরা লিখেছি......প্রস্রাব পায়খানা করার পর শুধুমাত্র ঢিলা বা শুধুমাত্র পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা যাবে।এমনকি পানি থাকাবস্থায়ও ঢিলা ব্যবহার করা যাবে।এবং ঢিলা ও পানি উভয়টিকে একসাথেও ব্যবহার করা যাবে।শুধুমাত্র ঢিলা ব্যবহার করে পবিত্রতা অর্জন করা সম্পর্কে যেমন হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( من توضأ فليستنثر ، ومن استجمر فليوتر )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি অজু করতে যাবে সে যেন তিনবার নাকে পানি দেয়ার পর নাককে জেড়ে পরিস্কার করে।আর যে ব্যক্তি ঢিলা ব্যবহার করতে যাবে সে যেন বেজোড় সংখ্যার ঢিলা ব্যবহার করে।(সহীহ বোখারী-১৫৯,সহীহ মুসলিম-২৩৭) বিস্তারিত জানুন-
2151 ঢেলার স্থানে টিস্যু ব্যবহার করা যাবে।ইহা দ্বারা ঢেলা ব্যবহারের সুন্নাহ আদায় হয়ে যাবে।
- (৪)সর্বশ্রেষ্ঠ বলতে সবার উপর ক্ষমতাবান।সুতরাং শিরিক হবে না।
- (৫)নামায হয়ে যাবে।
- (৬)শিরিক হবে না।
- (৭)এমন খাবার খাওয়ার পর নিজ পকেট থেকে ঐ পরিমাণ মূল্য সদকাহ করে দিলেই হবে।তারপর তাওবাহ ও ইবাদত কবুল হবে, ইনশাআল্লাহ।