আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
191 views
in সালাত(Prayer) by (13 points)
closed by
অনেক সময় দেখা যায় জামায়াতে নামাজ পরার ক্ষেত্রে ইমাম রুকুতে যাওয়ার বা রুকু হতে দাঁড়ানো বা সেজদাহ্ থেকে ওঠার সময় .......
আগেই তাকবির না দিয়ে কিছুটা অগ্রসর হয়ে বা সম্পূর্ণভাবে দাঁড়িয়ে বা রুকু বা সেজদাহ্ করে...
তারপর তাকবির দেন....

যেমন : রুকু থেকে দাঁড়িনোর সময় আগেই তাকবির না দিয়ে.... মাথা কিছুটা তুলে বা সম্পূর্ণভাবে দাঁড়িয়ে.... তারপর তাকবির দেওয়া।
---------------------------------------------

এখন,
একজন মুক্তাদি, ইমামকে রুকু অবস্থায় পেলো...
সে জামায়াতে শরিক হয়ে তাকবির বলে রুকুতে যেতে যেতে......
ইমাম সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে গেল.... (কিন্তু এখোনো ইমাম তাকবির দেন নি)
এখানে, মুক্তাদি যখন রুকু করলেন তখন ইমাম রুকু অবস্থায় ছিলেন না বরং দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন কিন্তু তাকবির দেন নি। অর্থাৎ, মুক্তাদি ইমামের দাঁড়ানোর পর এবং তার তাকবির দেওয়ার মধ্যবর্তি সময়ে রুকু করেছেন।
(১) এমন অবস্থার ক্ষেত্রে কি মাসবুকের ন্যায় নামাজ পরা উচিত? নাকি মুক্তাদিটি সম্পূর্ণ নামাজই পেয়েছেন?
(২) মাসবুকের ক্ষেত্রে ইমামের সাথে নামাজের যে অংশ পাওয়া যায় তার প্রত্যেক বৈঠকে কি শুধু তাশাহুদ পরলেই চলবে?
(৩) মাসবুকের জামায়াতে শরিক হওয়ার নিয়ম কি?
(৪) মাসবুকের ক্ষেত্রে কি শুধু 'আল্লাহু আকবার' তাকবির দিয়েই নামাজে শরিক হওয়া যাবে?
(৫) অনেকে ইমামকে সেজদাহ্য় অথবা রুকুতে পেয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন, এরকম শুধু শুধু দাঁড়িয়ে থাকা উচিত নাকি ইমামকে যে অবস্থায় পাওয়া যাবে সেখানেই জামায়াতে শরিক হওয়া উচিত?
(৬) কোনো মুক্তাদি জামায়াতের শেষ বৈঠকে মাসবুক হিসেবে শরিক হওয়ার ক্ষেত্রে, ১ম বৈঠকের পরের দুই রাকাআতে সুরা ফাতেহা এর সাথে অন্য সূরা মিলিয়ে পড়বে নাকি শুধু সূরা ফাতেহা পড়বে?
closed

1 Answer

+1 vote
by (573,870 points)
selected by
 
Best answer
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শরীয়তের বিধান হলো সোজা হয়ে দাড়িয়ে মুখে তাকবিরে তাহরিমা বলে তারপর রুকুতে গিয়ে ইমামকে সামান্য সময়ের জন্য পেলেই তবে সে উক্ত রাকাত পাবে।
নতুবা তাকে উক্ত রাকাত পায়নি বলেই গন্য করা হবে।
এখানে ইমামকে এক তাসবীহ পরিমাণ পাওয়া জরুরি নয়। 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال من أدرك ركعة من الصلاة فقد أدركها قبل أن يقيم الإمام صلبه

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি নামাযের রুকু পেয়ে যায় ইমাম তার পিঠ সোজা করার পূর্বে, সে ব্যক্তি উক্ত রাকাত পেয়ে গেল। 
{সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-২৪০৮, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৩২৯, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-৪৫, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২০৬৯৩, নসবুর রায়াহ, হাদীস নং-৩২৭}

বিস্তারিত জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
যেহেতু এক্ষেত্রে রুকু থেকে উঠে ইমাম সাহেব পিঠ সোজা করেছেন,তাই এমন অবস্থার ক্ষেত্রে মাসবুকের ন্যায় তাকে সেই রাকাত নামাজ পড়া উচিত।

(০২)
হ্যাঁ, বৈঠকে তাশাহুদ পড়লেই চলবে।

(০৩)
মাসবুকের নামাজের নিয়ম সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 

(০৪)
হ্যাঁ।

(০৫)
ইমামকে যে অবস্থায় পাওয়া যাবে সেখানেই জামায়াতে শরিক হওয়া উচিত।

(০৬)
ইমামের নামাজ শেষ হওয়ার পর নিজের নামাজ পূর্ণ করার জন্য উঠে মাসবুক প্রথম দুই রাকাআতে সুরা ফাতেহা এর সাথে অন্য সূরা মিলিয়ে পড়বে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 3,980 views
0 votes
1 answer 239 views
...