অনেক সময় দেখা যায় জামায়াতে নামাজ পরার ক্ষেত্রে ইমাম রুকুতে যাওয়ার বা রুকু হতে দাঁড়ানো বা সেজদাহ্ থেকে ওঠার সময় .......
আগেই তাকবির না দিয়ে কিছুটা অগ্রসর হয়ে বা সম্পূর্ণভাবে দাঁড়িয়ে বা রুকু বা সেজদাহ্ করে...
তারপর তাকবির দেন....
যেমন : রুকু থেকে দাঁড়িনোর সময় আগেই তাকবির না দিয়ে.... মাথা কিছুটা তুলে বা সম্পূর্ণভাবে দাঁড়িয়ে.... তারপর তাকবির দেওয়া।
---------------------------------------------
এখন,
একজন মুক্তাদি, ইমামকে রুকু অবস্থায় পেলো...
সে জামায়াতে শরিক হয়ে তাকবির বলে রুকুতে যেতে যেতে......
ইমাম সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে গেল.... (কিন্তু এখোনো ইমাম তাকবির দেন নি)
এখানে, মুক্তাদি যখন রুকু করলেন তখন ইমাম রুকু অবস্থায় ছিলেন না বরং দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন কিন্তু তাকবির দেন নি। অর্থাৎ, মুক্তাদি ইমামের দাঁড়ানোর পর এবং তার তাকবির দেওয়ার মধ্যবর্তি সময়ে রুকু করেছেন।
(১) এমন অবস্থার ক্ষেত্রে কি মাসবুকের ন্যায় নামাজ পরা উচিত? নাকি মুক্তাদিটি সম্পূর্ণ নামাজই পেয়েছেন?
(২) মাসবুকের ক্ষেত্রে ইমামের সাথে নামাজের যে অংশ পাওয়া যায় তার প্রত্যেক বৈঠকে কি শুধু তাশাহুদ পরলেই চলবে?
(৩) মাসবুকের জামায়াতে শরিক হওয়ার নিয়ম কি?
(৪) মাসবুকের ক্ষেত্রে কি শুধু 'আল্লাহু আকবার' তাকবির দিয়েই নামাজে শরিক হওয়া যাবে?
(৫) অনেকে ইমামকে সেজদাহ্য় অথবা রুকুতে পেয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন, এরকম শুধু শুধু দাঁড়িয়ে থাকা উচিত নাকি ইমামকে যে অবস্থায় পাওয়া যাবে সেখানেই জামায়াতে শরিক হওয়া উচিত?
(৬) কোনো মুক্তাদি জামায়াতের শেষ বৈঠকে মাসবুক হিসেবে শরিক হওয়ার ক্ষেত্রে, ১ম বৈঠকের পরের দুই রাকাআতে সুরা ফাতেহা এর সাথে অন্য সূরা মিলিয়ে পড়বে নাকি শুধু সূরা ফাতেহা পড়বে?