আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
77 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (54 points)
আসসালামু আলাইকুম।   আমি একদিন মনে মনে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে চিন্তা করতেছিলাম।  তখন আমার মনে হয় বা আমার মনের মধ্যে চিন্তা হয় যে মানুষ তার মনের নিয়ন্ত্রণ কারী।     এই কথা  আমার  মনে হওয়ার পর বা   মনে মনে বলার পর আমার মনে হয় যে, আল্লাহ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন।      তখন আমি ইস্তিগফার পড়ি। তারপর আমার মনে হয় যে  মানুষ প্রবৃ ওির অনুসরণ করে পাপ করে থাকে।    আল্লাহ মানুষকে বিবেক বুদ্ধি দিয়েছে। সে ভালো মন্দ বোঝে।     আল্লাহ যদি মনের নিয়ন্ত্রণ কারী হয়   তাহলে তো মানুষ পাপ করলে তার কোন দোষ থাকবে না।  (আমি ইউটিউবে একটি ভিডিও তে দেখেছিলাম  যে আল্লাহর হুকুম ছাড়া গাছের এক্টি পাতাও নড়ে না এই কথা বলা কুফরি। কারণ আল্লাহ তো পাপ করতে নিষেধ করেছেন।         বলতে আল্লাহর বিনা ইচ্ছায় গাছের পাতা ন ড়েনা।)    তখন উপোরক্ত ভিডিওর কথা আমার মনে হয় হয়     এবং আমি আবার ইস্তিগফার পড়ি এই কথা মনে করে যে,     আমার ওভাবে মনে মনে বলা বা মনে মনে ভাবা ভুল হয়েছে।                 
১.আমার ওভাবে মনে মনে বলার কারনে বা মনে মনে ভাবার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?

২. উপরের প্রশ্নের বিবরন অনুযায়ী মনের নিয়ন্ত্রণ কারী কোন কথাটা সঠিক হবে?

৩. আমার মনে এরকম প্রশ্ন জাগার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

৪.উপরের বিবরন অনুযায়ী কেউ যদি এগুলো না জানে তাহলে কি তার ঈমানের  কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (708,240 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রাযি থেকে বর্ণিত,
أخرجه أبو نعيم في "حلية الأولياء" (6/66) ، وأبو القاسم التميمي في "الحجة في بيان المحجة" ، وقوام السنة في "الترغيب والترهيب" (673) ، جميعا من طريق عبد الجليل بن عطية القيسي ، قال ثنا شهر بن حوشب ، عن عبد الله بن سلام -رضي الله عنه- قال: خَرَجَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى نَاسٍ مِنْ أَصْحَابِهِ وَهُمْ يَتَفَكَّرُونَ فِي خَلْقِ اللهِ ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:" فِيمَ تَتَفَكَّرُون " ، قَالُوا: نَتَفَكَّرُ فِي اللهِ قَالَ:" لَا تُفَكِّرُوا فِي اللهِ ، وَتَفَكَّرُوا فِي خَلْقِ اللهِ ؛ فَإِنَّ رَبَّنَا خَلَقَ مَلَكًا قَدَمَاهُ فِي الْأَرْضِ السَّابِعَةِ السُّفْلَى ، وَرَأْسُهُ قَدْ جَاوَزَ السَّمَاءَ الْعُلْيَا، مَا بَيْنَ قَدَمَيْهِ إِلَى رُكْبَتَيْهِ مَسِيرَةُ سِتِّمِائَةِ عَامٍ، وَمَا بَيْنَ كَعْبَيْهِ إِلَى أَخْمَصِ قَدَمَيْهِ مَسِيرَةُ سِتِّمِائَةِ عَامٍ، وَالْخَالِقُ أَعْظَمُ مِنَ الْمَخْلُوقِ» .
সারমর্মঃ রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা আল্লাহকে নিয়ে চিন্তা ফিকির করবে না।বরং আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা গবেষণা করবে।(হিলয়াতুল আউলিয়া-৬/৬৬(আত-তারগিব ওয়াত-তারহিব-৬৭৩)

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (تَفَكَّرُوا فِي آلَاءِ اللَّهِ، وَلَا تَفَكَّرُوا فِي اللَّهِ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা আল্লাহর নিয়ামত নিয়ে চিন্তা গবেষনা করো। আল্লাহকে নিয়ে চিন্তা গবেষনা করবে না।(বায়হাক্বী-৯২৭, তাবারানি-১২১১১)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনাকে পরামর্শ দিবো যে, আপনি উপরোক্ত বিষয় নিয়ে গবেষণাকে পরিত্যাগ করে আ'মলের দিকে ব্রতি হবে।

হ্যা, যদি আপনি আকিদা শিক্ষার্থী হন, তাহলে আপনাকে বলছি,
আল্লাহ সবকিছুর নিয়ন্ত্রণকারী, এমনকি মানুষের মনেরও নিয়ন্ত্রণকারী। আবার আল্লাহ মানুষকে স্বাধীনভাবে চিন্তা করারও সুযোগ দিয়েছেন। ভাল মন্দকে গ্রহণ করতঃ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগও মানুষকে দিয়েছে। যখন কোনো মানুষ ভাল বা মন্দ কাজ করার মনস্থ করবে, সাথে সাথেই আল্লাহ সেই কাজের তাওফিক দিয়ে থাকেন।আল্লাহ পক্ষ্য থেকে তাওফিক ব্যতিত কেউ কখনো কোনো ভালো বা মন্দ কাজ করতে পারবে না। মনস্থ করার উপরই মূলত মানুষকে পুরুস্কার বা শাস্তি দেওয়া হবে।

উল্টা পাল্টা প্রশ্ন মনের মধ্যে জাগ্রত হওয়ার কারণে আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। প্রশ্নের জবাব বোধগম্য না হলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...