আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
179 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম। পরীক্ষা সংক্রান্ত অনেক প্রশ্ন থাকলেও আমার পরিস্থিতি একটু অন্য রকম হওয়ায় প্রশ্ন করছি।

আমি এস এস সি পরীক্ষা দিচ্ছি এবার।আমি পরীক্ষায় কখনোই কাউকে জিজ্ঞেস করি না বা কেউ জিজ্ঞেস করলেও বলি না,যেহেতু এটা সঠিক নয়।সম্প্রতি রসায়ন পরীক্ষায় আমি একটি গাণিতিক হিসাব কয়েকবার করেও মিলাতে পারছিলাম না।পরে আমি যথেষ্ট নিশ্চিত হয়ে পড়েছিলাম যে প্রশ্নে ভুল আছে।সাধারণত বোর্ড প্রশ্নে ভুল থাকে না কিন্তু গত গণিত পরীক্ষায় দুইটা ভুল ছিল বলে ভেবেছি এটাতেও ভুল আছে।এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে আমি পরীক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষিকাকে এ বিষয় জানিয়ে বলি যে উনি সবাইকে জিজ্ঞেস করবেন কিনা যে অন্যদের ও একই সমস্যা হচ্ছে কিনা আর প্রশ্ন ভুল কিনা।আমি ভেবেছিলাম সবাই বলবে ভুল।আমি চাইলেই পাশের মেয়েকে জিজ্ঞেস করতে পারতাম কিন্তু পরীক্ষায় সৎ থাকার জন্যে আমি এমন না করে শিক্ষিকাকে বলি।উনি কোনো পদক্ষেপ নেন নি,চুপচাপ চলে গেছেন,যাতে আমি নিজে আরেকটু চেক করি।আমি বসতে গিয়েই পাশের মেয়ে বলে উঠলো প্রশ্নটা তো ঠিক ই আছে(আমি ওকে জিজ্ঞেস করি নি,ও আমাদের কথোপকথন শুনেছিল)।তখন এটা শুনে আমি আবার মনোযোগ দিয়ে নিজের ভুল পাই আর সমাধান লিখে ফেলি।

এখন আমার অনুশোচনা হচ্ছে যে ওই প্রশ্নের উত্তর তো আমি ভুল করেছিলাম আর মেয়েটার কাছে না শুনেই আমি যদি আরেকটু খেয়াল করতাম,আমি পারতাম নাইলে মার্ক্স যেতো।কিন্তু শুনে ঠিক করেছি,তাহলে তো পরীক্ষায় এক প্রকার নকল ই হলো।এসব আমার বুঝার আগেই ঘটে গেছে,আমি সবসময় আমার ১০০% দিয়ে পরীক্ষায় লেখি,কখনো যাতে পরীক্ষায় ছোট নকল ও না হয় সেই চেষ্টা করি।কিন্তু এবার এই ভুল হয়ে গেলো।এখন এই রেজাল্ট আমার সামনে পড়াশুনার ক্ষেত্রে অনেক ভূমিকা রাখবে।কিন্তু যেই ২ মার্ক্স এ এমন কলঙ্ক লেগে আছে সেটা তো আমি এখন মিটাতে পারছি না।এখন আমি তওবা করেছি।এটাই কি যথেষ্ট হবে নাকি আমার আগামী উচ্চতর গণিত পরীক্ষায় আমি ২ মার্ক্সের প্রশ্ন উত্তর না দিয়ে চলে আসবো?যাতে রসায়নে যেই ২ মার্ক্স পেয়ে গিয়েছি,সেটা উচ্চতর গণিতে কমিয়ে ফেললে মোট সংখ্যা একই থাকে।প্রশ্নটা কিন্তু আমি নিজেই সমাধান করেছি,আমার ভুলটা ওই মেয়ের বলার কারণে আমি ধরতে পেরেছিলাম কিন্তু সমাধান আমিই করেছি।উচ্চতর গণিতে আমার পূর্ণ ৪৫ নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা আছে কিন্তু এই ২ মার্ক্স যদি যায়,আমি অনেক পিছিয়ে পড়তে পারি কেননা অনেক স্টুডেন্ট এটাতে ভালো করবে।এতে আমার কোনো ভালো কলেজে চান্স ও ছুটে যেতে পারে বা বৃত্তি ছুটতে পারে।তারপরও যদি এটাই করা উচিৎ হয় আমি করবো।অনেক দ্বিধা দন্দ্বে ভুগছি যে এই কাজ টা করা উচিৎ কিনা।কাউকে জিজ্ঞেস করলে এটাই বলবে যে এমন না করতে,মার্ক্স কমে যাবে।কিন্তু আপনি আল্লহর বিধান অনুসারে আমাকে সমাধান দিবেন ইনশাআল্লাহ। তাই প্রশ্ন করলাম।আমি চাই আমার চিকিৎসা জীবনের ইনকাম হালাল থাকুক(ডাক্তার হতে চাই তাই),তাই এই পরীক্ষার নাম্বার সম্পূর্ণ সৎ থাকা দরকার মনে করছি।

সময় নিয়ে পড়ার জন্য জাযাকাল্লাহু খইরন শায়খ।
by
আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। 

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
( رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا )
হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না।(সূরা বাকারা-২৮৬)
অন্য এক আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
(وَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ فِيمَا أَخْطَأْتُمْ بِهِ وَلَكِنْ مَا تَعَمَّدَتْ قُلُوبُكُمْ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا)
এ ব্যাপারে তোমাদের কোন বিচ্যুতি হলে তাতে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, তবে ইচ্ছাকৃত হলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা আহযাব-৫)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4560

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু অনিচ্ছাকৃত এবং অযাচিতভাবে এটা হয়ে গেছে।তাই কোনো গোনাহ হবে না। এবং পরবর্তী পরীক্ষায় নাম কর্তন করারও কোনো প্রয়োজনিয়তা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...