ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
হাদীস শরীফে রাসুল সাঃ এর গোসলের পদ্ধতি বর্ণনা করা
হয়েছে।
حَدَّثَنَا
الْحُمَيْدِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ سَالِمِ
بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ مَيْمُونَةَ،
أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم اغْتَسَلَ مِنَ
الْجَنَابَةِ، فَغَسَلَ فَرْجَهُ بِيَدِهِ، ثُمَّ دَلَكَ بِهَا الْحَائِطَ ثُمَّ
غَسَلَهَا، ثُمَّ تَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلاَةِ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ غُسْلِهِ
غَسَلَ رِجْلَيْهِ.
মাইমূনাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম অপবিত্রতার গোসল করলেন। তিনি নিজের লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর হাত
দেয়ালে ঘষলেন এবং তা ধুলেন। তারপর সালাতের উযূর ন্যায় উযূ করলেন। গোসল শেষ করে
তিনি তাঁর দু’পা ধুয়ে নিলেন। (বুখারী ২৬০২৪৯ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৮)
,
حَدَّثَنَا
مُوسَى، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ
أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَتْ مَيْمُونَةُ
وَضَعْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَاءً لِلْغُسْلِ، فَغَسَلَ يَدَيْهِ
مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا، ثُمَّ أَفْرَغَ عَلَى شِمَالِهِ فَغَسَلَ
مَذَاكِيرَهُ، ثُمَّ مَسَحَ يَدَهُ بِالأَرْضِ، ثُمَّ مَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ
وَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ، ثُمَّ أَفَاضَ عَلَى جَسَدِهِ، ثُمَّ تَحَوَّلَ
مِنْ مَكَانِهِ فَغَسَلَ قَدَمَيْهِ
ইবনু ‘আববাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মাইমূনাহ্
(রাযি.) বলেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর জন্য গোসলের পানি
রাখলাম। তিনি তাঁর হাত দু’বার বা তিনবার ধুয়ে নিলেন। পরে তাঁর বাম হাতে পানি নিয়ে
তাঁর লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর মাটিতে হাত ঘষলেন। তারপর কুলি করলেন, নাকে পানি
দিলেন, তাঁর চেহারা ও দু’হাত ধুয়ে নিলেন। অতঃপর তাঁর সারা দেহে
পানি ঢাললেন। তারপর একটু সরে গিয়ে দু’পা ধুয়ে নিলেন। (বুখারী ২৫৭,২৪৯ ইসলামিক
ফাউন্ডেশনঃ ২৫৫)
ফরজ গোসলের নিয়ম সংক্রান্ত বিস্তারিত
জানুনঃ https://ifatwa.info/3604/
গোসলের ফরজ সম্পর্কে জানুন-
https://ifatwa.info/26170/?show=26170#q26170
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
১. হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত
ক্ষেত্রে গোসল হয়ে যাবে। তবে গোসলের পূর্বে পরিপূর্ণ অযু করা সুন্নাত।
২. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ হাত না
ডুবিয়ে বরং দুই হাত বা এক হাতের তালু দিয়ে পানি তুলে তুলে অযু করবেন।
৩. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ভালোভাবে গোসল করে থাকলে আর নতুন
করে অযু করা লাগবে না।
৪. না, প্রশ্নোক্ত
ক্ষেত্রে নতুন পোষাক পরে গোসল করা আবশ্যক নয়, বরং উত্তম।
৫. হ্যাঁ, নাপাক কাপড়
তিনবার ধৌত করার মাধ্যমে পবিত্র করতে হবে।
৬. না, এর দ্বারা নতুন
করে অযু করা লাগবে না।
৭. সামান্য একটু সরে গিয়ে পা ধুলেও হবে। আর যদি গোসলের
জায়গাটা পরিষ্কার ও পাক থাকে তাহলে প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে পা ধৌত করাও আবশ্যক নয়।
৮. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি উক্ত প্যান্ট থেকে শরীরে নাপাকি
না লাগে তাহলে কোনো সমস্যা নেই। এতে শরীর নাপাক হবে না।