আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
128 views
in পবিত্রতা (Purity) by (14 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
শায়েখ,

(১) ফরজ গোছলের সময় সমপূর্ন ওজু না করে শুধুমাএ গড়গড়াসহিত কুলি করা,নাকে পানি দেওয়া ও সমস্ত শরীল ভালভাবে ধোত করলেই কি ফরজ গোছল হয়ে যাবে?

(২) ফরজ গোছলের সময় বা সাধারন গোছলের সময় যে বালতিতে পানি ওঠানো হয়, সেই বালতির ভিতরে হাত ডুবিয়ে ডুবিয়ে কি সমপূর্ন ওজু করা যাবে?

(৩)ফরজ গোছল বা সাধারন গোছলের সময় সমপূর্ন ওজু না করে শুধুমাএ  কুলি করা,নাকে পানি দেওয়া ও সমস্ত শরীল ভালভাবে ধোত করলেই কি নামাজ পড়া যাবে না ফুল ওজু করা বধ্যতামূলক?

(৪) ফরজ গোছলের ক্ষেএে বীর্য লেগে থাকা পোশাক খুলে অন্য পোশাক পরে গোছল করা আবশ্যিক?

(৫) শুনি যে নাপাকি বা বির্য লেগে থাকা কাপড় ৩ বার ধোয়া লাগে ও প্রবাহিত পানিতে ধুতে হবে এটা কি সঠিক?

(৬) গোছলের সময় লজ্জাস্থানে হাত দিলে বা পড়লে আবার কি ওজু করা লাগবে?

(7) গোছলে ফুল ওজু করে শেষে একটু সরে গিয়ে পা ধুতে হয়। এখানে একটু সরার কারন কি হুজুর?
এবং সরতে হলে কি শুকনা জায়গায় সরতে হবে, না সামান্য একটু সরে গিয়ে পা ধুয়ে নিলেই চলবে?

(৮) প্যান্টে পেসাব বা বির্য লেগে শুকিয়ে গেলে আমি পাক থাকা অবস্থায় যদি ওই প্যান্ট পরি তাহলে কি আমার শরীল ও নাপাক হয়ে যাবে ???
পরে আবার নামাজের সময় অন্য প্যান্ট পরে কি নামাজ পড়তে পারবো?

1 Answer

0 votes
by (58,500 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

হাদীস শরীফে রাসুল সাঃ এর গোসলের পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে।    

حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ مَيْمُونَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم اغْتَسَلَ مِنَ الْجَنَابَةِ، فَغَسَلَ فَرْجَهُ بِيَدِهِ، ثُمَّ دَلَكَ بِهَا الْحَائِطَ ثُمَّ غَسَلَهَا، ثُمَّ تَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلاَةِ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ غُسْلِهِ غَسَلَ رِجْلَيْهِ.

মাইমূনাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপবিত্রতার গোসল করলেন। তিনি নিজের লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর হাত দেয়ালে ঘষলেন এবং তা ধুলেন। তারপর সালাতের উযূর ন্যায় উযূ করলেন। গোসল শেষ করে তিনি তাঁর দু’পা ধুয়ে নিলেন। (বুখারী ২৬০২৪৯ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৮)

,

حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَتْ مَيْمُونَةُ وَضَعْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَاءً لِلْغُسْلِ، فَغَسَلَ يَدَيْهِ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا، ثُمَّ أَفْرَغَ عَلَى شِمَالِهِ فَغَسَلَ مَذَاكِيرَهُ، ثُمَّ مَسَحَ يَدَهُ بِالأَرْضِ، ثُمَّ مَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ، ثُمَّ أَفَاضَ عَلَى جَسَدِهِ، ثُمَّ تَحَوَّلَ مِنْ مَكَانِهِ فَغَسَلَ قَدَمَيْهِ

ইবনু ‘আববাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মাইমূনাহ্ (রাযি.) বলেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর জন্য গোসলের পানি রাখলাম। তিনি তাঁর হাত দু’বার বা তিনবার ধুয়ে নিলেন। পরে তাঁর বাম হাতে পানি নিয়ে তাঁর লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর মাটিতে হাত ঘষলেন। তারপর কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, তাঁর চেহারা ও দু’হাত ধুয়ে নিলেন। অতঃপর তাঁর সারা দেহে পানি ঢাললেন। তারপর একটু সরে গিয়ে দু’পা ধুয়ে নিলেন। (বুখারী ২৫৭,২৪৯ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৫)

 

ফরজ গোসলের নিয়ম সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ  https://ifatwa.info/3604/

গোসলের ফরজ সম্পর্কে জানুন- https://ifatwa.info/26170/?show=26170#q26170

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

 

. হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে গোসল হয়ে যাবে তবে গোসলের পূর্বে পরিপূর্ণ অযু করা সুন্নাত

. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ হাত না ডুবিয়ে বরং দুই হাত বা এক হাতের তালু দিয়ে পানি তুলে তুলে অযু করবেন

৩. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ভালোভাবে গোসল করে থাকলে আর নতুন করে অযু করা লাগবে না।

৪. না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে নতুন পোষাক পরে গোসল করা আবশ্যক নয়, বরং উত্তম।

৫. হ্যাঁ, নাপাক কাপড় তিনবার ধৌত করার মাধ্যমে পবিত্র করতে হবে।

৬. না, এর দ্বারা নতুন করে অযু করা লাগবে না।

৭. সামান্য একটু সরে গিয়ে পা ধুলেও হবে। আর যদি গোসলের জায়গাটা পরিষ্কার ও পাক থাকে তাহলে প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে পা ধৌত করাও আবশ্যক নয়।

৮. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি উক্ত প্যান্ট থেকে শরীরে নাপাকি না লাগে তাহলে কোনো সমস্যা নেই। এতে শরীর নাপাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 296 views
...