ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
এই নিয়তে মাদ্রাসায় কুরআন হাদিয়া দেয়া যাবে।
আপনি সন্তান জন্মের পর দিবেন।
(০২)
অনিচ্ছাকৃত এই ভুল আল্লাহ মাফ করবেন।
এর জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
(০৩)
হাদীসে নবীগনের নামে নামকরন করতে রাসুলুল্লাহ সাঃ নির্দেশ করেছেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعِيدٍ الطَّالْقَانِيُّ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُهَاجِرِ الْأَنْصَارِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَقِيلُ ابْنُ شَبِيبٍ، عَنْ أَبِي وَهْبٍ الْجُشَمِيِّ، وَكَانَتْ لَهُ صُحْبَةٌ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: تَسَمَّوْا بِأَسْمَاءِ الْأَنْبِيَاءِ، وَأَحَبُّ الْأَسْمَاءِ إِلَى اللَّهِ عَبْدُ اللَّهِ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ، وَأَصْدَقُهَا حَارِثٌ، وَهَمَّامٌ، وَأَقْبَحُهَا حَرْبٌ وَمُرَّةُ صحيح،
আবূ ওয়াহব আল-জিশামী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা নবী-রাসূলগণের নামে নামকরণ করো। আল্লাহর নিকট সবচেয়ে পছন্দনীয় নাম হলো আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রাহমান। নামের মাঝে হারিস ও হাম্মাম হলো বিশ্বস্ত নাম এবং হারব ও মুররাহ হলো সবচেয়ে নিকৃষ্ট নাম।
(বুখারী,আবু দাউদ ৪৯৫০)
★সুতরাং আব্দুল্লাহ বা আব্দুর রাহমান নাম রাখতে পারেন।
মহান আল্লাহর নামে বা নাবীদের নামে নাম রাখতে পারেন,ছাহাবাদের নামেও নাম রাখতে পারেন।
(০৪)
হ্যাঁ মসজিদের হুজুরকে দিয়ে তাহনিক করানো যাবে।
নেককার যে কাউকে দিয়ে তাহনিক করানো যাবে।
সুতরাং ৫ ওয়াক্ত নামাজী নেককার বান্দা/বান্দী যে কাউকে দিয়ে এই তাহনিক করানো যাবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي بُرَيْدٌ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى ـ رضى الله عنه ـ قَالَ وُلِدَ لِي غُلاَمٌ، فَأَتَيْتُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَسَمَّاهُ إِبْرَاهِيمَ، فَحَنَّكَهُ بِتَمْرَةٍ، وَدَعَا لَهُ بِالْبَرَكَةِ وَدَفَعَهُ إِلَىَّ، وَكَانَ أَكْبَرَ وَلَدِ أَبِي مُوسَى.
ইসহাক ইবনু নাসর (রহঃ) ... আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমার একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করলে আমি তাকে নিয়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গেলাম। তিনি তার নাম রাখলেন ইবরাহীম। তারপর খেজুর চিবিয়ে তার মুখে দিলেন এবং তার জন্য বরকতের দু আ করে আমার কাছে ফিরিয়ে দিলেন। সে ছিল আবূ মূসার বড় সন্তান।
(বুখারী ৫০৭১)