আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
139 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
আমি আজ রাতে স্বপ্নে দেখলাম আমি একটা কেক বানাইছি।সেটা বাড়ির সবাইকে খুব খুশি হয়ে খাওয়াচ্ছি।আমার দাদা মারা গেছে ৪ বছর আগে।দেখলাম তিনিও বসে খাচ্ছে কেক।তিনি আমাকে বলে বলে দিচ্ছি কাকে কাকে কেক দেওয়া বাকি আছে।তারপর দাদা বললেল সেজ চাচীকে কেক দেওয়া হয়নি।আমি কেক দিতে গেছি তখন মাগরিবের ওয়াক্ত চলছিলো।গিয়ে দেখি সে বিছানার উপরে দাঁড়িয়ে কি সব যেন মন্ত্র পড়তেছে আর হাত দিয়ে কি যেন দিচ্ছে।এটা দেখে আমি ভয়ে আয়াতুল কুরসি পড়তে পড়তে রুমের মধ্যে গিয়ে চাচি বলে ডাক দেই আর বলি যে আমি কেক বানাইছি নেন।তখন তিনি আমার উপর খুব রেগে গিয়ে আমাকে মন্ত্র বলে কি যেন করতে থাকে।আমি তখন জীন টাইপ কিছু দেখতে পাই যেটা আমার ক্ষতি করতে আসে।আমি চিৎকার করি তখন চাচী আমাকে ছেড়ে দেয় কিন্তু জীন পিছু ছাড়ে না।আমার দাদা ছিলেন কবিরাজ তিনি আমাকে নানান রুকিয়াহ করতে থাকেন কিন্তু কাজ হয়না।
এমন স্বপ্নের কি ব্যাখ্যা হতে পারে।আমি রেগুলার মাসনুন আমল করি।

1 Answer

0 votes
by (587,340 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
স্বপ্ন ও তার ব্যাখ্যা বিশেষজ্ঞ ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে সীরিন রহ. বলেছেন :
 الرؤيا ثلاث : حديث النفس ، وتخويف الشيطان ، وبشرى من الله . (رواه البخاري في التعبير) 
স্বপ্ন তিন ধরনের হয়ে থাকে। মনের কল্পনা ও অভিজ্ঞতা। শয়তানের ভয় প্রদর্শন ও কুমন্ত্রণা ও আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে সুসংবাদ। (বর্ণনায় : বুখারি)

হযরত আবু রাযিন আল-উক্বাইলী রাঃ বলেন নবী কারীম সাঃ বলেছেন
، عَنْ أَبِي رَزِينٍ العُقَيْلِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رُؤْيَا المُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ أَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ، وَهِيَ عَلَى رِجْلِ طَائِرٍ مَا لَمْ يَتَحَدَّثْ بِهَا، فَإِذَا تَحَدَّثَ بِهَا سَقَطَتْ». 
মু'মিনের স্বপ্ন হচ্ছে নবুওতের চল্লিশভাগের এক ভাগ(অর্থাৎ তা সত্যরূপ পরিনত হয়ে থাকে),যে স্বপ্ন দেখেছে স্বপ্নটা তার উপর ঘুর্ণায়মান থাকে যতক্ষণ না কারো কাছে ব্যক্ত করে,অতঃপর যখন সে কারো কাছে ব্যক্ত করে (এবংঐ ব্যক্তি এর কোনো ব্যখ্যা প্রদান করে) তখন ঐ ব্যখ্যা অনুযায়ীই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়।(তিরমিযি হাদীস নং ২২৭৮)


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সর্বদা সকল প্রকার ফরয ইবাদত ও নফল ইবাদত করবেন।এবং সাধ্যানুযায়ী দান সদকাহ করবেন। সর্বদা সেলফ রুকইয়া করবেন।সূরা নাস ও সূরা ফালাক সকাল বিকাল পড়বেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (13 points)
উস্তায উত্তর জানান দয়া করে
by (587,340 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...