আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
180 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (65 points)
edited by
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

১,আমি ও আমার স্ত্রী দূরে থাকি,সে ডেন্টালে পড়াশুনা করে।আমি সপ্তাহান্তে দেখা করতে যাই। আমি মোটামুটি নিশ্চিত এই অবস্থায় বাচ্চা নিলে সে একা মানুষ করতে পারবেনা,মানে সঠিক ইসলামিক তরবিয়ত দিতে পারবেনা।আবার আমি যদি ফুলটাইম সময় দেই তাহলে আমি পড়াশুনা করতে পারবনা।আর আমার পড়াশুনার নিয়ত মাকসাদ ও সবকিছু দ্বীনের জন্য সমর্পিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এমতাবস্থায় ৪/৫ বছরের জন্য কন্ডম জাতীয় জন্মনিরোধক ব্যবহার জায়েজ আছে?

উল্লেখ্য যে আমাদের বিবাহ এর খরচাপাতি ধার দেনা করে হয়েছে,আমার ইনকাম খুব ই স্বল্প যা দিয়ে আমাদের দুজনের মৌলিক চাহিদা পূরন সম্ভবনা।

আমরা আমাদের পিতামাতার উপর এখনো নির্ভরশীল।

২,দারিদ্রতার ভয় নিয়ে বাচ্চা নেয়া বন্ধ করা যাবেনা,এখানে দারিদ্যতার ভয় বলতে কি বুঝাচ্ছে?

ক, এমন যে আমার অনেক সম্পদ আছে বাচ্চা নিলে সম্পদ কমে যাবে এমন ভয়?

খ,আমাদের মোটামুটি সম্পদ আছে,সঞ্চয় নেই, আয় যতটুক ব্যয় ততটুক।কিন্তু বাচ্চা নিলে ব্যয় বেড়ে যাবে।তখন কি হবে,এমন ভয়?

গ,আমাদের এমন সম্পদ আছে যে আমাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে টানাটানি হয়,এমতাবস্থায় বাচ্চা নিলে কি হবে,এমন ভয়?

ঘ,আমাদের এমন সম্পদ আছে এত কম যে আমরা অন্যের উপর নির্ভরশীল (উপরে বর্নিত,আমার মত অবস্থা) তখন বাচ্চা নিলে কি হবে,এমন হবে?

৩, স্বামী স্ত্রী দাম্পত্য জীবন উপভোগের জন্য কিছুদিন বাচ্চা নেয়া অফ রাখলে তা বৈধ হবে কি

৪,আমার স্ত্রীর ধরুন ৩ টা বাচ্চা হয়ে গেছে এরপর আর নিতে চাচ্ছিনা(দারিদ্রতার ভয়ে নয়)। এম্নিতেই নিতে চাইনা, বেশি বাচ্চা ভাল লাগেনা টাইপ, এত কিভাবে মানুষ করব,এটা কি জায়েজ?

৫,বেশি বাচ্চা নিলে দেশের সীমিত এলাকায় জনসংখ্যা বাড়বে, এলাকাত বাড়ছেনা।আর এটা আগের মত সাম্রাজ্য সম্প্রসারণ টাইপ রাষ্ট্র নয়।এসব ভেবে কম রাখা যাবে কি?

৫, দারুল হারবে ঈমান ও জান মালের ভয় থাকলে বাচ্চা নেয়া ঠিক হবে কি?

৬,আল্লাহ তা'য়ালা সামর্থ্য থাকলে বিয়ে করতে বলেছেন,অথচ বাচ্চা নেয়ার ক্ষেত্রে সামর্থের কথা বলেন নি কেন

৭, স্ত্রী স্বামীকে অসন্তুষ্ট কে ঘুমায় তাহলে ফেরেশতারা অভিশাপ দেবে, স্বামী যদি স্ত্রীর ওপর জুলুম করে এমন একটা কাজ করে যাতে স্ত্রীর অন্তরে অত্যন্ত আঘাত লাগে অথবা তাদের মধ্যে এমন একটি ঝগড়া হয় যাতে উভয়পক্ষ নিজ নিজ অবস্থানে সঠিক এরকম মনে হয়। এমতাবস্থায় স্ত্রী এবং স্বামী উভয় যদি একে অপরের উপর অসন্তুষ্ট হয়ে সময় অতিবাহিত করে এবং অভিমান করে থাকে, এর মধ্যে যদি রাত অতিবাহিত হয় তাহলে কি স্ত্রী গুনাহগার হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আরবের জাহেলগণ যখন অভাব-অনটনের ভয়ে নিজ সন্তানকে হত্যা করত,তখন আল্লাহ তা'আলা তাদের সেই ভ্রান্ততাকে প্রকাশ করে যে আয়াত অবতীর্ণ করেন,তার সারমর্ম হল,তোমাদের এ কাজ খোদায়িয়ত এর মধ্যে হস্তক্ষেপের শামিল।
সমস্ত মাখলুকাতের রিযিকের দায়িত্ব রাব্বুল আ'লামিন নিজ দায়িত্বে নিয়ে অত্যান্ত স্পষ্টভাবে ঘোষনা দেন যে,
وَمَا مِن دَآبَّةٍ فِي الأَرْضِ إِلاَّ عَلَى اللّهِ رِزْقُهَا وَيَعْلَمُ مُسْتَقَرَّهَا وَمُسْتَوْدَعَهَا كُلٌّ فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ
আর পৃথিবীতে কোন বিচরণশীল নেই, তবে সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহ নিয়েছেন তিনি জানেন তারা কোথায় থাকে এবং কোথায় সমাপিত হয়। সবকিছুই এক সুবিন্যস্ত কিতাবে রয়েছে।(সূরা হুদ-০৬)

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা প্রত্যেককে সৃষ্টি করার পূর্বে তারা থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা নির্ধারিত করে রেখেছেন।প্রাণীর পৃথিবীতে আগমের পূর্বে মাতৃগর্ভে এবং ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর মায়ের দুধে তার জন্য খাদ্য সৃষ্টি করে রেখেছেন।তার হজমশক্তি বাড়ার সাথে সাথে খাদ্যকেও আল্লাহ বদলে দিয়েছেন।শুধু মানুষ নয় বরং জঙ্গলের হিংস প্রাণীর বিষয়ে ও আল্লাহ এমন নিয়ম করে দিয়েছেন।যে সময় যে জিনিষের প্রয়োজন সে সময় সেগুলোকে বাহির করে দিচ্ছেন।এবং যেগুলোর প্রয়োজন নেই সেটাকে কমিয়ে দিচ্ছেন।অতীতকালে গ্যাস-পেট্রোল এর কোনো প্রয়োজন ছিল না,সুতরাং তার উৎপাদন ও ছিল না।কিন্তু আজকের পৃথিবী গ্যাস-পেট্রোল এর উপর নির্ভরশীল,তাই যমিন ও সেগুলো বাহির করে দিচ্ছে।................................................................................এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1907

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
যেহেতু দ্বীন প্রতিষ্টার নিয়তে লেখাপড়ায় আপনি/আপনারা ব্যস্ত। তাই সাময়িক সময়ের জন্য আযল বা কনডম জাতীয় জিনিষ ব্যবহার করতে পারেন। এতে কোনো সমস্যা হবে না।

(২)
দারিদ্র্যতার ভয় বলতে আপনার বর্ণিত সবক'টি ধারাই এ সংজ্ঞার আওতাধীন। সুতরাং সকল প্রকার ভয়ই এতে শামিল।

(৩)
স্বামী স্ত্রী দাম্পত্য জীবন উপভোগের জন্য কিছুদিন বাচ্চা নেয়া অফ রাখলে সেটাও বৈধ হবে না।

(৪)
না, এটা জায়েয হবে না।

(৫)
দারুল হারবে ঈমান ও জান মালের ভয় থাকলে বাচ্চা না নেয়ার রুখসত থাকবে।

(৬)
সামর্থ্য থাকুক বা নাই থাকুক, সর্বাবস্থায়ই বাচ্ছা নিতে হবে।যে জন্য সামর্থ্যর আলোচনা সেখানে আসেনি।

(৭)
না, এমতাবস্থায় স্ত্রীর গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...