ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
উবায়াদ ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ... আবূ হমায়দ সাঈদী (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ، قَالَ اسْتَعْمَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً عَلَى صَدَقَاتِ بَنِي سُلَيْمٍ يُدْعَى ابْنَ اللُّتَبِيَّةِ، فَلَمَّا جَاءَ حَاسَبَهُ قَالَ هَذَا مَالُكُمْ وَهَذَا هَدِيَّةٌ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فَهَلاَّ جَلَسْتَ فِي بَيْتِ أَبِيكَ وَأُمِّكَ، حَتَّى تَأْتِيَكَ هَدِيَّتُكَ إِنْ كُنْتَ صَادِقًا ". ثُمَّ خَطَبَنَا فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ " أَمَّا بَعْدُ، فَإِنِّي أَسْتَعْمِلُ الرَّجُلَ مِنْكُمْ عَلَى الْعَمَلِ مِمَّا وَلاَّنِي اللَّهُ، فَيَأْتِي فَيَقُولُ هَذَا مَالُكُمْ وَهَذَا هَدِيَّةٌ أُهْدِيَتْ لِي. أَفَلاَ جَلَسَ فِي بَيْتِ أَبِيهِ وَأُمِّهِ حَتَّى تَأْتِيَهُ هَدِيَّتُهُ، وَاللَّهِ لاَ يَأْخُذُ أَحَدٌ مِنْكُمْ شَيْئًا بِغَيْرِ حَقِّهِ، إِلاَّ لَقِيَ اللَّهَ يَحْمِلُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، فَلأَعْرِفَنَّ أَحَدًا مِنْكُمْ لَقِيَ اللَّهَ يَحْمِلُ بَعِيرًا لَهُ رُغَاءٌ، أَوْ بَقَرَةً لَهَا خُوَارٌ، أَوْ شَاةً تَيْعَرُ ". ثُمَّ رَفَعَ يَدَهُ حَتَّى رُئِيَ بَيَاضُ إِبْطِهِ يَقُولُ " اللَّهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ ". بَصْرَ عَيْنِي وَسَمْعَ أُذُنِي.
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লুতাবিয়্যা নামে এক ব্যাক্তিকে বণী সুলায়ম গোত্রের যাকাত আদায়কারী নিয়োগ করলেন। যখন সে ফিরে এলো তখন তিনি তার কাছ থেকে হিসাব-নিকাশ গ্রহণ করলেন। সে বলল, এগুলো আপনাদের মাল, আর এগুলো (আমাকে দেয়া) উপঢৌকন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যদি তুমি সত্যবাদী হয়ে থাক তাহলে তোমার মা-বাবার ঘরে বসে থাকলে না কেন? সেখানেই তোমার কাছে উপঢৌকন এসে যেত। এরপর তিনি আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করার পর তিনি বললেনঃ আমি তোমাদের কাউকে এমন কোন কাজে নিয়োগ করি, যার তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে আল্লাহ্ আমাকে মনোনীত করেছেন। কিন্তু সে কাজ সম্পাদন করে এসে বলে, এ হল তোমাদের মাল। আর এ হল আমাকে দেয়া উপঢৌকন। তাহলে সে কোন তার মা-বাবার ঘরেই বসে রইল না, সেখানে এমনিতেই তার কাছে তার উপঢৌকন এসে যেত?
আল্লাহর কসম! তোমরা যে কেউ অবৈধভাবে কোন কিছু গ্রহণ করবে, সে কিয়ামতের দিন তা বয়ে নিয়ে আল্লাহর সামনে হাযির হবে। আমি তোমাদের কাউকে ভালভাবেই চিনব যে, সে আল্লাহর কাছে হাজির হবে উট বহন করে, আর উট আওয়াজ দিতে থাকবে। অথবা গাভী বহন করে, আর সেটা ডাকতে থাকবে। অথবা বকরি বহন করে, আর সেটা ডাকতে থাকবে। এরপর তিনি আপন হাতে দু’টি এতদূরে উত্তোলন করলেন যে, তাঁর বগলের শুভ্রতা দেখা যাচ্ছিল। তিনি বললেন, হে আল্লাহ্! আমি কি পৌঁছে দিয়েছি? আমার চক্ষুযুগল সে অবস্থা অবলোকন করেছে এবং আমার কান শুনেছে।(সহীহ বোখারী-৬৫০৮)
মিশকাত শরীফের ১৭৭৯ নং হাদীসের ব্যখ্যায় মুল্লা আলী কারী রাহ লিখেন,
قَالَ ابْنُ الْمَلَكِ: يَعْنِي لَا يَجُوزُ لِلْعَامِلِ أَنْ يَقْبَلَ هَدِيَّةً لِأَنَّهُ لَا يُعْطِهِ أَحَدٌ شَيْئًا إِلَّا لِطَمَعٍ أَنْ يَتْرُكَ بَعْضَ زَكَاتِهِ، وَهَذَا غَيْرُ جَائِزٍ اهـ. وَيُمْكِنُ أَنَّهُ يُعْطَى لِغَيْرِ هَذَا الْغَرَضِ أَيْضًا، لَكِنْ حَيْثُ إِنَّهُ يُعْطَى مِنْ حَيْثُ الْعَمَلِ، وَلَهُ أُجْرَةُ الْعَمَلِ مِنْ هَذَا الْمَالِ، فَلَيْسَ لَهُ أَنْ يَأْخُذَ مِنْ جِهَتَيْنِ،
কর্মকর্তার জন্য গ্রাহকের নিকট থেকে হাদিয়া গ্রহণ জায়েয হবে না। কেননা কেউ ই নিজের ফায়দা ব্যতিত হাদিয়া দিতে যাবে না।এবং এটাই মূলত নাজায়েয। হ্যা, নিজের ফায়দা ব্যতিতও কেউ কেউ হাদিয়া দিতে পারেন। কিন্তু যেহেতু কর্মকর্তা কাজের বিপরীতে বিনিময় পাচ্ছেন। তাই উনার উভয় দিক থেকে তথা সরকার/প্রতিষ্টানের পক্ষ্য থেকে এবং গ্রাহকের পক্ষ্য থেকে তথা উভয় দিক হতে বিনিময় গ্রহণ জায়েয হবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
কোন ব্যক্তিকে কোন কাজে যদি নিয়োগ দেয়া হয় এবং তাকে এরজন্য বিনিময় দেয়া হয়, সে যদি এই বিনিময়ের বহির্ভুত অতিরিক্ত জনগণের থেকে গ্রহণ করে, তাহলে সেটা জায়েয হবে না। তবে যদি সে তার দায়িত্বকে সম্পূর্ণ ভাবে নিষ্টার সাথে পালন করে, অতঃপর তাকে কেউ খুশী হয়ে নিজ অন্তরের সন্তুষ্টির সাথে কিছু দিতে চায়, তাহলে গ্রহণ করতে বাধা নেই।
(২)
যারা ডেলিভারি ম্যান, তারা তো ডেলিভারির জন্য বেতন পায়, কিন্ত অনেকে তাদের কিছু বখশিস দেয় কষ্ট করে আনার জন্য। সেই বখশিস গ্রহণ নিষিদ্ধতার আওতাধীন হবে না। তবে ডেলিভারি ম্যান নিজে কিছু দাবী করে আদায় করতে পারবে না।
(৩)
নেয়া হারাম হলে দেয়া হারাম হবে না।তবে যিনি বখশিশ দিবেন, উনার অনৈতিক কোনো ইচ্ছা থাকলে, তখন উনার জন্য বখশিশ প্রদাণও জায়েয হবে না।
(৪)
ডাক্তারদের জন্য ওষুধ কোম্পানি থেকে ডায়েরি, কলম বিভিন্ন উপহার দেয়, যেহেতু এগুলো ছোটোমোটো জিনিষ, তাই এগুলো গ্রহণ করা নাজায়েয হবে না।
(৫)
কোন ব্যক্তিকে যদি একটি কাজ করে দেবার জন্য request করা হয়, আর সে যদি কাজটা করে দেয়। পরে যদি ওই ব্যক্তিকে কাজটা করে দেয়ার জন্য উপহার দেয়া হয়, যদিও সে চাইনি তা ঘুষের অন্তর্ভুক্ত হবে না।
(৬)
এটা আল্লাহর হুকুম ও নিয়ম যে,তিনি কোনো মহিলাকে নবীরূপে প্রেরণ করেননি।
(৭)
না, এসম্পর্কে কোনো কিছু জানা যায়নি। হযরত মুহাম্মদ সাঃ মানুষ ও জিন জাতী সবার জন্য প্রেরিত হয়েছিলেন।
(৮)
মানে পশু না কিনে অন্যের দেয়া পশু দিয়ে আকিকা করা যাবে।