ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
গজল বা ইসলামী সংগীত যদি ভালো অর্থবোধক হয়, তাহলে আবৃত্তি করা, শ্রবণ করা জায়েয আছে।চায় একক কন্ঠে হোক বা সম্মিলিত কন্ঠে হোক।
তবে কয়েকটি মূলনীতিকে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।
(১)মিউজিক থাকতে পারবে না।
(২)অত্যাধিক মনযোগ প্রদান করা যাবে না।যার দরুণ ফরয ওয়াজিব পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।
(৩)মহিলাদের কন্ঠে হতে পারবে না,এবং অশ্লীল বা হারাম কথাবার্থা তাতে থাকতে পারবে না।
(৪)ফাসিক,এবং উদ্ভ্রান্তদের কন্ঠে হতে পারবে না।
(৫)এমন কোনো আয়োজন হতে পারবে না, যা মিউজিকের মত মনে হয়।
(৬)গান যেভাবে মানুষকে আকৃষ্ট করে,ফিতনায় পতিত করে, সে রকম কোনো কন্ঠ হতে পারবে না।
অথচ বর্তমানে প্রচলিত অনেক শে'র, গজলে এমনটাই লক্ষ্য করা যায়।আজকালের শ্রুতাগণ অর্থের দিকে খেয়াল না করে, তারা কন্ঠ এবং ভাবভঙ্গির দিকেই বেশী খেয়াল করে গজল বাছাইরকরে।এত্থেকে আমাদেরকে বেঁচে থাকতে হবে।(ফাতহুল বারী-১০/৫৫৩)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1898
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
এইভাবে গান গাওয়ার কোনো সুযোগ নাই। কেননা এতেকরে অন্তরে মরিচা ধরে নেওয়ার পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এত্থেকে বেচে থাকতে হবে।
(২)
দফ বাজিয়ে এইরকম ভালো কথার গান শুনা/গাওয়া কেউ জায়েজ মনে করলে কুফর হবে না। তবে প্রচলিত গান গাওয়ার/বাজানোর কোনো সুযোগ নাই।
(৩)
কেউ যদি বাদ্যযন্ত্র ছাড়া ভালো কথার গান জায়েয মনে করে, তাহলে তাকে সেই মনোভাব পরিহার করতে হবে।গান জায়েয না জায়েয হওয়া নিয়ে যেহেতু মতপার্থক্য রয়েছে, তাই কেউ জায়েয মনে করলেও কুফর হবে না।
(৪)
ইতিপূর্বে কোনো অমুসলিম বা ফাসিক যেই সূর ব্যবহার করেছে, যেই সূর মানুষকে ইবাদত থেকে গাফিল করে, জাহান্নামের নিকটবর্তী করে, এমন সূর হতে পারবে না।
(৫)
উনি মুজতাহিদ। উনি দলীল প্রমাণের ভিত্তিতে যে কোনো মতামত পেশ করতে পারেন।এজন্য উনাকে কুফরির দিকে নিসবত করা যাবে না।
(৬)
কাফির বলা যাবে না।
(৭)
না, বিবাহে কোনো সমস্যা হবে না।