আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
221 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (60 points)
edited by

আমি আগে গান-বাজনার সাথে যুক্ত ছিলাম। তবে এখন এসবে যুক্ত নই। তবে খালি গলায় গান গাই মাঝেমধ্যে, এই বিষয়ে কিছু জানতে চাই। অতিরিক্ত প্রশ্নের জন্য ক্ষমা করবেন আমি খুব খুব দরকরা না পরলে আর প্রশ্ন করবো না। এই গুলো একটু বুঝিয়ে দিবেন দয়া করে। হ্যা/না করে হলেও সব গুলো দিয়েন প্লিজ। 

১. আমি প্রায়ই এখন, বাদ্যযন্ত্র ছাড়া খালি গলায় গান(যেমন, কিছু রবীন্দ্র সংগীত, আধুনিক গান,নজরুল গীতি ইত্যাদি গান) গাই।ওই যেগুলো আগে শিখেছিলাম,শুনেছিলাম। কোনো চিন্তার কাজে থাকলে আনমনে গাইতে থাকি।তবে কথার দিকে খেয়াল রাখি যেনো কুফর, শিরক,অশ্লীলতা না থাকে। অনেক গানের কথা ও এলোমেলো,বর্ষা,মেঘ প্রকৃতি, তাছাড়া  প্রেম-ভালোবাসার কথা আসলে বউ এর কথা ভাবি। তো এইরকম গান বাজনা ছাড়া এভাবে গান গাওয়ার কি কুনো সুযোগ আছে? অনেক দিনের অভ্যাস।

২. দফ বাজিয়ে এইরকম ভালো কথার গান শুনা/গাওয়া কেও জায়েজ মনে করলে তা কি কুফর হবে?

৩. প্রথম প্রশ্নের জবাব যদি নাজায়েজ হয়, তবে কেও যদি বাদ্যযন্ত্র ছাড়া ভালো কথার গান জায়েজ মনে করে তার কি কুফর হবে?

৪.গানের ক্ষেত্রে একটি শর্ত বলেন আপনি  "ফাসিক,এবং উদ্ভ্রান্তদের কন্ঠে হতে পারবে না" এই কথার ভিত্তি এবং ব্যাখা বুঝতেছি না। গান তো আমি গাইতেছি। এখানে ফাসিকের কন্ঠের গানের ব্যাখা টা যদি করতেন ভালো হতো।

৫. কদিন আগে, ইউসুফ কারযাভী নামে মিশরের এক আলেম মারা গেছেন,  আমার ফ্রেন্ড লিস্টের কয়েকজনবড় আলেম, যারা "ফিকহে হানাফী" গ্রুপের সাথে যুক্ত উনারা দেখলাম অনেক প্রশংসা করলেন উনার। তবে এই মিশরিয়ান আলেম "ইউসুফ কারযাভী"  দেখালাম ফতোয়া দিয়েছেন " গান বাজনা জায়েজ" উনাকে কি এর জন্য তাকফির করা যায়? উনার সম্পর্কে কি ধারনা রাখবো?

৬.উনার মতো, যারা গান বাজনা হালাল এর পক্ষ সাফাই গান ওদের ও কি কাফের বলা যায়?

৭. গানের লাইনে যদি এমন থাকে "ভাব লাগাইয়া বন্ধু আমার হইলা না/রইলা না " এই গান বউ এর উদ্দেশ্যে গাইলে কি বিবাহে সমস্যা হবে? কোনো অন্যরকম নিয়ত না থাকলে।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
গজল বা ইসলামী সংগীত যদি ভালো অর্থবোধক হয়, তাহলে আবৃত্তি করা, শ্রবণ করা জায়েয আছে।চায় একক কন্ঠে হোক বা সম্মিলিত কন্ঠে হোক।
তবে কয়েকটি মূলনীতিকে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।
(১)মিউজিক থাকতে পারবে না।
(২)অত্যাধিক মনযোগ প্রদান করা যাবে না।যার দরুণ ফরয ওয়াজিব পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।
(৩)মহিলাদের কন্ঠে হতে পারবে না,এবং অশ্লীল বা হারাম কথাবার্থা তাতে থাকতে পারবে না।
(৪)ফাসিক,এবং উদ্ভ্রান্তদের কন্ঠে হতে পারবে না।
(৫)এমন কোনো আয়োজন হতে পারবে না, যা মিউজিকের মত মনে হয়।
(৬)গান যেভাবে মানুষকে আকৃষ্ট করে,ফিতনায় পতিত করে, সে রকম কোনো কন্ঠ হতে পারবে না।
অথচ বর্তমানে প্রচলিত অনেক শে'র, গজলে এমনটাই লক্ষ্য করা যায়।আজকালের শ্রুতাগণ অর্থের দিকে খেয়াল না করে, তারা কন্ঠ এবং ভাবভঙ্গির দিকেই বেশী খেয়াল করে গজল বাছাইরকরে।এত্থেকে আমাদেরকে বেঁচে থাকতে হবে।(ফাতহুল বারী-১০/৫৫৩)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1898

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
এইভাবে গান গাওয়ার কোনো সুযোগ নাই। কেননা এতেকরে অন্তরে মরিচা ধরে নেওয়ার পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এত্থেকে বেচে থাকতে হবে।

(২)
দফ বাজিয়ে এইরকম ভালো কথার গান শুনা/গাওয়া কেউ জায়েজ মনে করলে কুফর হবে না। তবে প্রচলিত গান গাওয়ার/বাজানোর কোনো সুযোগ নাই।

(৩)
কেউ যদি বাদ্যযন্ত্র ছাড়া ভালো কথার গান জায়েয মনে করে, তাহলে তাকে সেই মনোভাব পরিহার করতে হবে।গান জায়েয না জায়েয হওয়া নিয়ে যেহেতু মতপার্থক্য রয়েছে, তাই কেউ জায়েয মনে করলেও কুফর হবে না।

(৪)
ইতিপূর্বে কোনো অমুসলিম বা ফাসিক যেই সূর ব্যবহার করেছে, যেই সূর মানুষকে ইবাদত থেকে গাফিল করে, জাহান্নামের নিকটবর্তী করে, এমন সূর হতে পারবে না।

(৫)
উনি মুজতাহিদ। উনি দলীল প্রমাণের ভিত্তিতে যে কোনো মতামত পেশ করতে পারেন।এজন্য উনাকে কুফরির দিকে নিসবত করা যাবে না।

(৬)
কাফির বলা যাবে না।

(৭)
না, বিবাহে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...