আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
205 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (41 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।৩ টি প্রশ্ন জানার ছিল

১।কোন মানুষ ধরেন পূর্বে স্ত্রীকে তালাক দিছিল কিনা জানে না।বা স্ত্রী তালাক চাওয়ার পর পর কেনায়া বাক্য বলেছে কিনাও মনে।নেই।এটা নিয়ে সে সারাদিন টেনশনে থাকে।মনে বিভিন্ন সন্দেহের সৃষ্টি হয়।তহ সে যদি মানে মানুষটা  মনে মনে একটা তালাক হয়েছে ধরে নিলে কি তালাক হবে? শুনেছি  মনে মনে বললে তালাক হয় না।

২।কোন মহিলা যাকে স্বামী পাওয়ার দিছে।তার জন্য ও কি একই হবে উপরের প্রশ্নটার উত্তর?

৩।    ifatwa.info/56242/ এই লিন্কের ১ নাম্বার প্রশ্নে বলেছেন তালাক হবে না। এই ধরেনেরই প্রশ্ন জানার ছিল।

প্রশ্নঃ

স্বামী স্ত্রী মেসেজে ঝগড়ার সময় যদি স্ত্রী তালাক চায়।স্বামী যদি বলে আচ্ছা কাজীকে ডিভোর্সের কাগজ বানাতে বলতেছি।মানে কথা শেষ হলে স্ত্রীর সাথে ফোনে  তখন বলবে আর কি।কিন্তু বলে নি কাজীকে।এমনিতে স্ত্রীকে বলবে বলেছে আর কি একটু পর সব ভাল হয়ে যায়।এর দ্বারা কি তালাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনাকে বলবো দয়াকরে আপনি এই তালাকের ওয়াসওয়াসাকে পরিহার করুন। কিভাবে পরিহার করবেন,সেটা হল, যখনই মনে এরকম ওয়াসওয়াসা আসবে, সাথে সাথেই মনকে বলবেন, আমি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রোগী, তাই আমার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুমে শীতিলতা রয়েছে।আমি অন্য দশজনের মত নই। কেননা ওয়াসওয়াসা রোগি কাউকে হত্যা করলেও শরীয়তের দৃষ্টিতে কেসাস আসেনা।ওয়াসওয়াসার রোগী সারাদিন কুফরি বাক্য উচ্ছারণ করলেও সে কাফির হয়না।বরং তার ঈমান বহাল থাকে।

যদি ওয়াসওয়াসা থেকে আপনি বের না হন,তাহলে আপনার ভবিষ্যত আপনি নিজেই নষ্ট করবেন।ওয়াসওয়াসা থেকে বের হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হল, এই চিন্তাকে পরিহার করে ভিন্ন চিন্তা গ্রহণ করা,লোকদের সাথে হাশিখুশিতে থাকা।

ইবনে হাজার হাইতামি রাহ এ সম্পর্কে বলেন,
( وسئل نفع الله به عن داء الوسوسة هل له دواء ؟
فأجاب بقوله : له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان - فإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون) (الفتاوى الفقهية الكبرى 1/149)
মর্মার্থ - পরিপূর্ণ ভাবে এই চিন্তাকে পরিহার করার চেষ্টা করাই এর সর্বোত্তম চিকিৎসা।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ওয়াসওয়াসা রোগ, এমন এক রোগ, যে রোগ হলে তালাক বা কুফরি কোনো কিছুই পতিত হয় না। সুতরাং যেহেতু আপনি ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত, তাই আপনার তালাক কুফরি কোনো কিছুই কার্যকর হবে না।

আপনার মনের বুঝের জন্য হুবহু আপনার প্রশ্নের আলোকেই জবাব লিখছি,

১।কোন মানুষ পূর্বে স্ত্রীকে তালাক দিছিল কি না? জানে না।বা স্ত্রী তালাক চাওয়ার পর কেনায়া বাক্য বলেছে কি নাও মনে নেই। (এটা নিয়ে সে সারাদিন টেনশনে থাকে,মনে বিভিন্ন সন্দেহের সৃষ্টি হয়।তহ সে যদি মানে মানুষটা  মনে মনে একটা তালাক হয়েছে ধরে নেয়, এই ধরে নেয়ার দ্বারা তালাক হবে না। মনে মনে বললে তালাক হয় না।

২।কোন মহিলা যাকে স্বামী পাওয়ার দিছে, তার জন্য ও একই বিধান হবে উপরের প্রশ্নের ক্ষেত্রে।

৩। 
স্বামী স্ত্রী মেসেজে ঝগড়ার সময় যদি স্ত্রী তালাক চায়।স্বামী যদি বলে আচ্ছা কাজীকে ডিভোর্সের কাগজ বানাতে বলতেছি। মানে কথা শেষ হলে স্ত্রীর সাথে ফোনে, তখন বলবে আর কি। কিন্তু বলে নি কাজীকে।এমনিতে স্ত্রীকে বলবে বলেছে আর কি একটু পর সব ভাল হয়ে যায়।
এর দ্বারা তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...