ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জর্দা সহ পান কে নেশা বলা যাবে না।বরং এটা লোকদের আদত বা অভ্যাস। কুরআন হাদীসে উল্লেখিত হারাম ব্যতিত বাদবাকী পণ্য সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
فَكُلُوا مِمَّا غَنِمْتُمْ حَلَالًا طَيِّبًا ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ [٨:٦٩]
সুতরাং তোমরা খাও গনীমত হিসাবে তোমরা যে পরিচ্ছন্ন ও হালাল বস্তু অর্জন করেছ তা থেকে। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, মেহেরবান। [সূরা আনফাল-৬৯]
كُلُوا وَاشْرَبُوا مِن رِّزْقِ اللَّهِ وَلَا تَعْثَوْا فِي الْأَرْضِ مُفْسِدِينَ [٢:٦٠]
আল্লাহর দেয়া রিযিক খাও, পান কর আর দুনিয়ার বুকে দাঙ্গা-হাঙ্গামা করে বেড়িও না। [সূরা বাকারা-৬০]
জর্দা যেহেতু সমাজে মাদক হিসেবে স্বীকৃত নয়, এবং এটি খাওয়ার দ্বারা কোন প্রকার নেশাও হয় না।তাই এটা নাজায়েয বলা যাবে না।হ্যা, অযথা টাকার অপচয় বা দৃষ্টিকটু হওয়ার দরুণ পরিত্যাগ করাই শ্রেয়।
শারিরিক ক্ষতিকর জিনিষ খাওয়া হারাম।দুর্গন্ধযুক্ত জিনিষ আহার করা মাকরুহে তানযিহি।হাদীসে বর্ণিত নিষিদ্ধ সুকর বা নেশার অর্থ হচ্ছে এমন জিনিষ যা খেলে ব্রেইন আউট বা স্বৃথী শক্তিতে পরিবর্তন ঘটে।শারিরিক ক্ষতি হবে না সেই পরিমাণ পান চুন-জর্দা সহ খাওয়ার অনুমতি রয়েছে।তবে সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করা কতইনা উত্তম।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-১৮/৩৮০-৪০৮)