আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
155 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারহকাতুহ।আমার একটি ছেলে বিড়াল আছে ও ছোটবেলা থেকেই আমার কাছে আছে, কিছুদিন আগে ও বাহিরে অন্য বাড়িতে যায় তখন রাস্তার একটা বড় বিড়াল ওকে খুব মারে যার ফলে ওর লেজ এ সমস্যা হয় মানে প্রায় মরে যাবে এমন অবস্থা,তাই ওকে বাহিরে যেতে দেই না,কিন্তু ওদের হীট আসলে খুব ডাকাডাকি করে ঘরের যেখানে সেখানে প্রসাব করে দেয়, মানুষের গায়ে করে দেয় কিন্তু নিউটার করালে ওরা শান্ত হয়ে যায় বাহিরে যায় না, ঘরেই অবস্থান করে উপরক্ত সমস্যা গুলো হয় না। আর ও যেহেতু পালিত বিড়াল ওকে যদি ছেড়ে দেই তাহলে ও বাহিরে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবে না যার ফলে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি,
তাই ওর এইভাবে যেখানে সেখানে প্রসাব না করা, মানুষের গায়ে প্রসাব বা করা, বাহিরের ক্ষতিকারক পরিবেশ থেকে রক্ষা করা  এইসকল নিয়তে আমার বিড়ালের নিউটার করানো জায়েজ হবে কি??

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

জবাবঃ-


https://ifatwa.info/37032/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে,
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবচেয়ে অধিক সদাচারী ছিলেন। আমার এক ভাই ছিল; ‘তাকে আবূ ‘উমায়র’ বলে ডাকা হতো। আমার ধারণা যে, সে তখন মায়ের দুধ খেতো না। যখনই সে তাঁর নিকট আসতো, তিনি বলতেনঃ হে আবূ ‘উমায়র! কী করছে তোমার নুগায়র? সে নুগায়র পাখিটা নিয়ে খেলতো।(সহীহ বোখারী-৬২০৩,সহীহ মুসলিম-২১৫০)

প্রাণী লালন-পালন কয়েকটি শর্তে ভিত্তিতে জায়েয।
(১)প্রাণীকে নিয়মিত খাবার দাবার প্রদান করতে হবে।
হযরত ইবনে উমর থেকে বর্ণিত,
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক নারী একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে তাকে খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমীনের পোকা মাকড় খেতে পারত। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রেও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।(সহীহ বোখারী-৩৩১৮,সহীহ মুসলিম-২২৪২)

(২)প্রাণীকে কোনো প্রকার কষ্ট দেয়া যাবে না।
রাসূলুল্লাহ সাঃ মুখে প্রহার করা  এবং মুখে ট্যাটু অঙ্কন করা যাবে না।(সহীহ মুসলিম-২১১৬) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/10998

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিনা প্রয়োজনে বিড়ালকে খাসি বানানো যাবে না,জায়েয হবে না।বিড়ালটিকে আপনি তাড়িয়ে দিতে পারেন।তাকে ঘরে লালন পালন করার জন্য তো কেউ আপনাকে চাপ দিচ্ছে না। তাকে তার উপর ছেড়ে দিন।তার রিযিকের ব্যবস্থা আল্লাহ করবেন।

তাকে বাহিরে ছেড়ে দিলে সে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেনা,যার ফলে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
এই অজুহাতে তাকে নিউটর করানোর অনুমতি নেই।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...