আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
219 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (12 points)
edited by
কোন বেক্তি যদি তার স্ত্রীকে বিচ্ছেদের নিয়তে "বারকাতুল্লাহ" শব্দটি বলে নাই এমনি নিয়ত ছাড়া বারকাতুল্লাহ উচচারন করেছিল কিন্তু অন্নের কাছে যদি সে মিথ্যা করে বলে যে সে "বারকাতুল্লাহ"শব্দটি বিচ্ছেদের নিয়তে বলেছে তাহলে কি সত্যিকার ভাবে তার স্ত্রীর উপর কোন কিছু কি পতিত হবে?
আপনি উওর দিয়েছন যে, প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে তালাক হবেনা।এটি মিথ্যা স্বীকারোক্তির অন্তর্ভুক্ত হবে।
প্রশ্ন(১)এটি কি  তালাকের  মিথ্যা স্বীকারোক্তির অন্তর্ভুক্ত?  শুনেছি মিথ্যা স্বীকারোক্তি যদি কেও দেয় তাহলেও নাকি তা...  পতিত হয়? এটি কি এমনি সাধারন বাক্যর  মিথ্যা স্বীকারোক্তির অন্তর্ভুক্ত? বারকাতুল্লাহ এটি কোন তা..... এর    শব্দ না এই জন্য কি কেও যদি মিথ্যা সিকারুক্তি দেয় তাহলে তার স্ত্রীর উপর কোন কিছু পতিত হবে না? বেপারটা কি এরকম? একটু বুঝিয়ে বলবেন।

প্রশ্ন(২)কোন বেক্তি যদি তার স্ত্রীকে বিচ্ছেদের নিয়তে "বারকাতুল্লাহ" শব্দটি উচচারন করে তাহলে কি তার স্ত্রীর উপর কোন কিছু কি পতিত হবে?

প্রশ্ন(৩)একজন বেক্তি অপর জনকে জিজ্ঞাসা করছে আপনি আপনার শশুর বাড়ী থেকে কখন আসছেন তখন ঐ বেক্তি  উওর দিচছেন সকালে আসছন কিন্তু "সকালে আসছেন" এই বাক্য উচচারনকালীন মুহুর্তে কিংবা উচ্চারনের ঠিক ২ সেকেন্ড পূর্বে যদি তার মনে এরুপ খেয়াল আসে যে, "তিনি যেন তার স্ত্রীকে ( তা.....) দিয়ে সকালে আসছেন। তাহলে কি তার স্ত্রীর উপর কোন কিছু কি পতিত হবে? যদি কোন কিছু পতিত না হয় তাহলে দয়া করে কারনটি জানাবেন। হুজুর অনুরোধ  করছি প্রশ্নের ক্রমঅনুশারে উওর দিবেন।আর আপনাকে বিরক্ত করব না।জাজাকাল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
পূর্বের ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ-

كَمَا  لَوْ أَقَرَّ بِالطَّلَاقِ هَازِلًا  أَوْ كَاذِبًا فَقَالَ فِي الْبَحْرِ، وَإِنَّ مُرَادَهُ لِعَدَمِ الْوُقُوعِ فِي الْمُشَبَّهِ بِهِ عَدَمُهُ دِيَانَةً، ثُمَّ نَقَلَ عَنْ الْبَزَّازِيَّةِ وَالْقُنْيَةِ لَوْ أَرَادَ بِهِ الْخَبَرَ عَنْ الْمَاضِي كَذِبًا لَا يَقَعُ دِيَانَةً، وَإِنْ أَشْهَدَ قَبْلَ ذَلِكَ لَا يَقَعُ قَضَاءً أَيْضًا. اهـ. 

অনুরুপ ভাবে যদি স্বামী মিথ্যা বা তামাশা মূলক তালাকের স্বীকারোক্তি দেয়,তাহলে বাহরুর রায়েক গ্রন্থে বলা হয়েছে যে এটি দিয়ানাতান তথা আল্লাহর নিকট তালাক বলে গন্য হবে না।
,
অতঃপর বাযযাযিয়া ও ক্বুনয়া কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, যদি এই মিথ্যা স্বীকারোক্তি দ্বারা অতীতের তালাকের খবর স্বামী দেয়,তাহলে দিয়ানাতান (আল্লাহর নিকট) তালাক হবে না। 
(কাযা'আন তালাক হবে।)

কিন্তু যদি তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তির পূর্বে স্বামী এ ব্যাপারে সাক্ষী রাখে, তাহলে  কাযা'আনও (তথা কাযী সাহেবের নিকট তালাক নিয়ে স্বামী স্ত্রীর ঝগড়ার মূহুর্তেও) তালাক হবে না।(রদ্দুল মুহতার-৩/২৩৬)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে তালাক হবেনা।
এটি মিথ্যা স্বীকারোক্তির অন্তর্ভুক্ত হবে।
এক্ষেত্রে তালাক হবেনা।

এখানে তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি ধরা হবেনা।

(০২)
না,এতে তার স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হবেনা।

(০৩)
এতে তার স্ত্রীর উপর কোন কিছু পতিত হবেনা।

কেননা সে তো স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তালাকের প্রদানের বিষয় মুখ দিয়ে উচ্চারণ করে বলেনি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (12 points)
হুজুর  আল্লাহ আপনাকে জান্নাতুল  ফেরদাউস দান করুক।আপনার  গিয়ান আর মরজাদা বারিয়ে দিক।হুজুর  আপনাকে অনেক ভালোবাসি।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...