আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
100 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (27 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১.  একদিন আমার পরিবারের এক জন সদস্য    গীবত করছিল। তখন তিনাকে আমি বলি যে   এগুলো বলা হবে না । এগুলো বলা গীবত। তিনাকে এগুলো আমি বুঝাচ্ছিলাম। কিন্তু তিনি অজ্ঞতার কারনে বিভিন্ন উল্টাপাল্টা কথা বলছিল। তখন আমার মনে হয় যে তার ঈমানের কোন সমস্যা হল নাকি?       পরবর্তীতে আমি তার জন্য  আল্লাহর কাছে দোয়া করি। সম্ভবত তার পরদিন দুপুরে ভাত খাওয়ার সময় তিনি আবার গীবত করছিল। তখন আমি মনে মনে  বলি যে এই কাফেরের সাথে কথা বল্লে উল্টা পাল্টা কথা বলবে। এই জাতীয় কথাই বলি। অই কথা বলার সাথে সাথে আমি ইস্তিগফার পরেছি। আমার কথা কেউ শুনতে পায়নি। কিন্তু আমি জিহবা ও ঠোঁট নাড়িয়ে বলেছি নাকি আমার সন্দেহ হচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে  মনে হয় আমি জিহবা ও ঠোঁট নাড়িয়ে বলেছি। এখন আমার প্রশ্ন হল- যদি আমি জিহবা ও ঠোঁট নাড়িয়ে অই কথা তাহলে কি তাকে তাকফির করা হবে? ( যদিও আমার কথা কেউ জানেও না বা কেউ শুনতে পায় নি)     এর কারনে কি আমার বা তিনার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

২. উপরের প্রশ্ন আমি এক জনকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বলেছিলেন যে মনে মনে বল্লে  সমস্যা হবে না। তখন আমি বলি জিহবা ও ঠোঁট নাড়িয়ে যদি আমি বলি তারপরও তিনি বলেন যে মনে মনে বল্লে সমস্যা হবে না। তিনাকে আমি  এই প্রশ্ন বার বার  জিজ্ঞেস করলে তিনি রাগ করে বলেন যে আপনার অই সদস্য কাফের হয়ে গেছে যান। তিনি রাগ করে এই কথা বল্লে আমি তাকে কয়েক বার বলি যে, আপনি যে এই কথা বল্লেন তাতে   আমার অই সদস্যের কোন সমস্যা হবে কি না। কয়েক বার বলার পর তিনি বলেন যে, সমস্যা হলে আমার হবে । এখন আমার প্রশ্ন হল- আমার পরিবারের অই সদস্যকে অইভাবে রাগে কাফের  বলার কারনে  কি আমার পরিবারের অই সদস্যের ঈমানের কোন সমস্যা হবে? বা আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার বা তার ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَعْمَُرَ، أَنَّ أَبَا الأَسْوَدِ الدِّيلِيَّ حَدَّثَهُ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا ذَرٍّ قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: لاَ يَرْمِي رَجُلٌ رَجُلاً بِالْفُسُوقِ، وَلاَ يَرْمِيهِ بِالْكُفْرِ، إِلاَّ ارْتَدَّتْ عَلَيْهِ، إِنْ لَمْ يَكُنْ صَاحِبُهُ كَذَلِكَ.

হযরত আবু যার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (স) কে বলতে শুনেছেন, কেউ যদি কাউকে কাফের বলে সন্বেধন করে অথবা আল্লাহর শত্রু বলে সম্বোধন করে অথচ সে তা নয়, তবে কাফের কথাটা বক্তার দিকেই প্রত্যাবর্তন করবে। (বুখারী ও মুসলিম,আল আদাবুল মুফরাদ ৪৩৪)

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: أَيُّمَا رَجُلٌ قَالَ لأَخِيهِ: كَافِرٌ، فَقَدْ بَاءَ بِهَا أَحَدُهُمَا.

আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোন লোক তার কোন ভাইকে ‘হে কাফের’ বলে সম্বোধন করলে তাদের একজন কুফরীর শিকার হলো (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, মুয়াত্ত্বা মালিক,আল আদাবুল মুফরাদ ৪৪১)।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
ফাতহুল বারী গ্রন্থে আছেঃ

فقد باء بها أحدهما "، وهو بمعنى: " رجع " أيضا، قال النووي: اختلف في تأويل هذا الرجوع فقيل: رجع عليه الكفر إن كان مستحلا، وهذا بعيد من سياق الخبر، وقيل: محمول على الخوارج لأنهم يكفرون المؤمنين.
والتحقيق: أن الحديث سيق لزجر المسلم عن أن يقول ذلك لأخيه المسلم، وذلك قبل وجود فرقة الخوارج وغيرهم، وقيل: معناه: رجعت عليه نقيصته لأخيه ومعصية تكفيره، وهذا لا بأس به، وقيل: يخشى عليه أن يئول به ذلك إلى الكفر
সারমর্মঃ  
এই ব্যাপারের উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ রয়েছে। 
কেহ কেহ বলেছেন যে যদি সে এভাবে কাফের বলাকে হালাল মনে করে,তাহলে সে কাফির হবে।
কেহ কেহ বলেন এটি খাওয়ারেজদের উদ্দেশ্য তিলাওয়াত করা হয়েছে।  
তবে তাহকীকী কথা হলো, এই হাদীস আনা হয়েছে মুসলমানদের হুমকি ও সতর্কতার জন্য।
কেহ কেহ বলেন যে এতে উক্ত ব্যাক্তির উপর ভয় হয় যে এর কারনে সে কুফরের দিকে যাবে। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০২)
আপনার পরিবারের ঐ সদস্যের ঈমানের সমস্যা হবেনা।
তবে সে এহেন মারাত্মক কথা বলার দরুন তওবা করবে।
আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...