আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
115 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম। শায়েখ আজকে আমি ফেসবুকে এক শায়েখের পোস্ট দেখলাম সেখানে  ঈমান চলে যাওয়া সম্পর্কে লেখা ছিল। তার মধ্যে এক্টা পয়েন্ট ছিল যে, আল্লাহর রাসূলের হাদিস মানা অত্যাবশ্যক মনে না করলে ঈমান চলে যায়। এই পোস্ট দেখার পর আমার মনে হয় যে, প্রায়  দুই দিন আগের ঘটনা আমার পেট ভরা ছিল তবুও আমি খাওয়ার জন্য হোটেলের দিকে যাচ্ছিলাম। তখন আমার মনে হয় যে, পেটের এক ভাগ খাওয়া, এক ভাগ পানি খাওয়া এবং এক ভাগ খালি রাখা সুন্নাত। তখন আমি না খেয়ে চলে আসি এবং অন্য একটা দোকান থেকে হালকা একটা খাবার খাই। হুজুর এখন আমার প্রশ্ন হল-
১. আমার এভাবে খাওয়ার কারনে বা সুন্নাত পালন না করার কারনে কি তা উপরের অই পয়েন্টের মধ্যে পরে যা শায়েখ ফেসবুকে লিখেছে। এতে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে ? আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?      
২.ইচ্ছাকৃত রাফায়েল ইদাইন না করলে ও  কি তা উপরের অই পয়েন্ট এর মধ্যে পরে । যা শায়েখ ফেসবুকে লিখেছে। এতে আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?  আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?

৩.ইচ্ছাকৃত কোন সুন্নাত পালন না করলে কি তা উপরের অই পয়েন্ট এর মধ্যে পরবে। যা শায়েখ ফেসবুকে লিখেছে। ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

৪.কেউ যদি ইচ্ছাকৃত কোন সুন্নাত নামাজ না পরে তাহলে কি তা উপরের অই পয়েন্ট এর মধ্যে পরবে। তার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?                                        
৫. আজকে মোটরসাইকেল চালানোর সময় আমার মোটরসাইকেলের চাকার তলে একটি মুরগি পরে। পরবর্তীতে মুরগীটি আমার জানামতে জবাই করে। মুরগী টি আমার মটরসাইকেলের চাকার তলে পরার পর মুরগির মালিক আসে এবং জবাই করার জন্য চিল্লাচিল্লি করে তখন আমার হাসি পায় এবং আমি হাসি।
শায়েখ এই হাসার কারনে কি আমার  ঈমানের কোন সমস্যা হবে?   পরবর্তীতে আমি ইস্তিগফার পড়ি।

1 Answer

0 votes
by (573,960 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/14384/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
শরীয়তের বিধান হলো, হাদীসকে অস্বীকার করা কুফরী।
কেননা যে ব্যাক্তি হাদীস কে অস্বীকার করলো,সে কুরআনকেই অস্বীকার করলো।
পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 مَنۡ یُّطِعِ الرَّسُوۡلَ فَقَدۡ اَطَاعَ اللّٰهَ ۚ وَ مَنۡ تَوَلّٰی فَمَاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ عَلَیۡهِمۡ حَفِیۡظًا ﴿ؕ۸۰﴾

যে রাসূলের আনুগত্য করল, সে আল্লাহরই আনুগত্য করল। 
(সুরা নিসা ৮০)

সুরা নিসার ৫৯ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَطِیۡعُوا اللّٰهَ وَ اَطِیۡعُوا الرَّسُوۡلَ 

হে ঈমাদারগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রাসূলের আনুগত্য কর।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার উম্মতের সকল লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে। কিন্তু যে অস্বীকার করেছে (সে জান্নাতবাসী হতে পারবে না)। জিজ্ঞাসা করা হলঃ কে অস্বীকার করেছে, হে রাসূল! উত্তরে বললেনঃ যে আমার অনুসরণ করল সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তি আমার অনুসরণ করল না, সে অস্বীকার করল। [বুখারীঃ ৭২৮০]
,
অপর বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে আমার আনুগত্য করল সে অবশ্যই আল্লাহর আনুগত্য করল। আর যে আমার অবাধ্য হলো সে আল্লাহর অবাধ্য হল। অনুরূপভাবে যে ক্ষমতাসীনের আনুগত্য করল সে আমার আনুগত্য করল। আর যে ক্ষমতাসীনের অবাধ্য হলো সে আমার নাফরমানী করলো। ইমাম বা শাসক তো ঢালস্বরূপ, যার পিছনে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করা যায় এবং যার দ্বারা বাঁচা যায়। যদি ইমাম বা শাসক আল্লাহর তাকওয়ার নির্দেশ দেন এবং ইনসাফ করেন তা হলে সেটা তার জন্য সওয়াবের কাজ হবে। আর যদি অন্য কিছু করেন তবে সেটা তার উপরই বর্তাবে। [বুখারীঃ ২৯৫৭, মুসলিমঃ ১৮৩৫]

ইসলামী স্কলারগন বলেছেন,
হাদিস অস্বীকার করা হতে পারে অপব্যাখ্যামূলক কিংবা অবিশ্বাসমূলক। অবিশ্বাসমূলক এভাবে যে, সে ব্যক্তি বলে: আমি জানি যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ কথা বলেছেন। কিন্তু আমি সেটাকে অস্বীকার করি ও মানি না। যদি এ ধরণের অস্বীকার হয় তাহলে সে ব্যক্তি কাফের মুরতাদ (ইসলাম ত্যাগকারী); এমন ব্যক্তির পিছনে নামায পড়া জায়েয হবে না।
,
আর যদি তার অস্বীকার করাটা অপব্যাখ্যা নির্ভর হয়; তাহলে দেখতে হবে: যদি (আরবী) ভাষার আলোকে এমন ব্যাখ্যা করার অবকাশ থাকে এবং সে ব্যক্তি শরিয়তের উৎসসমূহ ও মূলভিত্তিগুলোর জ্ঞান রাখেন তাহলে তাকে কাফের গণ্য করা যাবে না; বরং তার অভিমতটি বিদাত হলে তাকে বিদাতীদের মধ্যে গণ্য করা হবে। তার পিছনে নামায পড়া যাবে; যদি না তার পিছনে নামায না পড়ার মধ্যে কোন কল্যাণের দিক থাকে; যেমন সে ব্যক্তি পিছু হটে এসে বিষয়টি নিয়ে পুনরায় চিন্তা করা; সেক্ষেত্রে তার পিছনে নামায না পড়া।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এতে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।
আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।

(০২)
ইচ্ছাকৃত রাফউল ইয়াদাইন না করলে ও আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।
আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।

ইহা ঐ পয়েন্টের মধ্যে পড়েনা।

(০৩)
না,এটা ঐ পয়েন্টের মধ্যে পড়েনা।

এতে ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(০৪)
না,এটা ঐ পয়েন্টের মধ্যে পড়েনা।

এতে ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(০৫)
এতে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...