ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/37773/?show=37773#q37773 নং ফাতওয়ায় আমরা
বলেছি যে,
তাহাজ্জুদের
পূর্বে ঘুমানো উত্তম হলেও তাহাজ্জুদের পূর্বে ঘুমানো জরুরী নয় এবং তাহাজ্জুদের পরে
ঘুমানোও জরুরী নয় বরং উত্তম। (আহসানুল ফাতাওয়া ৩/৪৯৩)
কেননা আল্লাহ পাক
দিনকে বানিয়েছেন কাজ করার জন্য এবং রাত্রকে বানিয়েছেন বিশ্রাম গ্রহণের জন্য। তাই
রাত্রে আমাদেরক ঘুমাতে হবে। এবং শেষরাত্রে এশা'র ওয়াক্ত শেষ
হওয়ার পর থেকে নিয়ে ফজরের ওয়াক্ত শুরুর পূর্ব পর্যন্ত যে কোনো এক মুহুর্তে ২-১২/২০
রা'কাত নামায পড়তে হবে এবং পড়াটা সুন্নাত।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ-
ﺇِﻥَّ ﻧَﺎﺷِﺌَﺔَ
ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ ﻫِﻲَ ﺃَﺷَﺪُّ ﻭَﻁْﺀًﺍ ﻭَﺃَﻗْﻮَﻡُ ﻗِﻴﻠًﺎ
নিশ্চয় এবাদতের জন্যে রাত্রিতে উঠা প্রবৃত্তি দলনে সহায়ক এবং স্পষ্ট উচ্চারণের
অনুকূল। (সূরা মুযযাম্মিল-০৬)
ইমাম কুরতুবী রাহ বলেনঃ-
ﻭﻗﺎﻝ ﺃﻳﻀًﺎ : ﻭﻗﺎﻟﺖ
ﻋﺎﺋﺸﺔ، ﻭﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺃﻳﻀًﺎ، ﻭﻣﺠﺎﻫﺪ : ﺇﻧﻤﺎ ﺍﻟﻨﺎﺷﺌﺔ ﺍﻟﻘﻴﺎﻡ ﺑﺎﻟﻠﻴﻞ ﺑﻌﺪ ﺍﻟﻨﻮﻡ . ﻭﻣﻦ ﻗﺎﻡ
ﺃﻭﻝ ﺍﻟﻠﻴﻞ ﻗﺒﻞ ﺍﻟﻨﻮﻡ ﻓﻤﺎ ﻗﺎﻡ ﻧﺎﺷﺌﺔ .
হযরত আয়েশা ও ইবনে আব্বাস রাঃ বলেনঃ "নাশিয়াহ"হল ঘুমের পর
তাহাজ্জুদের নামজের জন্য দাড়ানো।যে ঘুমানো পূর্বে নামাযে দাড়াবে সে নাশিয়াহ হবেনা।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ-
ﻭَﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ
ﻓَﺘَﻬَﺠَّﺪْ ﺑِﻪِ ﻧَﺎﻓِﻠَﺔً ﻟَّﻚَ ﻋَﺴَﻰ ﺃَﻥ ﻳَﺒْﻌَﺜَﻚَ ﺭَﺑُّﻚَ ﻣَﻘَﺎﻣًﺎ
ﻣَّﺤْﻤُﻮﺩًﺍ
রাত্রির কিছু অংশ কোরআন পাঠ সহ জাগ্রত থাকুন। এটা আপনার জন্য অতিরিক্ত। হয়ত
বা আপনার পালনকর্তা আপনাকে মোকামে মাহমুদে পৌঁছাবেন। (সূরা বনি ঈসরাইল-৭৯)
ইমাম কুরতুবী রাহ বলেনঃ
ﻭﺍﻟﺘﻬﺠﺪ ﺍﻟﺘﻴﻘﻆ ﺑﻌﺪ
ﺭﻗﺪﺓ،
তাহাজ্জুদ হচ্ছে কিছু ঘুমানোর পর জাগ্রত হওয়া (ও নামাজ পড়া)।
আরো জানুন- https://ifatwa.info/45511/
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী বিতির নামাজ ৩ রাকাত পড়া ওয়াজিব। ৩য় রাকাতে রুকুর আগে দোয়ায়ে কুনুত পড়তে হবে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের নামায তিন রাকাত পড়তেন। যেসব
রেওয়ায়েতে তিন রাকাতের অধিক,
যথা পাঁচ, সাত বা নয় রাকাত পড়ার কথা বলা হয়েছে
সেখানেও মূল বিতর তিন রাকাত। বর্ণনাকারী পূর্বের বা পরের রাকাতসমূহ মিলিয়ে
সমষ্টিকে ‘বিতর’ বলে বর্ণনা করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতর
নামায তিন রাকাত পড়তেন তা নীচের হাদীসসমূহ দ্বারা প্রমাণিত।
عن أبي سلمة بن عبد
الرحمن أنه سأل عائشة رضي الله عنها كيف كان صلاة رسول الله صلى الله عليه وسلم في
رمضان؟ قالت ما كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يزيد في رمضان ولا في غيره على
إحدى عشرة ركعة، يصلي أربعا فلا تسأل عن حسنهن وطولهن، ثم يصلي أربعا فلا تسأل عن
حسنهن وطولهن ثم يصلي ثلاثا.
আবু সালামা ইবনে আবদুর রহমান উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. কে জিজ্ঞাসা করেন, ‘রমযানুল মুবারকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর নামায কীরূপ হত?’
উম্মুল
মুমিনীন বলেন, ‘নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানে ও রমযানের বাইরে এগারো রাকাতের বেশি
পড়তেন না। প্রথমে চার রাকাত পড়তেন-এত সুন্দর ও দীর্ঘ সে নামায, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। অতঃপর চার
রাকাত পড়তেন-এরও দীর্ঘতা ও সৌন্দর্য সম্পর্কে জানতে চেয়ো না। এরপর তিন রাকাত পড়তেন।’
(সহীহ বুখারী ১/১৫৪; সহীহ মুসলিম
১/২৫৪; সুনানে
নাসায়ী ১/২৪৮; সুনানে আবু
দাউদ ১/১৮৯; মুসনাদে
আহমদ ৬/৩৬)
বিতর নামাজ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/4372/
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. জ্বী হ্যাঁ, তাদেরকে unfriend করতে পারেন। বরং ফেসবুক চালালে যদি ফেতনার
আশংকা থাকে বা চোখের হেফাজত করা সম্ভব না হয় তাহলে আপনার জন্য ফেসবুক ব্যবহার করাও
বৈধ নয়।
২. হ্যাঁ, ২ রাকাতও পড়া
যাবে।
৩. হানাফী
মাযহাবে বিতির নামাজ
৩ রাকাত পড়া ওয়াজিব। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে এক
রাকাত বিতর পড়লে আপনার বিতর নামাজ হবে না।
৪. জ্বী হ্যাঁ, বিতর
নামাজ না পড়লে গোনাহ হবে। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি ঐ বিতর নামাজগুলো কাযা
করে নিবেন।