بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
এ সম্পর্কে
মাসআলা আমরা নিম্নের আলোচনা থেকেই বুঝতে পারবো,
فى الفتاوى
الهندية- أهدى إلى رجل شيئا أو أضافه إن كان غالب ماله من الحلال فلا بأس إلا أن
يعلم بأنه حرام ، فإن كان الغالب هو الحرام ينبغي أن لا يقبل الهدية ، ولا يأكل
الطعام إلا أن يخبره بأنه حلال ورثته أو استقرضته من رجل ، كذا في الينابيع
যদি এমন কেউ
কাউকে কিছু হাদিয়া দেয়,যার অধিকাংশ সম্পত্তি
হালাল,তাহলে সেই মালকে গ্রহণ করা নাজায়েয নয়।তবে যদি সে জানতে পারে
যে,দাতা হারাম থেকে দিচ্ছে তাহলে এমতাবস্থায় সেটা জায়েয হবে না।আর
যদি তার মালের অধিকাংশই হারাম থাকে,তাহলে এমন ব্যক্তির হাদিয়া গ্রহণ জায়েয হবে না।এমন ব্যক্তির ওখানে আহার করাও যাবে
না,
যতক্ষণ না সে হালাল খাবারের সংবাদ দিচ্ছে বা এটা বলছে যে,সে ধার করে নিয়ে এসে আহার করাচ্ছে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২)
সুতরাং বিত্তশালীর জন্য হারাম মাল থেকে হাদিয়া গ্রহণ
কখনো জায়েয হবে না। তবে যাকে হাদিয়া দেয়া হচ্ছে, তিনি যদি এমন মিসকিন হন যে, তার উপর যাকাত ওয়াজিব
হওয়ার পরিমাণ সম্পদ নেই। তাহলে এমন ব্যক্তির জন্য উক্ত হাদিয়া গ্রহণ জায়েয। কেননা হারাম
টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত
দেয়া। নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
من ملك بملك
خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া
সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)
রদ্দুল মুহতারে
বর্ণিত রয়েছে,
وَفِي
جَامِعِ الْجَوَامِعِ: اشْتَرَى الزَّوْجُ طَعَامًا أَوْ كِسْوَةً مِنْ مَالٍ
خَبِيثٍ جَازَ لِلْمَرْأَةِ أَكْلُهُ وَلُبْسُهَا وَالْإِثْمُ عَلَى الزَّوْج
ِتَتَارْخَانِيَّةٌ
যদি স্বামী
সন্দেহজনক মাল দ্বারা খাদ্য বা কাপড় ক্রয় করে,তাহলে স্ত্রীর জন্য উক্ত খাদ্য এবং কাপড়-কে গ্রহণ করা জায়েয রয়েছে। গোনাহ অবশ্য
স্বামীরই হবে। (তাতারখানিয়া) (রদ্দুল মুহতার-৬/১৯১)
শরীয়ত উপার্জন
সক্ষম বালেগ পুরুষ এর উপর আরো অনেকের লালন পালনের দায়িত্ব দিয়েছে। যেমন, উপার্জন অক্ষম মাতা-পিতা, নাবালিগ ছেলে, মেয়ে,স্ত্রী সহ অনেকের ভরণপোষণের দায়িত্ব রয়েছে একজন পুরুষের উপর।
এখন অভিবাবকের
সম্পদ হারাম হলে, সেই সম্পদ থেকে খরচ
না করে নিজ মাল থেকে খরচ করাই উচিৎ,যদি নিজের সম্পদ থাকে। তবে বালেগ ছেলের উপর ওয়াজিব যে, তার সম্পদ না থাকলেও সে হালাল তরিক্বায় তার জীবিকা নির্বাহ করার
চেষ্টা করবে। হ্যা উপার্জন অক্ষম ব্যক্তির জন্য অভিবাবকের হারাম মাল থেকে তাওবাহ-ইস্তেগফারেরর সাথে প্রয়োজন
পর্যন্ত খোরাকি গ্রহণ করা বৈধ রয়েছে। কেননা এই উপার্জন অক্ষম ব্যক্তিগণকে ভরণপোষণ করা
ঐ উপার্জন সক্ষম ব্যক্তির একান্ত দায়িত্ব ছিলো। সুতরাং গোনাহ ঐ অভিবাবকের-ই হবে। বিস্তারিত
জানতে দেখুন-(ফাতাওয়ায়ে উসমানী-৩/১২৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নেল্লিখিত
ছুরতে উপার্জন অক্ষম ব্যক্তির জন্য অভিবাবকের
হারাম মাল থেকে তাওবাহ-ইস্তেগফারেরর সাথে প্রয়োজন পর্যন্ত খোরাকি গ্রহণ করা
বৈধ রয়েছে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত গ্রহণ করা জায়েয নেই। সুতরাং
আপনার স্বামীকে হাদিয়া দেওয়া প্রয়োজনের অন্তর্ভূক্ত না হওয়াই তা জায়েয নেই। তবে হ্যাঁ
আপনার স্বামী যদি যাকাত / ফেতরা গ্রহণের উপযুক্ত হয়, তাহলে তাকে সাওয়াবের নিয়ত ছাড়া
দেওয়া জায়েয আছে।
আরো জানুন:
https://www.ifatwa.info/14636/?show=14636#q14636