আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
155 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
ওয়াসরুমের দরজায় দোয়া লিখে রাখলে কি গুনাহ হবে?ওয়াসরুমের দরজায় দোয়া লিখে রাখলে কি গুনাহ হবে?

ওয়াসরুমের দরজায় দোয়া লিখে রাখলে কি গুনাহ হবে?

ওয়াসরুমের দরজায় দোয়া লিখে রাখলে কি গুনাহ হবে?

ওয়াসরুমের দরজায় দোয়া লিখে রাখলে কি গুনাহ হবে?

ওয়াসরুমের দরজায় দোয়া লিখে রাখলে কি গুনাহ হবে?

ওয়াসরুমের দরজায় দোয়া লিখে রাখলে কি গুনাহ হবে?

ওয়াসরুমের দরজায় দোয়া লিখে রাখলে কি গুনাহ হবে?

দোয়া পড়ার কথা মনে না থাকলে, তাই ওয়াসরুমের দরজায় দোয়া লিখে রাখতে চাই।

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেনঃ
ﻭَﻟَﻮْ ﺗَﻮَﺿَّﺄَ ﻓِﻲ اﻟْﺨَﻼَءِ ﻟِﻌُﺬْﺭٍ ﻫَﻞْ ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺑِﺎﻟْﺒَﺴْﻤَﻠَﺔِ ﻭَﻧَﺤْﻮِﻫَﺎ ﻣِﻦْ ﺃَﺩْﻋِﻴَﺘِﻪِ ﻣُﺮَاﻋَﺎﺓً ﻟِﺴُﻨَّﺔِ اﻟْﻮُﺿُﻮءِ ﺃَﻭْ ﻳَﺘْﺮُﻛُﻬَﺎ ﻣُﺮَاﻋَﺎﺓً ﻟِﻠْﻤَﺤَﻞِّ؟ ﻭَاَﻟَّﺬِﻱ ﻳَﻈْﻬَﺮُ اﻟﺜَّﺎﻧِﻲ ﻟِﺘَﺼْﺮِﻳﺤِﻬِﻢْ ﺑِﺘَﻘْﺪِﻳﻢِ اﻟﻨَّﻬْﻲِ ﻋَﻠَﻰ اﻷَْﻣْﺮِ ﺗَﺄَﻣَّﻞْ.
যদি কেউ বাইতুল খালা বা বাথরুমে ওজু করে,তাহলে কি সে ওজুর মাসনুন দু'আ পড়বে? না ছেড়ে দিবে?আমার কাছে না পড়াই অগ্রগণ্য।(রদ্দুল মুহতার-১/৩৪৪)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1015

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বাথরুমের ভিতরে দু'আ পড়া যাবে না, এবং দু'আর স্টিকার লাগানোও যাবে না।
বাথরুমের দরজার বাহিরের দিকে এমনভাবে দু'আর স্টিকার লাগানো যে, দরজা খুলার সময় তা বাথরুমের ভেতরে চলে যায়।  তাহলে এমনভাবে দু'আর স্টীকার লাগানো জায়েয হবে না। তবে দরজা বাহিরের দিকে হলে, তখন দরজার বাহিরের অংশে লাগানো যেতে পারে।সর্বোপরি দু'আকে মুখস্থ করা করাই উত্তম লিখে রাখার চেয়ে। বিশেষকরে এরকম স্থানে।

দরজায় বিভিন্ন দু'আ লিখার রুখসত থাকলেও কুরআন লিখার কোনো সুযোগ থাকবে না।বরং মাকরুহ হিসেবে পরিগণিত হবে।

وَكَذَا يُكْرَهُ كِتَابَةُ الرِّقَاعِ وَإِلْصَاقُهَا فِي الْأَبْوَابِ لِمَا فِيهِ مِنْ الْإِهَانَةِ اهـ. وَاَللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ بِالصَّوَابِ.
কাগজে কুরআন লিখে দরজায় টাঙ্গানো মাকরুহ।কেননা এতেকরে কুরআনের অবমাননা হয়।(বাহরে রায়েক-২/৪০)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...