বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেনঃ
ﻭَﻟَﻮْ ﺗَﻮَﺿَّﺄَ ﻓِﻲ اﻟْﺨَﻼَءِ ﻟِﻌُﺬْﺭٍ ﻫَﻞْ ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺑِﺎﻟْﺒَﺴْﻤَﻠَﺔِ ﻭَﻧَﺤْﻮِﻫَﺎ ﻣِﻦْ ﺃَﺩْﻋِﻴَﺘِﻪِ ﻣُﺮَاﻋَﺎﺓً ﻟِﺴُﻨَّﺔِ اﻟْﻮُﺿُﻮءِ ﺃَﻭْ ﻳَﺘْﺮُﻛُﻬَﺎ ﻣُﺮَاﻋَﺎﺓً ﻟِﻠْﻤَﺤَﻞِّ؟ ﻭَاَﻟَّﺬِﻱ ﻳَﻈْﻬَﺮُ اﻟﺜَّﺎﻧِﻲ ﻟِﺘَﺼْﺮِﻳﺤِﻬِﻢْ ﺑِﺘَﻘْﺪِﻳﻢِ اﻟﻨَّﻬْﻲِ ﻋَﻠَﻰ اﻷَْﻣْﺮِ ﺗَﺄَﻣَّﻞْ.
যদি কেউ বাইতুল খালা বা বাথরুমে ওজু করে,তাহলে কি সে ওজুর মাসনুন দু'আ পড়বে? না ছেড়ে দিবে?আমার কাছে না পড়াই অগ্রগণ্য।(রদ্দুল মুহতার-১/৩৪৪)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1015
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বাথরুমের ভিতরে দু'আ পড়া যাবে না, এবং দু'আর স্টিকার লাগানোও যাবে না।
বাথরুমের দরজার বাহিরের দিকে এমনভাবে দু'আর স্টিকার লাগানো যে, দরজা খুলার সময় তা বাথরুমের ভেতরে চলে যায়। তাহলে এমনভাবে দু'আর স্টীকার লাগানো জায়েয হবে না। তবে দরজা বাহিরের দিকে হলে, তখন দরজার বাহিরের অংশে লাগানো যেতে পারে।সর্বোপরি দু'আকে মুখস্থ করা করাই উত্তম লিখে রাখার চেয়ে। বিশেষকরে এরকম স্থানে।
দরজায় বিভিন্ন দু'আ লিখার রুখসত থাকলেও কুরআন লিখার কোনো সুযোগ থাকবে না।বরং মাকরুহ হিসেবে পরিগণিত হবে।
وَكَذَا يُكْرَهُ كِتَابَةُ الرِّقَاعِ وَإِلْصَاقُهَا فِي الْأَبْوَابِ لِمَا فِيهِ مِنْ الْإِهَانَةِ اهـ. وَاَللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ بِالصَّوَابِ.
কাগজে কুরআন লিখে দরজায় টাঙ্গানো মাকরুহ।কেননা এতেকরে কুরআনের অবমাননা হয়।(বাহরে রায়েক-২/৪০)