আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
211 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (40 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। ৩ টি প্রশ্নের উত্তর।

১।ধরেন কোন স্ত্রী এখনো তার বাবার বাড়িতে থাকে।এখনো নামিয়ে নেয় নি ধরেন।তহ মেসেজে স্বামী স্ত্রীর কথা হয় ধরেন।স্ত্রীর মা বাবা জানে না বিয়ের কথা।মেসেজে ঝগড়ার সময়,ধরেন স্ত্রী তালাক চায়ল স্বামীর কাছে । স্বামী যদি বলে ঠিক আছে দিব তুর মা বাবার সাথে কথা বল।২-৩ দিনের মধ্যে শহরে যাব তখন দিব।এখানে তহ ভবিষ্যৎ এর দিকে ইন্গিত করে বলেছে ধরেন তাহলে কি তালাক হবে? আর এখানে কি কোন কেনায়া শব্দ বলেছে নাকি?

২।উপরোক্ত স্ত্রী মেসেজে তালাক চাওয়ার পর স্বামী যদি বলে ঠিক আছে তুর মা বাবার সাথে কথা বল অথবা যদি বলে তুর মা বাবার সাথে কথা বল তারপর আমাকে জানা ।ধরেন স্বামীর মনে ছিল দিবে আগে মা বাবাকে জানাতে।মানে এখনো দেয় নি দিবে আগে বাবার সাথে কথা বলতে।জানে না স্ত্রীর ধরেন এমনটা মনে হয়েছিল।স্বামীর ধরেন মনে নেই বা স্ত্রী জিগ্যেস করে নি কারন স্বামীর মনে নাও থাকতে পারে ভেবে। এখানে তহ মনে হয় কেনায়া শব্দ ও বলে নি, স্বামী মা বাবার সাথে কথা বলতে বলেছে ধরেন,গার্জিয়ান ডাকতে বলে নি  ওটা কি কেনায়া শব্দ? এমনটা বললে কি তালাক হবে?

৩।কোন স্ত্রী  মেসেজে যদি বলে স্বামীকে আমি তুমাকে তালাক দিব,তুমার সাথে থাকব না ইত্যাদি।তারপর যদি বলে মা বাবার সাথে কথা বলব। স্বামী যদি বলে ঠিক আছে বল।আপনি বলেছিলেন মেসেজে তালাক না চাইলে স্ত্রী দিবে বললেও এরপর ও নিয়ত ছাড়া কেনায়া শব্দ বললে তালাক হয় না।তহ উপরের  স্বামী নিয়ত ছাড়া বললে কি তালাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনাকে বলবো দয়াকরে আপনি এই তালাকের ওয়াসওয়াসাকে পরিহার করুন। কিভাবে পরিহার করবেন,সেটা হল, যখনই মনে এরকম ওয়াসওয়াসা আসবে, সাথে সাথেই মনকে বলবেন, আমি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রোগী, তাই আমার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুমে শীতিলতা রয়েছে।আমি অন্য দশজনের মত নই। কেননা ওয়াসওয়াসা রোগি কাউকে হত্যা করলেও শরীয়তের দৃষ্টিতে কেসাস আসেনা।ওয়াসওয়াসার রোগী সারাদিন কুফরি বাক্য উচ্ছারণ করলেও সে কাফির হয়না।বরং তার ঈমান বহাল থাকে।

যদি ওয়াসওয়াসা থেকে আপনি বের না হন,তাহলে আপনার ভবিষ্যত আপনি নিজেই নষ্ট করবেন।ওয়াসওয়াসা থেকে বের হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হল, এই চিন্তাকে পরিহার করে ভিন্ন চিন্তা গ্রহণ করা,লোকদের সাথে হাশিখুশিতে থাকা।

ইবনে হাজার হাইতামি রাহ এ সম্পর্কে বলেন,
( وسئل نفع الله به عن داء الوسوسة هل له دواء ؟
فأجاب بقوله : له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان - فإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون) (الفتاوى الفقهية الكبرى 1/149)
মর্মার্থ - পরিপূর্ণ ভাবে এই চিন্তাকে পরিহার করার চেষ্টা করাই এর সর্বোত্তম চিকিৎসা।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার সম্পূর্ণ প্রশ্ন পড়েছি।তালাক হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...