আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
234 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (81 points)
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।

স্ত্রী এখনে বাবার বাসায় থাকে।নামিয়ে নেয় নি।পড়ালেখা করে।তহ আজকে কথা বলতে বলতে মেসেজে স্বামী  কিছুক্ষণ মেসেজ দেয় নি হয়ত ব্যস্ত ছিল।স্ত্রী বলে আমি একটু ঘুমাব।স্বামী যখন একটু পর স্ত্রীর  মেসেজটা দেখে তখন রেগে যায়।বলে এমনিতে ঘুমাইতে হয় না? স্ত্রী স্বামী রেগে গেছে তাই সরি ও বলে।স্বামী বলে কথা বলব না।মাথা খারাপ করে দিছ।টানা ২ দিন ঘুমাবা যে।মেসেজ ও দিবা না আর।স্ত্রী তবু কথা বলার চেষ্টা করে।বলে মাফ করে দেন।স্বামী বলে মুখ দিয়ে গালি আসতেছে আমার।আরো বলে তুর কাজ তুই কর, আমার কাজ কিছু করতে হবে না,বালের সময় ও লাগবে না দিস না সময় আমাকে। তারপর বলে মাথা লারি দিছস।যতক্ষণ ইচ্ছা ততক্ষণ ঘুমা। আমার কিছু ভাল লাগতেছে না।তুর পড়ালেখা তুর কাজ যখন আমার কাছ থেকে সময়,কেড়ে নেয় আমি কিছু দেখি না চোখে।তুই ছাড়া তহ কেউ নাই আমার কথা বলার জন্য।কতদিন ধৈর্য ধরছি তুর পরিক্ষা তুর ক্লাস।্। আরো অনেক কিছু বলে।মূলত স্বামী চাইছিল কথা বলতে।স্ত্রী বুঝে নি ভাবছে স্বামী ব্যস্ত  ততক্ষণে একটু ঘুমাবে।স্বামী যখন কথা গুলো বলতেছিল স্ত্রী বার বার সরি আর মাফ করে দেন বলতেছিল।স্ত্রী তালাক চায় নি এবং একফোটা ঝগড়াও করে নি।স্ত্রী ভয় পাচ্ছে নিয়ত জিগ্যেস করলে আবার রাগে হ্যা বলবে মনে করে।এখানে তহ কোন কেনায়া শব্দ বলে নাই মনে হয় মানে কোন  কথা তহ কেনায়া বাক্য নাই মনে হয় উপরোক্ত কথায়? স্বামীকে কি নিয়ত জিগ্যেস করতে হবে কোন কথার?।এখানে স্বামীর কোন কথা দ্বারা কি কেনায়া তালাক হবে? দয়া করে একটু বলবেন।

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনাকে বলবো দয়াকরে আপনি এই তালাকের ওয়াসওয়াসাকে পরিহার করুন। কিভাবে পরিহার করবেন,সেটা হল, যখনই মনে এরকম ওয়াসওয়াসা আসবে, সাথে সাথেই মনকে বলবেন, আমি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রোগী, তাই আমার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুমে শীতিলতা রয়েছে।আমি অন্য দশজনের মত নই। কেননা ওয়াসওয়াসা রোগি কাউকে হত্যা করলেও শরীয়তের দৃষ্টিতে কেসাস আসেনা।ওয়াসওয়াসার রোগী সারাদিন কুফরি বাক্য উচ্ছারণ করলেও সে কাফির হয়না।বরং তার ঈমান বহাল থাকে।

যদি ওয়াসওয়াসা থেকে আপনি বের না হন,তাহলে আপনার ভবিষ্যত আপনি নিজেই নষ্ট করবেন।ওয়াসওয়াসা থেকে বের হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হল, এই চিন্তাকে পরিহার করে ভিন্ন চিন্তা গ্রহণ করা,লোকদের সাথে হাশিখুশিতে থাকা।

ইবনে হাজার হাইতামি রাহ এ সম্পর্কে বলেন,
( وسئل نفع الله به عن داء الوسوسة هل له دواء ؟
فأجاب بقوله : له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان - فإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون) (الفتاوى الفقهية الكبرى 1/149)
মর্মার্থ - পরিপূর্ণ ভাবে এই চিন্তাকে পরিহার করার চেষ্টা করাই এর সর্বোত্তম চিকিৎসা।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনাকে বলবো, আপনি প্রথসে অটিসি রোগের চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।তারপর একজন নেককার লোকের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলবেন। নেককার লোকের সাথে সদা সর্বদা সম্পর্ক রাখবেন।আল্লাহ আপনার সকল বিষয়কে আসান করে দিক।আমীন।

আপনার উপরের বক্তব্যকে কয়েকবার পড়েছি।এখানেতো তালাকের কিছুই পাইনি।তাহলে কেন আপনি নিয়ত জিজ্ঞাসা করতে যাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...