বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মকসুদুল মুমিনিন বইটি সম্পূর্ণ ভুল সেটা বলা যাবে না।হ্যা এই যৎসামান্য বিষয় সম্পর্কে বিজ্ঞজন প্রশ্ন তুলেছেন। যেহেতু নবীন শিক্ষার্থী ভাইগণ এ কিতাব পড়ে কোনটি সহীহ আর কোনটি সহীহ নয়,সেটা বুঝতে পারবেন না, পার্থক্য করতে পারবেন না।তাই আমাদের পরামর্শ হল,এ কিতাব পাথমিক পর্যায়ে না পড়াই উত্তম।
এ কথা অনস্বীকার্য যে,মকসুদুল মুমিন যারা লিখেছেন,তারা এ কিতাবের মাধ্যমে এ দেশে অনেক খেদমত করেছেন।এদেশের মানুষ এই কিতাবের মাধ্যমে দ্বীনের পথে এসেছেন।আল্লাহ লিখদেরকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুক।আমীন।
মকসুদুল মু'মিনিন কিতাবে যে বিষয়ে প্রশ্ন তুলা হয় যে,সেটা হল,কিছু আ'মল রয়েছে,যা নির্দিষ্ট সংখ্যায় করা হয়ে থাকে।অথচ নির্দিষ্ট সংখ্যার আ'মল ইসলামে গ্রহণযোগ্য নয়।এছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে কেউ প্রশ্ন তুলেননি।
আমরা পূর্বে অনেক ফাতাওয়ায় নির্দিষ্ট সংখ্যায় আ'মল সম্পর্কে বলে এসেছি যে,
মোটকথাঃ
কিছু দু'আ র বেলায় হাদীসে সংখ্যার উল্লেখ রয়েছে।সুতরাং সেগুলোকে উক্ত সংখ্যায় পড়াই সুন্নাত।অন্যদিকে কিছু দু'আ এমন রয়েছে যেগুলোতে সংখ্যার উল্লেখ আসেনি।সুতরাং সেগুলো কে বিশেষ কোনো সংখ্যা দ্বারা আখ্যায়িত করা,বা উক্ত সংখ্যার সাথে জরুরী মনে করা ঠিক হবে না।এমনকি বাড়াবাড়ি করলে বেদ'আত পর্যন্ত হুকুম আসবে।
হ্যা পূর্ববর্তী কিছু নেককার বান্দাগণ(সালাফে সালেহীন) তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু সংখ্যার পরামর্শ দেন বা পদ্ধতির পরামর্শ দেন,সেগুলোকে জরুরী বা সুন্নত মনে না করে আ'মলে নেয়া যেতে পারে।তবে এক্ষেত্রে এমন মনোভাব রাখতে হবে যে,উক্ত সংখ্যা বা পদ্ধতি আমাদের উদ্দেশ্য নয় বরং আমাদের উদ্দেশ্য হল, বেশী বেশী করে পড়া।কিন্তু কতটুকু পড়ালে বেশী হবে?সেটা তো আমরদের জানা নেই।তাই নেককার বান্দাদের পরামর্শকৃত একটা সংখ্যা বা পদ্ধতিকে আপাতত আমরা বেশীর মানদন্ড হিসেবে ধরে নিচ্ছি।এবং সাথে সাথে নিজেকে খালিছভাবে আল্লাহর সামনে উপস্থাপন করছি।হয়তো এই বেশী পড়ার মনোভাব থাকায় আল্লাহ আমাদের দু'আ কে কবুল করে নিতে পারেন।জাযাকুমুল্লাহ। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
1104