একটু ধ্যর্য নিয়ে যদি আমার ৭ টা প্রশ্নের জবাব দেন আমি আপনার প্রতি এহসানমন্দ থাকবো। আপনার এতো জবাব দেওয়া কষ্ট হবে কিন্তু আমি অনেক কিছুর ই সমাধান পাবো।দয়া করে প্রশ্ন গুলোর জবাব দিলে আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো।প্লিজ মুফতি সাহেব। আমি এই মাসে আর প্রশ্ন করবো না ইনশাআল্লাহ।
১. আজকে মসজিদে মিলাদের দাওয়াত দিয়েছিলো আসরের সময়, যে এশার পর মিলাদ আছে। এশার নামাজের আগে আমার বন্ধু আবার রুমে রুমে বের হয়েছিলো আবার সেই দাওয়াত জন্য।তখন আবার নিচে রান্না লর কাজ ও ছিলো, রুম থেকে বের হয়ে তাকে বললাম নিচে চলো, সে বললো এখন একটা দাওয়াত দিবো সবাইকে, তখন ক্ষানিক টা বিরক্ত হয়েই হয়তো তাকে বলেছিলাম, " দাওয়াত তো একবার দেওয়া হলোই, আবার!"এই কথা ঠিক কি জন্য বিরক্ত হয়ে বললাম বুঝতে পারছি না, এতে কি আমার কুফরি হবে?
২.বারবার নামাজ পরতে বলায় কেও যদি বিরক্ত হয়ে বলপ, "তোমার নামাজ তুমি পরো", "বলছো তো একবার গেলে যাবো", ইত্যাদি বললে কি কুফর হবে?
৩. কেও হয়তো একটা কথা কুফরি কি না কোনো প্রশ্নে জানতে চাইলো, বা একটা কাজ হালাল না হারাম জানতে চাইলো। প্রশ্ন শুনে বা পড়ে আমার মনে হলো যে এটা হয়তো কুফরি না বা ওই কাজটা হালাল। পরে দেখা গেলো ওই কথাটি কুফরি এবং কাজটি হারাম। আমি যে মনে মনে আন্তাজ করেছিলাম এর ফলে কি কুফর হবে?তখন কথা বা কাজে কিছুই প্রকাশ করি নি। এবং উত্তর জেনে তা মেনে নিয়েছি
৪.https://ifatwa.info/55563/ এইক্ষেত্রে ২ এবং ৩ এর ক্ষেত্রে কুফরি হবে?
৫.আমার বউ ও বাচ্চাদের পড়ায়, তো তার ও ইসলামী মতাদর্শের সাথে সাংগর্ষিক অনেক কিছু পড়াতে হয়, তো আমারো ভয় হয় যে তার দ্বারা কুফর হলো কি না। সে কিভাবে পড়ায় তা তো আমি দেখছি না, এখন তাকে কি বলে দিতে হবে?যে কিভাবে পড়াতে হবে?, না কি সে যেহেতু এতো বিস্তারিত এরা নিয়ে ভাবছে না, কুফর সম্পর্কে ও ধারনা নেই তাই তাকে এসব বিষয়ে কিছু না বলে তার মতো চলতে দিবো? দ্বিতীয় টা করতে পারবো কি যতোক্ষন না নিজে ইমান বিরোধী কিছু করতে দেখি। (আমার কেনো যেনো তাকে কুফর এর মাসআলা বা কি কি কথায় কাজে ইত্যাদি তে কুফর হয় তা জানাতে অনেক ইতস্তত লাগে)
৬. আমার বন্ধুর ছোট ভাইকে সিগারেট খেতে দেখে বলেছিলাম যে, তর ভাই দেখলাম সিগারেট খায়, তর মুরিদ না কি? এখানে মুরিদ শব্দের অবমাননা করার কোনো খেয়াল ই ছিলো না বলার পরে খেয়ালে এসেছে এই শব্দ ব্যবহার হথো উচিত হ নি, পরে তওবা করি। এজন্য কি কুফর হবে আমার?
৭. কুফর এর বিষয়াদি জানার পর আমার সকল কাজেই কুফরির সন্দেহ হয়, একটা ক্লাস করানোর সময়, কথা বলার সময়, হাসার সময়, সব কথায় কুফর হলো কি না হলো কিনা এই চিন্তায় অতিষ্ঠ। নামাজে গেলে মন থাকছে না, বিভিন্ন কথা মনে পরছে। উত্তর জানা পর্যন্ত অশান্তি লাগছে। বউ কি করলো বললো, মা বাবা কি করলেন বললেন তা নিয়ে কুফরির সন্দেহ হয়, মোট কথা অনেক চিন্তায় থাকি। প্রতিদিন অনেক কাজেই প্রশ্ন জাগে কুফর কি না, তাই আপনাদের ও প্রতিদিন বিরক্ত করছি প্রশ্ন করে। অনেক দোয়া করছি, কান্না করছি,আমার এই অবস্থা উত্তরন হচ্ছে না। বিষয়টা হালকা ও না যে চিন্তা মদথা থেকে ঝেরে ফেলবো, ইমান , পূর্বের সকল আমাল, বিবাহ অনেক কিছুই জড়িত। চিল্লায় ও যেতে পারছি না।আমার শুধু কান্না আসে। কি করবো বুঝে পাই না। ভালো ডাক্তার ও পাচ্ছি না। আমাকে স্বাভাবিক ভাবে বাঁচার কোনো পথা থাকলে বলে দিন। আমি আপনাদের থেকে আমলের মাসআলা জেনে জেনে আমল করতে চাই, প্রতিদিন কুফর সংক্রান্ত প্রশ্ন করে আপনাদের বিরক্তির কারণ হতে চাই না। দয়া করে আমাকে উপায় বাতলে।দিন।