আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (60 points)
reshown by

একটু ধ্যর্য নিয়ে যদি আমার ৭ টা প্রশ্নের জবাব দেন আমি আপনার প্রতি এহসানমন্দ থাকবো।  আপনার এতো জবাব দেওয়া কষ্ট হবে কিন্তু আমি অনেক  কিছুর ই সমাধান পাবো।দয়া করে প্রশ্ন গুলোর  জবাব দিলে আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো।প্লিজ মুফতি সাহেব। আমি এই মাসে আর প্রশ্ন করবো না ইনশাআল্লাহ। 

১. আজকে মসজিদে মিলাদের দাওয়াত দিয়েছিলো আসরের সময়, যে এশার পর মিলাদ আছে। এশার নামাজের আগে আমার বন্ধু আবার রুমে রুমে বের হয়েছিলো আবার সেই দাওয়াত জন্য।তখন আবার নিচে রান্না লর কাজ ও ছিলো, রুম থেকে বের হয়ে তাকে বললাম নিচে চলো, সে বললো এখন একটা দাওয়াত দিবো সবাইকে, তখন ক্ষানিক টা বিরক্ত হয়েই হয়তো তাকে বলেছিলাম, " দাওয়াত তো একবার দেওয়া হলোই, আবার!"এই কথা ঠিক কি জন্য বিরক্ত হয়ে বললাম বুঝতে পারছি না, এতে কি আমার কুফরি হবে?

২.বারবার নামাজ পরতে বলায় কেও যদি বিরক্ত হয়ে বলপ, "তোমার নামাজ তুমি পরো", "বলছো তো একবার গেলে যাবো",  ইত্যাদি বললে কি কুফর হবে?

৩. কেও হয়তো একটা কথা কুফরি কি না কোনো প্রশ্নে জানতে চাইলো, বা একটা কাজ হালাল না হারাম জানতে চাইলো। প্রশ্ন শুনে বা পড়ে আমার মনে হলো যে এটা হয়তো কুফরি না বা ওই কাজটা হালাল। পরে দেখা গেলো ওই কথাটি কুফরি এবং কাজটি হারাম। আমি যে  মনে মনে আন্তাজ করেছিলাম এর ফলে কি কুফর হবে?তখন কথা বা কাজে কিছুই প্রকাশ করি নি। এবং উত্তর জেনে তা মেনে নিয়েছি

৪.https://ifatwa.info/55563/ এইক্ষেত্রে ২ এবং ৩ এর ক্ষেত্রে কুফরি হবে?

৫.আমার বউ ও বাচ্চাদের পড়ায়, তো  তার ও ইসলামী মতাদর্শের সাথে সাংগর্ষিক অনেক কিছু পড়াতে হয়, তো আমারো ভয় হয় যে তার দ্বারা কুফর হলো কি না। সে কিভাবে পড়ায় তা তো আমি দেখছি না, এখন তাকে কি বলে দিতে হবে?যে কিভাবে পড়াতে হবে?, না কি সে যেহেতু এতো বিস্তারিত এরা নিয়ে ভাবছে না, কুফর সম্পর্কে ও ধারনা নেই তাই তাকে এসব বিষয়ে কিছু না বলে তার মতো চলতে দিবো? দ্বিতীয় টা করতে পারবো কি যতোক্ষন না নিজে ইমান বিরোধী কিছু করতে দেখি। (আমার কেনো যেনো তাকে কুফর এর মাসআলা বা কি কি কথায় কাজে ইত্যাদি তে কুফর হয় তা জানাতে অনেক ইতস্তত লাগে)

৬. আমার বন্ধুর ছোট ভাইকে সিগারেট খেতে দেখে বলেছিলাম যে,  তর ভাই দেখলাম সিগারেট খায়, তর মুরিদ না কি? এখানে মুরিদ শব্দের অবমাননা করার কোনো খেয়াল ই ছিলো না বলার পরে খেয়ালে এসেছে এই শব্দ ব্যবহার হথো উচিত হ নি, পরে তওবা করি। এজন্য কি কুফর হবে আমার?

৭. কুফর এর বিষয়াদি জানার পর আমার সকল কাজেই কুফরির সন্দেহ হয়, একটা ক্লাস করানোর সময়, কথা বলার সময়,  হাসার সময়, সব কথায় কুফর হলো কি না হলো কিনা এই চিন্তায় অতিষ্ঠ।  নামাজে গেলে মন থাকছে না, বিভিন্ন কথা মনে পরছে। উত্তর জানা পর্যন্ত অশান্তি লাগছে। বউ কি করলো বললো,  মা বাবা কি করলেন বললেন তা নিয়ে কুফরির সন্দেহ হয়, মোট কথা অনেক চিন্তায় থাকি। প্রতিদিন অনেক কাজেই প্রশ্ন জাগে কুফর কি না, তাই আপনাদের ও প্রতিদিন বিরক্ত করছি প্রশ্ন করে। অনেক দোয়া করছি, কান্না করছি,আমার এই অবস্থা উত্তরন হচ্ছে না। বিষয়টা হালকা ও না যে চিন্তা মদথা থেকে ঝেরে ফেলবো, ইমান ,  পূর্বের সকল আমাল, বিবাহ অনেক কিছুই জড়িত। চিল্লায় ও যেতে পারছি না।আমার শুধু কান্না আসে। কি করবো বুঝে পাই না। ভালো ডাক্তার ও পাচ্ছি না। আমাকে স্বাভাবিক ভাবে বাঁচার কোনো পথা থাকলে বলে দিন। আমি আপনাদের থেকে আমলের মাসআলা জেনে জেনে আমল করতে চাই, প্রতিদিন কুফর সংক্রান্ত প্রশ্ন করে আপনাদের বিরক্তির কারণ হতে চাই না। দয়া করে আমাকে উপায় বাতলে।দিন

1 Answer

0 votes
by (587,340 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
 " দাওয়াত তো একবার দেওয়া হলোই, আবার"

এই কথা বলার জন্য ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(২)
"তোমার নামাজ তুমি পরো", "বলছো তো একবার গেলে যাবো",  এই কথা বলার জন্য ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(৩)
আপনার উক্ত মনোভাবের দরুণ ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। তবে আপনি ভবিষ্যতে এই মনোভাব রাখবেন যে, এ বিষয়ে আমি অজ্ঞ,বিজ্ঞজন যা বলবেন, সেটাই ধর্তব্য হবে।

(৪)
না, ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(৫)
তাকে কুফর সম্পর্কে অবগত করবেন।তারপর বলে দিবেন, পড়ানোর সময় যাতে করে তিনি ইসলামি আকিদা উপস্থাপন করেন। 

(৬)
মুরিদ কুরআন হাদীসে বর্ণিত কোনো শব্দ নয়।তাই অবমাননার প্রশ্নই আসে না।

(৭)
আপনার জন্য আমাদের দু'আ থাকলো। আমরা মনে করি যে, আপনার সামনে একটিমাত্র রাস্তাই খোলা রয়েছে, সেটি হল, আপনি কোনো নেককার ব্যক্তির সংস্পর্শ গ্রহণ করবেন। যদি নেককার ব্যক্তি খুজে না পান, তাহলে তাবলীগে সময় লাগাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (587,340 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...