ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
শরীয়ত সম্মত জবাইয়ের পদ্ধতি হল,প্রতিটা প্রানী জবাইয়ের পূর্বে আলাদা আলাদা ভাবে বিসমিল্লাহ বলা ওয়াজিব।
এ প্রসঙ্গে কুরআনের কারীমের ঘোষনা হলঃ
ولا تأكلوا مما لم يذكر اسم اللّٰه عليه ،
তোমরা খওনা (ওইসব পশু)যাতে (জবাইকালে)আল্লাহর নাম নেয়া হয় নাই।এর দ্বারা স্পষ্ট হয়ে গেল যে,প্রত্যেক প্রানী জবাইকালে 'বিসমিল্লাহ 'এবং বিসমিল্লাহ পড়ার সঙ্গে জবাই করা জরুরী। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/880
এবং জবেহের রুকুন বা ফরযতুল্য বিষয় হচ্ছে,শরয়ী জবেহ হওয়া। শরয়ী জবেহের পদ্ধতি হল
فَرُكْنُهَا الذبح........إلي ان قال .......
، وَالذَّبْحِ هُوَ فَرْيُ الْأَوْدَاجِ وَمَحَلُّهُ مَا بَيْنَ اللَّبَّةِ وَاللَّحْيَيْنِ، َ
তরজমাঃ-জবেহের মাধমে প্রাণী হালাল হওয়ার রুকুন বা ফরযতুল্য বিষয় হচ্ছে জবেহ করা। এবং জবেহ বলা হয় শাহরগকে কর্তন করা,এবং তার স্থান হচ্ছে, বক্ষের উপরিভাগ থেকে চোয়ালের হাড় পর্যন্ত। (ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া ৫/২৮৫)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/379
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মোরগ জবাইকালে বিসমিল্লাহ না বললে, সেটাকে ভক্ষণ করা হারাম হয়ে যায় তবে সেটা নাপাক নয়। সুতরাং উক্ত মোরগের ঝুল বা মাংস শরীর কাপড়ে লাগলে শরীর বা কাপড় নাপাক হবে না।