ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://www.ifatwa.info/4385 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
তাহাজ্জুদের
পূর্বে ঘুমানো উত্তম হলেও তাহাজ্জুদের পূর্বে ঘুমানো জরুরী নয়।এব তাহাজ্জুদের পরে
ঘুমানোও জরুরী নয় বরং উত্তম।(আহসানুল ফাতাওয়া ৩/৪৯৩)
কেননা আল্লাহ পাক
দিনকে বানিয়েছেন কাজ করার জন্য এবং রাত্রকে বানিয়েছেন বিশ্রাম গ্রহণের জন্য। তাই
রাত্রে আমাদেরক ঘুমাতে হবে। এবং শেষরাত্রে এশা'র ওয়াক্ত শেষ
হওয়ার পর থেকে নিয়ে ফজরের ওয়াক্ত শুরুর পূর্ব পর্যন্ত যে কোনো এক মুহুর্তে
২-১২/২০রা'কাত নামায পড়তে হবে এবং পড়াটা সুন্নাত।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ-
ﺇِﻥَّ ﻧَﺎﺷِﺌَﺔَ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ ﻫِﻲَ
ﺃَﺷَﺪُّ ﻭَﻁْﺀًﺍ ﻭَﺃَﻗْﻮَﻡُ ﻗِﻴﻠًﺎ
নিশ্চয় এবাদতের
জন্যে রাত্রিতে উঠা প্রবৃত্তি দলনে সহায়ক এবং স্পষ্ট উচ্চারণের অনুকূল। (সূরা
মুযযাম্মিল-০৬)
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
إِنَّ رَبَّكَ فَعَّالٌ
لِّمَا يُرِيدُ
নিশ্চয় তোমার পরওয়ারদেগার যা ইচ্ছা করতে পারেন। সূরা হুদ, আয়াত নং-১০৭
তিনি অন্যত্রে ইরশাদ করেন-
إِنَّ اللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
সফলতার জন্য আল্লাহ
রহমত
অপরিহার্য বিষয়। তাই পরীক্ষাতে সফলতার জন্য চেষ্টা করা ও আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশী
বেশী দুআ করতে থাকা। সুতরাং পরীক্ষাতে কামিয়াবীর জন্য কিছু পরামর্শ থাকবে। যথা:
১. অলসতা ত্যাগ
করে নিজের
সাধ্যানুযায়ী কঠোর পরিশ্রম করা এবং পড়া মুখস্থ করা।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
وَلِكُلّٖ دَرَجَٰتٞ
مِّمَّا عَمِلُواْۖ وَلِيُوَفِّيَهُمۡ أَعۡمَٰلَهُمۡ وَهُمۡ لَا يُظۡلَمُونَ
আর সকলের জন্যই তাদের কর্ম অনুসারে মর্যাদা রয়েছে। আর আল্লাহ যেন তাদেরকে
তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দিতে পারেন। আর তাদের প্রতি কোন যুলম করা হবে না।’ (সূরা
আল-আহকাফ ১৯)
২. আল্লাহ
তায়ালার উপর ভরসা করা।
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
وَمَنْ يَتَوَكَّلْ
عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ
যে আল্লাহর উপর ভরসা করে আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট।’ (সূরা ত্বলাক : ৩)
৩. আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশী বেশী দুআ করতে থাকা। তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েও দুআ
করা।
হুযায়ফা রাযি. বলেন, كَانَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا
حَزَبَهُ أَمْرٌ صَلَّى ‘রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন কোন সংকটে পড়তেন, তখন নামাজে রত হতেন’। (আবু দাউদ ১৩১৯)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জ্বী, আপনি এভাবে দুআ করতে পারেন। এভাবে দুআ করাতে
কোনো সমস্যা নেই। তবে এটা মাথায় রাখতে হবে যে, আল্লাহ
তায়ালা চাইলে সব কিছু করতে পারেন। তবে সাধারণত তিনি নিয়মের বহির্ভূত কিছু করেন না অর্থাৎ
উত্তর পত্রে ভুল লিখে আসলেও বা এমসিকিউতে ভুল করে আসলেও তিনি সেগুলো সঠিক করে দিবেন বিষয়টা এমন নয়।
তবে আল্লাহ
তায়ালা চাইলে তা অসম্ভবের কিছু না।
উল্লেখ্য যে, সর্বোপরি
তাকদীরের ফায়সালার উপর সন্তুষ্ট থাকতে হবে।