আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু,
আমি জেনারেল লাইনে পড়াশোনা করি আলহামদুলিল্লাহ, আমার পরিবার একদমি প্র‍্যাক্টিসিং না,আমাদের বাসায় ২ রুম কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই বাসায় কোনো গায়রে মাহরাম আসলে বা কোনো মেহমান আসলে আমার রুমে চলে আসে, তাছাড়া আমি পর্দা করি এটা আমার বাবা চায়না, সে কালো বোরখা পরলেই বলে জ*ঙ্গী। চাচাতো ভাইদের সামনে পর্দা করলে,তাদের সাথে কথা না বললে নানা রকম ভাবে বকাঝকা করে,আমার চেহারা খারাপ এগুলা নিয়েও অনেক কিছু বলে, আগে মারামারিও করত এখন আলহামদুলিল্লাহ গায়ে হাত তুলে না কিন্তু আমার ভয় হয়।

কয়েকদিন আগে আমি কুরআন সহীহ্ করে শিখার জন্য বাসার পাশেই মাদরাসায় ভর্তি হয়, আম্মু সেটা আব্বুকে জানায়, তারপর আব্বু আরো রেগে যায় যে আমি জ*ঙ্গী হয়ে গেছি আরো অনেক কিছু,আমার মাদরাসায় যাওয়া বন্ধ।আমি ভাইদের সাথে কথা না বললে বাসা থেকে বের করে দিবে এমনও বলেছে।

আমার বিয়ের ব্যাপারে আমি একটা পরিপূর্ণ দ্বীনদার পরিবার চাই ইন শা আল্লাহ, কিন্তু আব্বু একটু দ্বীনদান, দাড়ি,টুপি দেখলেই জ*ঙ্গী ভাবে, আর আমাকে এমন জায়গায় বিয়ে দিতে চায় যেখানে আমার মোটেও ভালো লাগেনা।

আমার ইবাদতে অনেক ব্যাঘাত ঘটে আব্বু বাসায় থাকলে আমি সালাত পড়তে পারিনা ঠিক মতো,ফজরের সালাতও অনেক কাযা হয়, মাঝেমধ্যে এসবের জন্য আমার মধ্যেও অলসতা চলে আসে। ইচ্ছে করে পরিবারকে না জানিয়ে অনেক দূরে কোথাও চলে যেতে, এটা কি জায়েজ? আস্তে আস্তে আমারও ইবাদতের মধ্যে অলসতা চলে আসছে,দোয়ায় মন বসেনা, আশেপাশের কাউকেই আর ভালো লাগেনা।

এমতাবস্থায় আমি কি করতে পারি?
আফওয়ান অনেক বড় হয়ে গেলো প্রশ্নটা।

1 Answer

0 votes
by (719,600 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইমাম বোখারী রাহ হাসান বসরী রাহ থেকে বর্ণনা করেন,
" إن منعتْه أمُّه عن العشاء في الجماعة شفقة:لم يطعها "
যদি মা তার সন্তানের কল্যাণ কামনায় তাকে অন্ধকারে এশার জামাতে যেতে বাধা প্রদান করে,তাহলে এক্ষেত্রে মায়ের আদেশকে মানা যাবে না।(সহীহ বোখারী-১/২৩০)

ইমাম আহমদ রাহ কে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো,যার পিতা তাকে মসজিদে গিয়ে নামায পড়তে বারণ করে।ইমাম আহমদ রাহ প্রতিউত্তরে বললেন,
" ليس له طاعته في الفرض "
আল্লাহর ফরয বিধানের উল্টো পিতার আদেশকে মান্য করা যাবে না।(গেযাউল আদাব ফি শরহে মনযুমাতিল আদাব-১/৩৮৫) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1707

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যথাসম্ভব ফরয ইবাদত পালন করবেন।এক্ষেত্রে মাতাপিতার বিধিনিষেধের কোনো তোয়াক্কা করা যাবে না। হ্যা, প্রয়োজনে আপনি গোপনেও ইবাদত করতে পারেন।

আপনি তাহাজ্জুদের নামায পড়ে আল্লাহর কাছে মাতাপিতার হেদায়তের জন্য দু'আ করতে থাকুন। পরিস্থিতি বিবেচনায় এতটুকু বলা যেতে পারে যে, আপনি এমন কোনো দ্বীনদার পাত্রকে বাচাই করতে পারেন, যে আপনার দ্বীন পালনে সকল প্রকার সহযোগিতা করবে। এজন্য আপনি নিজেও বাচাই করতে পারবেন বা দ্বীনদার কারো মাধ্যমে বাচাই করে নিতে পারবেন।যদি দেশে বিয়ে সম্ভব না হয়, তাহলে বাহির দেশের কোথাও শিক্ষার উদ্দেশ্যে গিয়ে উভয় সেখানে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন। এজন্য মুসলিম কোনো দেশ বাচাই করাই উচিৎ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...