আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
71 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (38 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।

ifatwa.info/55475/

 এই লিন্কের ৩ নং উত্তরে বলেছেন তালাক হবে না।এখানে ধরেন তখন স্বামী কেনায়া তালাক সম্পর্কে জানত না।স্ত্রীও জানত না ধরেন।এখন স্ত্রী জানলেও কেনায়া তালাক সম্পর্কে স্বামী জানে না তেমন কিছু ধরেন। আর ধরেন কথাগুলো স্বামীর মনেও না থাকতে পারে আর উল্টা পাল্টা উত্তর দিতে পারে স্বামী কারন স্বামী  অত বেশি জানে না কি কি বললে বা কিভাবে বললে তালাক হতে পারে।আর  অনেক প্রশ্ন তাই একটা একটা করলে রেগে যেতে পারে তাই এতগুলো না করে ধরেন স্ত্রী এক্কেবারে করেছে ধরেন আর বলেছে কোনদিন তালাকের নিয়তে কিছু বলেছে কিনা।স্বামী যদি বলে না কোনদিন কোন কথা সেই নিয়তে বলে নি।স্বামী বলেও ছিল এই বিষয়ে প্রশ্ন না করতে।স্ত্রী তবু পরে কয়েকবার জিগ্যেস করেছিল সেই নিয়তে কিছু বলেছিল কিনা।স্বামী বার বার না বলেছে ধরেন।তহ আর জিগ্যেস করা কি উচিত হবে? কোন কি সমস্যা হবে একসাথে সংসার করলে?স্ত্রী ধারনার কথাটা হচ্ছে পূর্বের ৩ নং প্রশ্নটা।সরাসরি জিগ্যেস করে নি স্বামীকে।স্ত্রীর মনে হচ্ছে ওটা ঔইভাবে বলেছে।সিওর না। বাকিটা আল্লাহ জানে।কিন্তুু স্বামী বলেছে তিনি সেই নিয়তে কিছু বলে নি।

২।ifatwa.info/55475/

 এই লিন্কের ৩ নং প্রশ্নের মত কোন স্ত্রী যদি মেসেজে তালাক চায় আর বলে বাবা মার পছন্দমত বিয়ে করব গা।স্বামীও যদি ঠিক পরের কথাটার জন্য নিয়ত ছাড়া বলে করলে করগা বা কর গা বিয়ে বাবা মার পছন্দমত। তাহলে কি তালাক হবে? মানে বিয়ে করবে বলেছে যে এটার জন্য ধরেন বলেছে ঠিকি ৩ নং প্রশ্নের মত।এটা এমনিতে মাসআলা জানার জন্য করেছি প্রশ্ন

৩।জানি না আমার স্বামী আগের প্রশ্নের মত বলেছিল কিনা মানে উপরের লিন্ক ওটার ৩ নং প্রশ্নের মত আর কি।আমি তাই অন্য জনের দিকে ইন্গিত করে স্বামী স্ত্রী দিয়ে লিখেছি। কারন এটা নিয়ে মনে ভয়,আর ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে মানে প্রশ্ন ওটা নিয়ে।আমার স্বামীও আমাকে পাওয়ার দিছে।প্রশ্ন করার কারনে কি কোন সমস্যা হবে?

৪।কোন স্ত্রীকে পাওয়ার দিলেও মুখে সে ধরেন কোনদিন শুনে নি মেয়েরা ইসলামে এই অধিকার পায়।জানেও না। তহ মেয়েটা যদি স্বামীকে বলে নিজেকে তুমার কাছ থেকে দূরে সরাই ফেলব,দূরে চলে যাব বা যাচ্ছি ইত্যাদি ইত্যাদি। আর ধরেন সে জানত ও না কেনায়া তালাক কি সেটা সম্পর্কে। ধরেন তার মনে তালাকের ওয়াসওয়াসা বা চিন্তা থাকলেও সে নিজের দিকে ইন্গিত করে নি কারন সে জানতই না সেসব সম্পর্কে। তাহলে কি তালাক হবে?

৫।হুজুর সব প্রশ্ন কি বুঝেছেন? নাকি আবার লিখব?

৬।এই প্রশ্নের ৩নং প্রশ্নটা অন্য জনের দিকে ইন্গিত করে করেছি।আমার স্বামী পাওয়ার দিছে।এতে আমার বেৈবাহিক সম্পর্কে কি কোন ক্ষতি হবে?

৭।স্বামী যদি এমন গান গায় বা শোনায় বা এমনিতে বললে স্ত্রীকে বা ফেসবুক থেকে স্ত্রীকে শেয়ার করে আর বলে শোন এটা  যেখানে আছে" তোমাকে ছেড়ে আমি কি নিয়ে থাকব"।এমনিতে তালাকের উদ্দ্যশ্যে না।এর দ্বারা তালাক হবে?আর স্ত্রীকে গান না গেয়ে এমনিতে বললে ভালবেস তখন ও কি তালাক হবে?
by (1 point)
আপনি ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত মনে হচ্ছে, যা একটি মানসিক রোগ। অনেক দিনের শয়তানি ওয়াসওয়াসা, এ মানসিক রোগে পরিণত হয়। 
মেডিক্যালের ভাষায় ওবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসওর্ডার(OCD) বলে এটি সাধারণত মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নামক একটি নিউরোকেমিক্যালের বৃদ্ধি বা হ্রাসের কারণে হয় এবং এতে আক্রান্ত রোগীর অনেক মানসিক কষ্ট হয়। শুধু মাথায় এসব চিন্তায় ঘুরে ফিরে আসবে এবং তা থেকে বের হওয়া যায়না। তাই ভাই পরামর্শ হল, আপনি কোন সাইকিয়াট্রিস্ট  এর শরাণাপন্ন হোন অথবা সম্ভব না হলে সরকারি মেডিক্যালের সাইকিয়াট্রি বিভাগ এর আউটডোরে দেখান। ইনশাআল্লাহ এ রোগ ৩/৪ মাস মেডিসিনে ও কাউন্সিলিং এ ভাল হয় এবং মেডিসিন কন্টিনিউ করতে হবে, সাথে আল্লাহর কাছেও এ রোগ মুক্তির জন্য দোয়া করতে হয়। সাথে শায়েখের পরামর্শ মত ওয়াসওয়াসার আমল গুলো করবেন।

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


https://ifatwa.info/45369/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
তালাক খুবই মারাত্মক  একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
https://ifatwa.info/1049/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  

 "ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া) তে বর্ণিত রয়েছে,

 لَا يَقَعُ بِهَا الطَّلَاقُ إلَّا بِالنِّيَّةِ أَوْ بِدَلَالَةِ حَالٍ كَذَا فِي الْجَوْهَرَةِ النَّيِّرَةِ. ثُمَّ الْكِنَايَاتُ ثَلَاثَةُ أَقْسَامٍ (مَا يَصْلُحُ جَوَابًا لَا غَيْرُ) أَمْرُك بِيَدِك، اخْتَارِي، اعْتَدِّي (وَمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَرَدَّا لَا غَيْرُ) اُخْرُجِي اذْهَبِي اُعْزُبِي قُومِي تَقَنَّعِي اسْتَتِرِي تَخَمَّرِي (وَمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَشَتْمًا) خَلِيَّةٌ بَرِيَّةٌ بَتَّةٌ بَتْلَةٌ بَائِنٌ حَرَامٌ


কেনায়া শব্দাবলী দ্বারা নিয়ত ব্যতীত বা তালাকের ব্যাপারে ইশরা ইঙ্গিত ব্যতীত তালাক পতিত হয় না।কেনায়া তালাক তিন প্রকার যথাঃ-


(১)

যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক ব্যতীত ভিন্ন কিছু বুঝা যায় না।যেমন,তোমার বিষয় তোমার হাতে,তুমি পছন্দ করো,তুমি গণনা করো।


(২) যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক হওয়া এবং না হওয়া উভয়টি বুঝায়।যেমন,তুমি বের হও,তুমি চলে যাও,তুমি আমার কওম থেকে দূরে চলে চাও,তুমি নেকাব পরিধান করো,তুমি পর্দার আড়ালে চলে যাও,তুমি উড়না পরিধান করো।


(৩) যা তালাক এবং গালির উভয়টির সম্ভাবনা রাখে। হারাম,বায়িন,মুক্ত,দায়মুক্ত, বাত্তাহ,বাতলাহ ইত্যাদি শব্দাবলি।


পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট তিন প্রকারঃ যথাঃ- 

وَالْأَحْوَالُ ثَلَاثَةٌ (حَالَةُ) الرِّضَا (وَحَالَةُ) مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ بِأَنْ تَسْأَلَ هِيَ طَلَاقَهَا أَوْ غَيْرُهَا يَسْأَلُ طَلَاقَهَا (وَحَالَةُ) الْغَضَبِ 

পরিবেশ ও পরিস্থিতি তিন প্রকার।(১) হালতে রেযা- খুশির হালত(২) তালাকের শব্দাবলী উচ্ছারণের হালত(৩) রাগান্বিত অবস্থা।


فَفِي حَالَةِ الرِّضَا لَا يَقَعُ الطَّلَاقُ فِي الْأَلْفَاظِ كُلِّهَا إلَّا بِالنِّيَّةِ وَالْقَوْلُ قَوْلُ الزَّوْجِ فِي تَرْكِ النِّيَّةِ مَعَ الْيَمِينِ

(১) খুশির হালতে নিয়ত ব্যতীত কেনায়া শব্দাবলী দ্বারা তালাক পতিত হবে না।নিয়ত না থাকার বিষয়ে স্বামীর কথাই কসমের সাথে গ্রহণযোগ্য। 


وَفِي حَالَةِ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ يَقَعُ الطَّلَاقُ فِي سَائِرِ الْأَقْسَامِ قَضَاءً إلَّا فِيمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَرَدَّا فَإِنَّهُ لَا يُجْعَلُ طَلَاقًا كَذَا فِي الْكَافِي

(২)তালাকের আলোচনার পরিস্থিতিতে সকল প্রকার কেনায়া তালাকে তালাক পতিত হবে।তবে যে শব্দগুলো তালাকের আবেদনের জবাব এবং রদ উভয়টা বুঝাবে,সে শব্দগুলো দ্বারা তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
উপরে উল্লেখ রয়েছে যে তালাকের আলোচনার পরিস্থিতিতে যে শব্দগুলো তালাকের আবেদনের জবাব এবং রদ উভয়টা বুঝাবে,সে শব্দগুলো দ্বারা তালাক পতিত হবে না।
সে শব্দ গুলো দিয়ে তালাক হওয়ার জন্য নিয়ত শর্ত।
সেই শব্দ গুলো হলোঃ
তুমি বের হও,তুমি চলে যাও,তুমি আমার কওম থেকে দূরে চলে চাও,চলে যাও,বের হও ইত্যাদি।  

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্য ""চলে যাও""
এটিও এমন ধরনেরই বাক্য।
এই বাক্যে তালাকের নিয়ত ছাড়া বললে তালাক হয়না।
,
তাই উপরোক্ত ছুরতে যদিও তালাকের  মজলিস পাওয়া গিয়েছে, তবুও যেহেতু  স্বামীর তালাকের নিয়ত ছিলোনা,তাই তালাক হবেনা। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
স্বামী যেহেতু বলেছে যে সে তালাকের নিয়তে কিছু বলেনি,তাই আপনি নিশ্চিত থাকুন,প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা। 

(০২)
তালাকের আলোচনার পরিস্থিতিতে যে শব্দগুলো তালাকের আবেদনের জবাব এবং রদ উভয়টা বুঝাবে,সে শব্দগুলো দ্বারা তালাক পতিত হবে না।
সে শব্দ গুলো দিয়ে তালাক হওয়ার জন্য নিয়ত শর্ত

তবে প্রশ্নে উল্লেখিত শব্দ "বাবা মার পছন্দমত বিয়ে কর"
এয়াতি এমন শব্দ নহে।
এই শব্দ তালাকের মজলিসে বললে নিয়ত ছাড়াই তালাক হয়ে যাবে।

সুতরাং এক্ষেত্রে তালাক হয়ে যাবে।

(০৩)
প্রশ্ন করার কারনে কোন সমস্যা হবেনা।

(০৪)
এতে তালাক হবেনা।

(০৫)
সব বুঝেছি।
বুঝে শুনেই জবাব লিখেছি।

আবার একই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন না করার পরামর্শ থাকবে।

(০৬)
এতে আপনার বৈবাহিক সম্পর্কে কোন ক্ষতি হবেনা।

(০৭)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...