জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
গীবতের গুনাহ খুবই মারাত্মক, তাই আমাদের জানতে হবে যে গীবত কি?
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «أَتَدْرُونَ مَا الْغِيبَةُ؟» قَالُوا: اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: «ذِكْرُكَ أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ» قِيلَ أَفَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ فِي أَخِي مَا أَقُولُ؟ قَالَ: «إِنْ كَانَ فِيهِ مَا تَقُولُ، فَقَدِ اغْتَبْتَهُ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِيهِ فَقَدْ بَهَتَّهُ»
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম বলেছেনঃ তোমরা কি জান, গীবত কি? তাঁরা বললেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেনঃ গীবত হল তোমার ভাইয়ের সম্পর্কে এমন কিছু আলোচনা করা, যা সে অপছন্দ করে। প্রশ্ন করা হলঃ আমি যা বলেছি তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থেকে থাকে, তাহলে আপনি কি বলেন? তিনি বললেনঃ তুমি তার সম্পর্কে যা বলেছ তা যদি তার মধ্যে থাকে, তাহলেই তুমি তার গীবত করলে। আর যদি তা তার মধ্যে না থাকে, তাহলে তো তুমি তার প্রতি অপবাদ আরোপ করলে। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৫৮৯, ৭০, সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-১১৪৫৪, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৭৫৮, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৬২৯৩, মুজামে ইবনে আসাকীর, হাদীস নং-১৪১৭, সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-২১১৬৩}
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
এতে গীবত হবেনা।
(০২)
নির্দিষ্ট সম্পর্কে যেই কথা গুলি বলা হয়েছে,যাকে আপনি চিনেনও,সুতরাং এটি গীবত হয়েছে।
(০৩)
কোনো দোষ নিয়ে সমালোচনা করলে গীবত হবে।
(০৪)
এখানে তাদেরকে যদি আপনি চিনেন,সেক্ষেত্রে তাদের দোষ নিয়ে সমালোচনা করলে গীবত হবে।
তবে তাদের সমালোচনা করা বিশেষ প্রয়োজনীয়তার আওতায় পড়লে,সেক্ষেত্রে গীবত জায়েজ হবে, এ সংক্রান্ত জানুনঃ-