بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/20948/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, স্বামী-স্ত্রী
এক অপরকে সম্মান সূচক নাম ব্যবহার করে ডাকবে। বিশেষ করে স্ত্রী তার স্বামীকে সর্বক্ষেত্রে সম্মান প্রদর্শন করবে।পরিবারের মধ্যে যেহেতু স্বামীর
মর্যাদা স্ত্রীর চেয়ে একটু উপরে তাই স্ত্রী কখনো তার স্বামীর নাম ধরে ডাকবে না। কেননা
এতে বেয়দবী মূলক আচরণের বহির্প্রকাশ ঘটে।
এ সম্পর্কে ফাতাওয়া শামীতে
বর্ণিত আছে।
( ﻭﻳﻜﺮﻩ
ﺃﻥ ﻳﺪﻋﻮ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﺃﺑﺎﻩ ﻭﺃﻥ ﺗﺪﻋﻮ ﺍﻟﻤﺮﺃﺓ ﺯﻭﺟﻬﺎ ﺑﺎﺳﻤﻪ ) ﺍ ﻫـ ﺑﻠﻔﻈﻪ .
ছেলে কর্তৃক তার পিতাকে এবং
স্ত্রী কর্তৃক তার স্বামীকে নাম ধরে ডাকা মাকরুহ।
ইবনে আবেদীন শামী রাহ উক্ত
বক্তব্যর সুস্পষ্ট ব্যখ্যা প্রদান করে বলেনঃ-
ﻗﻮﻟﻪ ﻭﻳﻜﺮﻩ ﺃﻥ
ﻳﺪﻋﻮ ﺇﻟﺦ ) ﺑﻞ ﻻ ﺑﺪ ﻣﻦ ﻟﻔﻆ ﻳﻔﻴﺪ ﺍﻟﺘﻌﻈﻴﻢ ﻛﻴﺎ ﺳﻴﺪﻱ ﻭﻧﺤﻮﻩ ﻟﻤﺰﻳﺪ ﺣﻘﻬﻤﺎ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﻟﺪ ﻭﺍﻟﺰﻭﺟﺔ
، الخ
ﺍﻟﻜﺘﺐ » ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ
ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ » ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺤﻈﺮ ﻭﺍﻹﺑﺎﺣﺔ » ﻓﺼﻞ ﻓﻲ ﺍﻟﺒﻴﻊ » ﻓﺮﻉ ﻳﻜﺮﻩ ﺇﻋﻄﺎﺀ ﺳﺎﺋﻞ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ
ﺇﻻ ﺇﺫﺍ ﻟﻢ ﻳﺘﺨﻂ ﺭﻗﺎﺏ ﺍﻟﻨﺎﺱ،٦/٤١٨.
বরং এমন শব্দের মাধ্যমে ডাকা
একান্ত প্রয়োজন যা সম্মান বুঝাবে, যেমনঃ- হে
আমার সর্দার, অমুকের পিতা ইত্যাদি, অথবা
সম্মানসূচক পেশার সাথে সংযুক্ত করে ডাকবে, যেমন,ইমাম সাহেব,ডাক্তার সাহেব ইত্যাদি)। কেননা পিতা এবং স্বামী,
তাদের উভয়ের হক্ব একটু বেশীই।
বিস্তারিত জানুনঃ https://ifatwa.info/1022/
স্বামীর নাম মুখে আনলে বা
প্রয়োজনে কখনো তাকে নাম ধরে ডাকলে গোনাহ হয় না। কিন্তু স্বামী যেহেতু নারীর প্রধান
এবং পরম অভিবাবক-মুরব্বি অতএব নিজ পিতা-মাতা, চাচা, মামা ও
শিক্ষকের ন্যায় স্বামীকেও নাম ধরে ডাকা শোভনীয় নয়। আমাদের মুসলিম সমাজে স্বামীর নাম
মুখে না আনার বিষয়টি সম্ভবত এ সম্মান ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতেই চালু হয়েছে। স্বামীর নাম
মুখে আনায় গোনাহ না হলেও অসমীচীনতাজনিত ত্রু টি অবশ্যই হয়। অবশ্য ক্ষেত্রভেদে এ অশোভনীয়তার
বিধি শিথিলযোগ্য।
★প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনি ভাই/বোন!
আদর করে যদি কোন স্ত্রী
তার স্বামীকে বাবু , বেবী জান ইত্যাদী বলে ডাকে তাহলে এতে কোন গুনাহ হবে না। তবে সামাজিক
ভাবে মুরব্বীদের নিকট শব্দগুলি দৃষ্টিকটু মনে করা হয়। বিধায় উক্ত শব্দগুলি না বলাই
শ্রেয়। বরং এগুলির পরিবর্তে ভিন্ন শব্দ বা বাক্য উচ্চারণ করাই উত্তম।