আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
107 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (189 points)
edited by
ঘটনা:১

স্ত্রী স্বামীকে জিজ্ঞেস করলো "সত্যি কেনায়া বলার সময় তোমার তালাকের নিয়ত ছিল না?"
তার নিয়ত ছিল না তাই উত্তরে স্বামী হ্যা সূচক মাথা নাড়ায়।
পরে স্ত্রী ভয় পেয়ে যায়, বলে তুমি মাথা নাড়লা কেন?
তখন স্বামী বলে, "আরে না বলেছি"।
স্বামীর "আরে না বলছি" বলার মানেও হলো তার নিয়ত ছিল না এইটা বুঝিয়েছে।
এক প্রশ্নের একই জবাব স্বামী এইখানে ২ ভাবে বলছে।
প্রথমে স্বামী হ্যা সূচক মাথা নাড়িয়ে পরে স্ত্রীকে ব্যাখ্যা করেছে "আরে না বলেছি"। স্বামীর কোনো নিয়ত ছিল না তাই দুই ভাবেই উত্তরে বুঝিয়েছে তার নিয়ত ছিল না।

১. প্রথমে স্বামীর হ্যা সূচক মাথা নাড়িয়ে উত্তর দেওয়া কি সঠিক হয়েছে?
এই প্রশ্নের জবাবে ওলি উল্লাহ হুজুর আপনি বলেছেন-

"★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

(০১)

আমাদের সমাজ অনুযায়ী এক্ষেত্রে না সূচক মাথা নাড়ানো সঠিক ছিলো।

তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্বামীর হ্যা সূচক মাথা নাড়িয়ে উত্তর দেওয়া সঠিক হয়নি।"

প্রশ্ন: স্বামী হ্যা সূচক মাথা নাড়িয়ে বুঝিয়েছে নিয়ত ছিল না।যেহেতু এইখানে স্বামীর হ্যা সূচক মাথা নাড়িয়ে উত্তর দেওয়া সঠিক হয় নি- এতে কি তালাকের কিছু হবে?

ঘটনা ২:

স্বামী স্ত্রী তালাকের মাসালা নিয়ে  আলোচনা করছিল।

স্ত্রী তখন জানতে পারল স্বামী কখনও কেনায়া বাক্য তালাকের নিয়তে বলে নাই।

তারপর স্ত্রী স্বামীকে কথায় কথায় এমনেই বলল "কেনায়া বলার সময় তোমার নিয়ত ছিল না" (স্ত্রী প্রশ্ন করে নাই)।

তখন স্বামী বলে "হ্যাঁ"

১. স্বামীর এইভাবে হ্যাঁ বলে উত্তর দেওয়া কি সঠিক হয়েছে?

২. যেহেতু সে হ্যা দিয়ে নিয়ত না থাকাকেই বুঝায় আর যদি হ্যা বলে তার উত্তর দেওয়া সঠিক না হয়ে থাকে তাহলে কি তালাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (679,640 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ-

كَمَا  لَوْ أَقَرَّ بِالطَّلَاقِ هَازِلًا  أَوْ كَاذِبًا فَقَالَ فِي الْبَحْرِ، وَإِنَّ مُرَادَهُ لِعَدَمِ الْوُقُوعِ فِي الْمُشَبَّهِ بِهِ عَدَمُهُ دِيَانَةً، ثُمَّ نَقَلَ عَنْ الْبَزَّازِيَّةِ وَالْقُنْيَةِ لَوْ أَرَادَ بِهِ الْخَبَرَ عَنْ الْمَاضِي كَذِبًا لَا يَقَعُ دِيَانَةً، وَإِنْ أَشْهَدَ قَبْلَ ذَلِكَ لَا يَقَعُ قَضَاءً أَيْضًا. اهـ. 

অনুরুপ ভাবে যদি স্বামী মিথ্যা বা তামাশা মূলক তালাকের স্বীকারোক্তি দেয়,তাহলে বাহরুর রায়েক গ্রন্থে বলা হয়েছে যে এটি দিয়ানাতান তথা আল্লাহর নিকট তালাক বলে গন্য হবে না।
,
অতঃপর বাযযাযিয়া ও ক্বুনয়া কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, যদি এই মিথ্যা স্বীকারোক্তি দ্বারা অতীতের তালাকের খবর স্বামী দেয়,তাহলে দিয়ানাতান (আল্লাহর নিকট) তালাক হবে না। 
(কাযা'আন তালাক হবে।)

কিন্তু যদি তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তির পূর্বে স্বামী এ ব্যাপারে সাক্ষী রাখে, তাহলে  কাযা'আনও (তথা কাযী সাহেবের নিকট তালাক নিয়ে স্বামী স্ত্রীর ঝগড়ার মূহুর্তেও) তালাক হবে না।(রদ্দুল মুহতার-৩/২৩৬)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ঘটনা:১
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে তালাক হবেনা।

ঘটনা ২:
(০১)
স্বামী যেহেতু তালাকের নিয়তে কেনায়া বাক্য বলেনি,তাই তার জন্য এইভাবে হ্যাঁ বলে উত্তর দেওয়া ঠিক হয়নি।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...