আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (32 points)
আসসালামু আলাইকুম।

(১) হ্যামস্টার (Hamster) পালা কি জায়েজ?

(২) আমার পায়ে চর্মরোগ হওয়ার কারনে চুলকানোর পর সেখান থেকে নাপাক তরল পানি বের হচ্ছে। অল্প অল্প বের হচ্ছে কিন্তু একটু পর পরই বের হচ্ছে। যেহেতু সেখানে পানি দিলে খুব বেশি সমস্যা হবে না, তাই আমি মাযুর নই।
কিন্তু সেখান দিয়ে অল্প অল্প তরল পানির মত বের হচ্ছে যার কারনে আমি ওজু করতে পারতেছি না। কারন,
কারন-১ঃ ওজু করার সময় পায়ে পানি দিলে সেই পায়ের নাপাকি সহ সারা পায়ে পানিটা লাগে। অনেকক্ষন পানির কলের নিচে পা রাখলেও তো লাভ হওয়ার কথা না। কারন একটু পর পর তো অল্প অল্প তরল বের হচ্ছে। এই তরল এক দিরহামের কম হওয়ার পরও ওজুর সময় পায়ে পানি দিলে তা সারা পায়েই ছড়িয়ে যাচ্ছে।

কারন-২ঃ এখন আমি যদি সারা পায়ে পানি দিয়ে সাথে সাথে ব্যান্ডেজ লাগাই, তাও একটা সমস্যা আছে। কারন আমি যখন পা ধুচ্ছি, তখন তো পায়ে নাপাকি একটু পর পর বের হচ্ছেই, তো আমি পা ধোয়ার পরেও তো ধোয়ার সময় ক্ষত স্থান ধোয়ার সেই পানি পায়ের বাকি অংশে লাগছে।
এখন ক্ষত স্থানে ব্যান্ডেজ লাগানোর পরও তো পায়ের বাকি অংশের যেই পানি লেগে আছে সেই পানি তো নাপাক থাকার কথা, তাহলে সেই পানি থাকার কারনে পায়ের বাকি অংশ নাপাক থাকার কথা।
আর যদি ব্যান্ডেজ লাগানোর পর পায়ের বাকি অংশ (যেখানে ক্ষত স্থান থেকে ছড়িয়ে পড়া পানি লেগে আছে) যদি ধুতে যাই, তাহলে One time ব্যান্ডেজ হওয়ার কারনে ব্যান্ডেজে পানি লেগে সেই ব্যান্ডেজ খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা।
এর কারনে কিছু করা কষ্টকর হচ্ছে। আর ভুলে সেই স্থানে হাত লাগলে সেই হাত আবার ধোয়া লাগছে। তা নাহলে অন্য কোনো জিনিস ধরতেও পারতেছি না।
এমন অবস্থায় করনীয় কি?

(৩) কেউ যদি কালিমা শাহাদাত এর শুধু বাংলা অর্থ মুখে উচ্চারন করে বলে (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই.....) এভাবে মুখে উচ্চারণ করে, তাহলে কি সেই ব্যাক্তি মুসলমান হিসেবে বিবেচিত হবে?
নাকি মুসলমান হওয়ার জন্য আরবি ভাষায় (আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু.....) এভাবে বলাই লাগবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)

প্রাণীদের বন্দী করে লালন পালন করা ও পোষা জায়েয রয়েছে। শুকুর এবং কয়েক শ্রেণীর কুকুর ব্যতীত  কুকুর লালন পালন করা নাজায়েয ও হারাম।তাছাড়া অন্যান্য প্রাণীকে পোষা ও লালন পালন করার সাধারণ বিধান হল,বৈধতা।

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে,


عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ الله عَنْه قَالَ : كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحْسَنَ النَّاسِ خُلُقًا ، وَكَانَ لِي أَخٌ يُقَالُ لَهُ أَبُو عُمَيْرٍ ، وَكَانَ إِذَا جَاءَ قَالَ : ( يَا أَبَا عُمَيْرٍ ، مَا فَعَلَ النُّغَيْرُ ؟ نُغَرٌ كَانَ يَلْعَبُ بِهِ )


নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবচেয়ে অধিক সদাচারী ছিলেন। আমার এক ভাই ছিল; ‘তাকে আবূ ‘উমায়র’ বলে ডাকা হতো। আমার ধারণা যে, সে তখন মায়ের দুধ খেতো না। যখনই সে তাঁর নিকট আসতো, তিনি বলতেনঃ হে আবূ ‘উমায়র! কী করছে তোমার নুগায়র? সে নুগায়র পাখিটা নিয়ে খেলতো।(সহীহ বোখারী-৬২০৩,সহীহ মুসলিম-২১৫০)

প্রাণী লালন-পালন কয়েকটি শর্তে ভিত্তিতে জায়েয।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4980

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নিয়মিত খাবার দিতে হবে,ও কষ্ট দেয়া যাবেনা,এই শর্তে  প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হ্যামস্টার (Hamster) পালা জায়েজ আছে।

(০২)
এমন অবস্থায় করনীয় হলো,ক্ষত স্থান ব্যাতিত পায়ের অন্যান্য অংশ ধুয়ে নিবেন।
ক্ষত স্থান বা ব্যান্ডেজের উপর হাত দিয়ে মাসাহ করে নিবেন।

(০৩)
কেউ যদি কালিমা শাহাদাত এর শুধু বাংলা অর্থ মুখে উচ্চারন করে বলে,তাহলে সেই ব্যাক্তি মুসলমান হিসেবে বিবেচিত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...