আসসালামু আলাইকুম।
(১) হ্যামস্টার (Hamster) পালা কি জায়েজ?
(২) আমার পায়ে চর্মরোগ হওয়ার কারনে চুলকানোর পর সেখান থেকে নাপাক তরল পানি বের হচ্ছে। অল্প অল্প বের হচ্ছে কিন্তু একটু পর পরই বের হচ্ছে। যেহেতু সেখানে পানি দিলে খুব বেশি সমস্যা হবে না, তাই আমি মাযুর নই।
কিন্তু সেখান দিয়ে অল্প অল্প তরল পানির মত বের হচ্ছে যার কারনে আমি ওজু করতে পারতেছি না। কারন,
কারন-১ঃ ওজু করার সময় পায়ে পানি দিলে সেই পায়ের নাপাকি সহ সারা পায়ে পানিটা লাগে। অনেকক্ষন পানির কলের নিচে পা রাখলেও তো লাভ হওয়ার কথা না। কারন একটু পর পর তো অল্প অল্প তরল বের হচ্ছে। এই তরল এক দিরহামের কম হওয়ার পরও ওজুর সময় পায়ে পানি দিলে তা সারা পায়েই ছড়িয়ে যাচ্ছে।
কারন-২ঃ এখন আমি যদি সারা পায়ে পানি দিয়ে সাথে সাথে ব্যান্ডেজ লাগাই, তাও একটা সমস্যা আছে। কারন আমি যখন পা ধুচ্ছি, তখন তো পায়ে নাপাকি একটু পর পর বের হচ্ছেই, তো আমি পা ধোয়ার পরেও তো ধোয়ার সময় ক্ষত স্থান ধোয়ার সেই পানি পায়ের বাকি অংশে লাগছে।
এখন ক্ষত স্থানে ব্যান্ডেজ লাগানোর পরও তো পায়ের বাকি অংশের যেই পানি লেগে আছে সেই পানি তো নাপাক থাকার কথা, তাহলে সেই পানি থাকার কারনে পায়ের বাকি অংশ নাপাক থাকার কথা।
আর যদি ব্যান্ডেজ লাগানোর পর পায়ের বাকি অংশ (যেখানে ক্ষত স্থান থেকে ছড়িয়ে পড়া পানি লেগে আছে) যদি ধুতে যাই, তাহলে One time ব্যান্ডেজ হওয়ার কারনে ব্যান্ডেজে পানি লেগে সেই ব্যান্ডেজ খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা।
এর কারনে কিছু করা কষ্টকর হচ্ছে। আর ভুলে সেই স্থানে হাত লাগলে সেই হাত আবার ধোয়া লাগছে। তা নাহলে অন্য কোনো জিনিস ধরতেও পারতেছি না।
এমন অবস্থায় করনীয় কি?
(৩) কেউ যদি কালিমা শাহাদাত এর শুধু বাংলা অর্থ মুখে উচ্চারন করে বলে (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই.....) এভাবে মুখে উচ্চারণ করে, তাহলে কি সেই ব্যাক্তি মুসলমান হিসেবে বিবেচিত হবে?
নাকি মুসলমান হওয়ার জন্য আরবি ভাষায় (আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু.....) এভাবে বলাই লাগবে?