আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
194 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (29 points)
মাহরাম পুরুষের শরীরের যে অংশ দেখা নাজায়েজ সেখানে কি স্পর্শ করা যাবে? যেমন: আমি যদি এমনিতেই কথাচ্ছলে আমার ভাইয়ের উরু স্পর্শ করি তাহলে কি গুনাহ হবে? স্বামী ব্যতীত অন্যান্য মাহরামকে স্পর্শ করার সীমা কতটুকু?
আমি কি কোনো মহিলার উরু স্পর্শ করতে পারব? যেমন: কোনো মহিলার উরুতে ব্যাথা, আমি ঝাঁড়ফুক করার জন্য কি সেখানে স্পর্শ করতে পারব? মহিলা হয়ে মহিলার গায়ে স্পর্শ করার সীমারেখাই বা কতটুকু?

1 Answer

0 votes
by (574,950 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

روى عن النبى صلى الله عليه وسلم كان يقبل فاطمة ويقول اجد منها ريح الجنة وقبل ابو بكر رأس عائشة وقال النبى صلى الله عليه وسلم من قبل رجل امه فكان قبل عنبة الجنة

অর্থ: হুযূর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, হযরত ফাতেমা (নবীজীর স্নেহের কন্যা) রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহাকে চুমু খেতেন আর তিনি বলতেন আমি ফাতেমা রদ্বিয়াল্লাহু আনহার কাছ থেকে বেহেশতের সুঘ্রান পাচ্ছি। হয়রত আবু বকর রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু হযরত আয়েশা রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহার মাথা মোবারক এ চুমু খেয়েছেন। আর প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন- যে ব্যক্তি তার মায়ের পা চুম্বন করবে সে যেন বেহেশতের চৌকট চুমু খেল। (আবু দাউদ মাধ্যমে মাবসুত লিস সারাখছি, খন্ড-১০, পৃষ্ঠা: ১৪৯।

وما حلّ نظرہ مما مر من ذکر أو أنثی حلّ لمسہ إذا أمن الشہوة علی نفسہ وعلیہا؛ لأنہ علیہ الصلاة والسلام کان یقبل رأس فاطمة وقال -علیہ الصلاة والسلام- من قبل رجل أمّہ فکأنما قبل عتبة الجنة إلخ (درمختار مع الشامي: ۹/۵۳۸، ط: زکریا)
সারমর্মঃ
যেই অঙ্গ গুলির দিকে দৃষ্টিপাত দেয়া জায়েজ,সেগুলো স্পর্শ করাও জায়েজ,শর্ত হলো যখন উভয়ে শাহওয়াত থেকে নিরাপদে থাকবে।
কেননা রাসুলুল্লাহ সাঃ ফাতেমা রাঃ এর মাথা চুমো দিতেন।       

আরো জানুনঃ- 

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে আছে,
وأما نظره إلى ذوات محارمه فنقول: يباح له أن ينظر منها إلى موضع زينتها الظاهرة والباطنة وهي الرأس والشعر والعنق والصدر والأذن والعضد والساعد والكف والساق والرجل والوجه،

যৌন উত্তেজিত হওয়ার আশংকা না থাকলে পুরুষ তার মাহরামে আবদিয়্যাহ মহিলার প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সৌন্দর্যময় স্থানের দিকে দৃষ্টি দিতে পারবে। সে স্থানগুলো হল- মাথা, চুল,গর্দনা,বুকের উপরি অংশ,কান,বাহু,হাতের কবজি,পায়ের গোড়ালি,পা ও চেহারা।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1493

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
মাহরাম পুরুষের শরীরের যে অংশ দেখা নাজায়েজ সেখানে স্পর্শ করা যাবেনা।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ভাইয়ের ভাইয়ের উরু স্পর্শ করার দরুন আপনার গুনাহ হবে। 
আপনাকে তওবা করতে হবে।

(০২)
এক মহিলার সামনে আরেক মহিলার সতর কতটুকু ?
এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে,
(وَأَمَّا بَيَانُ الْقِسْمِ الثَّانِي) فَنَقُولُ: نَظَرُ الْمَرْأَةِ إلَى الْمَرْأَةِ كَنَظَرِ الرَّجُلِ إلَى الرَّجُلِ، كَذَا فِي الذَّخِيرَةِ. وَهُوَ الْأَصَحُّ
এক মহিলার সামনে অন্য মহিলার সতরঃএক মহিলা অন্য মহিলার ঐ সমস্ত অঙ্গের দিকে দৃষ্টিপাত করতে পারবে,যা এক পুরুষ অন্য পুরুষের দিকে পারে।যখিরা নামক কিতাবে বর্ণিত আছে।এবং এটাই বিশুদ্ধ মত।

সুতরাং নাভির থেকে নিয়ে হাটুর নিচ পর্যন্ত এক মহিলার সামনে আরেক মহিলার সতর।
সুতরাং এই সতরের অংশটুকু স্পর্শ করা,দেখা কোনোটাই জায়েজ নেই।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সুতরাং আপনি প্রশ্নে উল্লেখিত বিশেষ প্রয়োজনের ভিত্তিতে মহিলাদের উরু স্পর্শ করতে পারবেন।

তবে বিশেষ ওযর ব্যাতিত স্পর্শ করা জায়েজ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...