জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
‘আলক্বামাহ (রহ.) হতে বর্ণিত।
عن علقمة، قال: كنت مع عبد الله، فلقيه عثمان بمنى، فقال: يا أبا عبد الرحمن إن لي إليك حاجة فخلوا، فقال عثمان: هل لك يا أبا عبد الرحمن في أن نزوجك بكرا، تذكرك ما كنت تعهد؟ فلما رأى عبد الله أن ليس له حاجة إلى هذا أشار إلي، فقال: يا علقمة، فانتهيت إليه وهو يقول: أما لئن قلت ذلك، لقد قال لنا النبي صلى الله عليه وسلم: «يا معشر الشباب من استطاع منكم الباءة فليتزوج، ومن لم يستطع فعليه بالصوم فإنه له وجاء»
তিনি বলেন, যখন আমি ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম, ‘উসমান (রাঃ) তাঁর সঙ্গে মিনাতে দেখা করে বলেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আপনার সাথে আমার কিছু দরকার আছে। অতঃপর তারা দু’জনে এক পাশে গেলেন। তারপর ‘উসমান (রাঃ) বললেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আমি কি আপনার সঙ্গে এমন একটি কুমারী মেয়ের বিয়ে দিব, যে আপনাকে আপনার অতীত কালকে স্মরণ করিয়ে দিবে? ‘আবদুল্লাহ্ যখন দেখলেন, তার এ বিয়ের দরকার নেই তখন তিনি আমাকে ‘হে ‘আলক্বামাহ’ বলে ইঙ্গিত করলেন। আমি তাঁর কাছে গিয়ে বলতে শুনলাম, আপনি আমাকে এ কথা বলছেন (এ ব্যাপারে) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বলেছেন, হে যুবকের দল! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে এবং যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে না, সে যেন ‘সওম’ পালন করে। কেননা, সওম যৌন ক্ষমতাকে দমন করে।(সহীহ বোখারী-৫০৬৫)
অন্য এক হাদীসে আছে,রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
(يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ ، مَنْ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ ، فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ ، وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاءٌ)
হে যুবকদের দল! তোমাদের মধ্যে যারা সামর্থবান,তারা যেন বিয়ে করে নেয়।কেননা বিয়ে চক্ষুকে নিচু রাখে এবং লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে।আর যাদের বিয়ের সামর্থ্য নেই তারা যেন রোযা রাখে।কেননা রোযা ঢাল স্বরূপ।(সহীহ বোখারী-১৯০৫,সহীহ মুসলিম-১৪০০)
★প্রশ্নে উল্লেখিত ভাই যদি বিবাহের (স্ত্রীর মোহরানা,ভরনপোষণ ইত্যাদির) সামর্থ্য রাখে,তাহলে তার জন্য এই মুহুর্তে বিবাহই জরুরী ও আবশ্যক।
আরো জানুনঃ-
বিবাহের পরেও ইলম অর্জন করা যায়,অনলাই মাদ্রাসায় ভর্তি হতে পারবে,কওমি মাদ্রাসার যেগুলোতে জেনারেল দের জন্যেও আলেম হওয়ার কোর্স রয়েছে,সেগুলো ভর্তি হতে পারবে।
আর যদি তিনি স্ত্রীর মোহরানা,ভরনপোষণ ইত্যাদি দিতে সক্ষম না হোন,সেক্ষেত্রে বিবাহ না করে রোযা রাখবে।
প্রয়োজনে লাগাতার রোযা চালিয়ে যাবে।
(০২)
হাত খালি অবস্থায় বিবাহ উচিত হবেনা।
কেননা এক্ষেত্রে স্ত্রীর হক আদায় করতে পারবেনা।
,
হ্যাঁ যদি তিনি স্ত্রীর মোহরানা,ভরনপোষণ ইত্যাদি দিতে সক্ষম হোন,সেক্ষেত্রে বিবাহ করতে পারেন।
(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তিনি যদি স্বাভাবিক ভাবে স্ত্রীর ভরনপোষণ যোগাড় করতে না পারেন,তাহলে তার জন্য রোযা রাখাই উচিত।
(০৪)
এই প্রস্তাব মেনে নিতে শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে৷ কোনো তালাক নেই।
সে মেনে নিতে পারবে।
,
বিবাহের প্রয়োজনীয়তা থাকায় তার উক্ত প্রস্তাব মেনে নেয়াই উচিত বলে মনে করছি।
(০৫)
হ্যাঁ, মেয়ের অভিভাবকদের অনুমতিক্রমে ঘর জামাই থাকা জায়েজ।