আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
139 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (82 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।

১।.স্ত্রীকে এখনে নামিয়ে নেয় নি স্বামীর বাড়িতে।স্বামী বলতেছে তুমাকে নিয়ে আসতে হবে বাড়িতে মানে শশুর বাড়িতে।মানে মার কস্ট হচ্ছে মানে শাশুড়ির তাই।ওনি অসুস্হ বেশি তাই।আর কেও নাই বাড়িতে তেমন কাজ করার মত মানে রান্না বান্না।স্ত্রীও বলতেছিল ঠিক আছে।তহ স্বামী বলতেছে আমরা বউ নিয়ে কি করতাম যদি মা বৃদ্ধ বয়সেও সুখ না পায়।এখানে স্বামীর কথা দ্বারা কি কোন সমস্যা হবে? সে তহ কেনায়া শব্দ বলে নি।স্ত্রী ভয়ে জিগ্যেস ও করে নি আবার মিথ্যাশিকারোক্তি দিবে ভেবে।।কোন রাগারাগিও হচ্ছিল না।মেসেজে কথা হচ্ছিল ।ওপরের কোন কথা দ্বারা কি তালাক বা শর্ত যুক্ত তালাক হবে?আর এই বিষয়ে কি স্বামীকে প্রশ্ন করা উচিত হবে? যদি রেগে ভুলভাল বলে?

২।।কোন স্বামী যদি বলে বউকে ছেড়ে দিতে পারে নাকি? বিয়ে করছি না?মানে ছেড়ে দিবে না বা এমন কথা বলবে না এটা বুঝাচ্ছিল। এটা দ্বারা কি কোন সমস্যা হবে?

৩।কোন স্বামী যদি ফেসবুকের কোন কথা,যেখানে লিখা আছে "নিরানব্বই বার বিচ্ছেদের পর শতবারেও তুমাকে চায়" এরকম কথা স্ত্রীকে দেয় বা বলে তাহলে কি কোন তালাক বা শর্ত যুক্ত তালাক হবে??ভালবাসা প্রকাশ করতে দিলে বা বললে?

৪।আমার স্বামী আমাকে পাওয়ার দিছে তালাকের।কিন্তু আমি আমার স্বামীর সাথেই থাকতে চায়।৩,  ৫, ৬ নং প্রশ্নটা আমি এমনিতে মাসআলা জানার জন্য লিখেছি।ওটা আমার বিষয় ও না।এই প্রশ্নটা লিখার কারনে কি আমার বেৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে?

৫।ছেলে মেয়ে লুকিয়ে বিয়ে করেছে। কিন্তুু মেয়ের মা বাবা মেনে নিচ্ছে না।তহ স্বামী একটা ছবি দিছে মেসেজে স্ত্রীকে।ওখানে লিখা ছিল কখনো কখনো ধরে রাখার চেয়ে ছেড়ে দেওয়া ভাল।তহ স্ত্রী বলে এটা কেন বলেছেন।স্বামী বলতেছে তুমার পরিবারের কথা বলতেছি।মানে স্বামী এটা বুঝাতে চেয়েছে না মানলে পরিবার ছেড়ে দিতে। স্ত্রীকে ছাড়ার কথা বলে নাই। আর স্বামীও স্ত্রীকে অনেক ভালবাসে।স্বামীর কথা দ্বারা কি কোন সমস্যা হবে?

৬।ধরেন স্বামী স্ত্রীর মেসেজে কথা হচ্ছে।কোন স্ত্রী যদি বলে কেন আমাকে ঠকাচ্ছ?  চলে যাও আমার জীবন থেকে ঠকাইও না এমন বলে   বা আর যদি বলে মুক্তি দাও।এর পর স্বামী যদি বলে আমি চলে গেলে খুশি হবে ভাল থাকবে? স্ত্রী যদি বলে হ্যা।স্বামী যদি বলে ঠিক আছে চলে যাব আর আসব না বা কোন কেনায়া শব্দ বলে নিয়ত ছাড়া ।স্বামী এসব নিয়ত ছাড়া বললে কি তালাক হবে?আর স্ত্রীকে পাওয়ার দিলে এখানে তহ স্ত্রী নিজের দিকে ইন্গিত করে কিছু বলে নি তাহলে কি তালাক হবে? এই সাইটে প্রশ্ন করে জেনেছি মেসেজে স্ত্রী তালাক চাওয়ার পর পর কেনায়া শব্দ বললে তালাক হয় যে,তালাক না চাইলে এমনকি স্ত্রী স্বামীকে তালাক দিবে বললেও এরপর  কেনায়া শব্দ নিয়ত ছাড়া বললেও হয় না।উপরের স্ত্রী তহ ধরেন তালাক চায় নি।এমনিতে রাগে ঐসব বলেছে ধরেন।এই প্রশ্নটা এমনিতে জানার জন্য করেছি।

৭।ওয়াসওয়সার কারনে, সন্দেহের কারনে বা মনে না থাকার কারনে তালাক হয় না।এরকম ব্যক্তি মানে এসব সমস্যা আছে যে এরকম ব্যাক্তি যদি খুশি হয়ে কাওকে বলে মনে না থাকা ভাল যে বা যদি বলে আমার মনে থাকে না সেটা ভাল যে বা  হেন তেন  ইত্যাদি  এতে দ্বারা কি কোন সমস্যা,হবে বৈবাহিক সম্পর্কে?মানে এখানে প্রশ্ন করেছে উত্তর জানার পরে কাউকে বললে খুশি হয়ে?

৮।স্বামী স্ত্রী এখনো যে যার বাড়িতে থাকে।মেসেজে কথা হয়।আগে কেনায়া তালাক সম্পর্কে কেও জানত না।কেনায়া শব্দ বললেও স্ত্রী তালাক চাওয়ার পর পর বলেছিল কিনা কারো কিছু মনে নেই। কেনায়া তালাক সম্পর্কে জানার পর স্বামী বলেছিল নিয়ত ছাড়া বলেছে।কেনায়া শব্দ বলেছিল কিনা সেটা মেসেজে চেক না করতে বলেছিল ইমদাদুল হুজুর।মানে মনে না থাকলে টেনে টেনে মেসেজ চেক না করতে বলেছে।তাই স্ত্রী আগের সব মেসেজ ডিলেট করে দিয়েছিল।কারন ওর  ওয়াসওয়াসা আর টেনশন আছে এসব বিষয় নিয়ে।সে স্বামীকেও বলেছিল ডিলেট করে দিতে মেসেজ।স্বামী বলেছে করেছে।জানে না স্ত্রী  স্বামী আদৌ ডিলেট করেছে কিনা।তহ স্বামী আসলে আবার সব মেসেজ অল ডিলেট করে দিবে বলতেছে, দিলে কি কোন গুণাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,410 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় ইঙ্গিত সূচক শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ  


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক বা শর্ত যুক্ত তালাক হবেনা।
আর এই বিষয়ে স্বামীকে প্রশ্ন করা উচিত হবেনা।

(০২)
এটা দ্বারা তালাক সংক্রান্ত কোন সমস্যা হবেনা।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে কোন তালাক বা শর্ত যুক্ত তালাক হবেনা।

(০৪)
এই প্রশ্নটা লেখার কারনে আপনার বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবেনা।

(০৫)
না,এতে তালাক সংক্রান্ত সমস্যা হবেনা।

(০৬)
এতে তালাক হবেনা।

(০৭)
না,এতে সমস্যা হবেনা।

(০৮)
না,গুনাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...