জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِن جَاءكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَأٍ فَتَبَيَّنُوا أَن تُصِيبُوا قَوْمًا بِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوا عَلَى مَا فَعَلْتُمْ نَادِمِينَ
মুমিনগণ! যদি কোন পাপাচারী ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ আনয়ন করে, তবে তোমরা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশতঃ তোমরা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে অনুতপ্ত না হও।(সূরা হুজুরাত-০৬)
কারো সম্পর্কে কোনো নেতিবাচক খবর জানার পর সেই খবরকে যাচাই বাচাই করে গ্রহণ করতে হবে।আল্লাহ তা'আলা যাচাই বাচাই করার নির্দেশ দিচ্ছেন।
তাছাড়া কারো সম্পর্কে মন্তব্য করার পূর্বে নিম্নোক্ত হাদীসটি লক্ষণীয়-
হযরত আবু বাকরা রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَبِي بَكْرَةَ رضي الله عنه أَنَّ رَجُلًا ذُكِرَ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَثْنَى عَلَيْهِ رَجُلٌ خَيْرًا ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( وَيْحَكَ قَطَعْتَ عُنُقَ صَاحِبِكَ - يَقُولُهُ مِرَارًا - إِنْ كَانَ أَحَدُكُمْ مَادِحًا لَا مَحَالَةَ فَلْيَقُلْ : أَحْسِبُ كَذَا وَكَذَا إِنْ كَانَ يُرَى أَنَّهُ كَذَلِكَ وَحَسِيبُهُ اللَّهُ ، وَلَا يُزَكِّي عَلَى اللَّهِ أَحَدًا
একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এক লোকের ব্যাপারে আলোচনা হয়। তখন অন্য এক লোক বলল, হে আল্লাহর রসূল! অমুক অমুক কাজের বিষয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পর তার চেয়ে উত্তম আর কোন লোক নেই। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার ধ্বংস হোক, তুমি তো তোমার সঙ্গীর গর্দান কেটে ফেলেছ। তিনি এ কথাটি বার বার বললেন। অতঃপর বললেন, তোমাদের কারো যদি তার ভাইয়ের প্রশংসা করতেই হয় তবে সে যেন বলে অমুকের ব্যাপারে আমার ধারণা যে, সে এমন (বাস্তবে হলেই এ কথাটি বলতে পারবে), তবে আল্লাহর সম্মুখে আমি কাউকে দোষমুক্ত ঘোষণা করছি না (অর্থাৎ আমি আল্লাহর সামনে কাউকে পবিত্র করতে পারি না)। (সহীহ মুসলিম-শামেলা:৩০০০,ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭২৩১, ইসলামিক সেন্টার ৭২৮৪)(সহীহ বুখারী-৬০৬১)
★★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(০১)
জানামতে প্রশ্নে উল্লেখিত সৈয়দ মুকাররম বারী সাহেব
কামিল অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন।
তিনি ওয়াজ নসিহত করেন,ও লেখালেখিও করেন।
তিনি দীনের একজন বিজ্ঞ খাদেম।
জানামতে তিনি হানাফি মাযহাবের অনুসারী।
সুতরাং সেই হিসেবে তার লেকচার শোনা যাবে।
তবে তিনি যদি বিদ'আতী কোনো কথা বলেন বা বিদ'আতি কোনো কাজ করেন ,সেক্ষেত্রে সেটি মানা যাবেনা।
(০২)
তিনি সালাফি ঘরণার আলেম। তিনিও আহলে সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত। তবে৷ কোনো হানাফি অনুসারীর জন্য তাদের ফলো করা ঠিক হবে না।
আরো জানুনঃ-
(০৩)
ভিন্ন মাযহবের কাউকে বিয়ে করা জায়েয।সে হিসেবে আহলে হাদীস এবং হানাফিদের বিয়ে শাদী বিয়ে জায়েয।
আহলে হাদীস কেউ হানাফি মাযহাবের কাউকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সেই বিবাহ করা যাবে,জায়েজ আছে।
তবে উত্তম হল, নিজ মানহাজের কাউকে বিয়ে করা।
কেননা এতে প্রতেকের ভবিষ্যতে কোনোরকম সমস্যা সূষ্টি হবে না।
বিস্তারিত জানুনঃ-