ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1379
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)কারো নফস যদি মনে মনে বলে যে তুমি কি অকুম কাজটি নিজের ওপর ওয়াজিব করে নিতেছ?
আর সেই প্রশ্নের উত্তরে সে যদি মুখে শুধু "হ্যা" বলে বা মাথা নাড়িয়ে হ্যা বোধক সম্মতি দেয়, তাহলে তার সেই কাজটি করা তার ওপর ওয়াজিব হবে না।
(২)মনে কোনো প্রশ্ন আসলে এর উত্তরে হ্যা বললে বা মাথা নাড়িয়ে হ্যা বাচক সম্মতি দিলে, এদ্বারা শরীয়তের কোনো হুকুম প্রমাণিত হবে না।
(৩)এশার নামাজ বা যুহরের চার রাকাত সুন্নত নামাজ ঘরে পড়া যাবে বা ফরজ মসজিদে পড়ে বাকি সুন্নত, নফল নামায ঘরে গিয়ে আদায় করা যাবে। সুন্নত নফল ঘরে পড়াই উত্তম।