বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
وَالِاغْتِسَالُ فِي الْحَاصِلِ أَحَدَ عَشَرَ نَوْعًا. خَمْسَةٌ مِنْهَا فَرِيضَةٌ. الِاغْتِسَالُ مِنْ الْتِقَاءِ الْخِتَانَيْنِ، وَمِنْ إنْزَالِ الْمَاءِ، وَمِنْ الِاحْتِلَامِ، وَمِنْ الْحَيْضِ، وَالنِّفَاسِ، وَأَرْبَعَةٌ مِنْهَا سُنَّةٌ. الِاغْتِسَالُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَيَوْمَ عَرَفَةَ، وَعِنْدَ الْإِحْرَامِ، وَفِي الْعِيدَيْنِ. وَوَاحِدٌ وَاجِبٌ، وَهُوَ غُسْلُ الْمَيِّتِ، وَآخَرُ مُسْتَحَبٌّ، وَهُوَ الْكَافِرُ إذَا أَسْلَمَ فَإِنَّهُ يُسْتَحَبُّ لَهُ أَنْ يَغْتَسِلَ بِهِ
গোসল সর্বোমোট পাঁচ প্রকার যথাঃ-(ক)পাঁচ প্রকারের গোসল ফরয যেমন-(১)যৌনমিলন তথা পুরুষ মহিলার লজ্জাস্থান একত্রিত হওয়ার পর গোসল করা ফরয।(২)বীর্য বাহির হলে(কামভাবের সাথে,এবং আটকিয়ে আটকিয়ে) গোসল ফরয।(৩) স্বপ্নদোষের কারণে গোসল ফরয।(৪)হায়েযের কারণে গোসল ফরয(৫)নেফাসের পর গোসল ফরয।
(খ)চার প্রকার গোসল সুন্নত।(১)জুমুআর দিনের গোসল(২)আরাফার দিনের গোসল(৩)এহরামের গোসল(৪)দুই ঈদের গোসল
(গ)ওয়াজিব গোসল।মাইয়্যিতকে গোসল প্রদান করা।
(ঘ)মুস্তাহাব গোসল।কোনো কাফির যখন ইসলাম গ্রহণ করে,তখন গোসল করা মুস্তাহাব।(মাবসুত-সারখাসী-১/৯০)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/10148
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কামভাবের সাথে আটকিয়ে আটকিয়ে বীর্য বাহির হলেই কেবল তখন গোসল ফরয হয়ে থাকে। সুতরাং গোসলের মধ্যখানে বা শেষ মুহূর্তে যদি প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে কিছু বের হয়, তাহলে গোসল ফরয হবে না, তবে যা বের হবে, তা যদি কাপড় বা শরীরে লাগে, তাহলে কাপড় বা শরীর নাপাক হয়ে যাবে।সুতরাং কাপড় বা শরীর কিংবা লিঙ্গের মাথাকে ধৌত করতে হবে।