আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
145 views
in পবিত্রতা (Purity) by (3 points)
reshown by
আসসালমুআলাইকুম শায়েখ,
আজ আমি একটা কঠিন সমস্যা নিয়ে এসেছি। আমি সম্পূর্ণ ভাবে এই সমস্যার উত্তর এর আশায় রইলাম। ( ইনশাআল্লাহ্)

শায়েখ , আমি এবং আমার স্ত্রী আমরা দুজনই ছাত্র, আমাদের পড়াশোনা সম্পূর্ণ করতে পারিনি।
আমি বাইরে থাকতাম , হয়ত পড়াশোনার জন্য আবার বাইরে যেতে হবে। এবং আমার স্ত্রীকে ও বাইরে কোলকাতা যেতে হবে।
বিষয় হলো :------- অপরিকল্পিত ভাবে আমার স্ত্রী ১০ থেকে ১৫ দিনের গর্ভবতী  । এখনো মাসিক মিস হয়নি। অন্য  সে লক্ষণ দেখে আমাকে বলেছে। যেহেতু সে নার্স আমি ফার্মাসিস্ট পড়াশোনা চলছে আমাকদের। আখন আমি ও আমার স্ত্রী বাচ্চা টা নিতে চাইছিনা। আসলে পেটে বাচ্চা আছে কি না জানিনা লক্ষণ দেখে সন্দেহ হয়েছে!
রিজিকের মালিক আল্লাহ । তাই আমি কোনো শিরক পাপ করতে চাইনা।
আমরা দুজন আমাদের ভালোরোর জন্য ভেবেছি মেডিসিন খাওয়াবো।
বিষয় টি ১০ থেকে ১৫ দিন এর হবে এখনও প্রিয়ড মিস হয়নি। তবে এক্ষেত্রে কি  ওষধ খেয়ে বিষয় না নষ্ট করা যাবে।
সাহায্য চাইছি শরিয়ত বিধান। হুজুর বিষয় টা সম্পূর্ণ সন্দেহর ওপর চলছে। কিন্তু চাইছি না কোনো বাচ্চা নিতে।
তাই ওষধ খাওয়া কি জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জন্মনিয়ন্ত্রণ এবং এ্যাবর্শন(গর্ভপাত) সাধারণত চার ধরণের হয়ে থাকে।যথাঃ-
(১)(চিরস্থায়ী)জন্মনিরোধ পদ্ধতিঃ
অর্থাৎ-এমন কোনো পদ্ধতি গ্রহণ করা যার ফলশ্রুতিতে চিরস্থায়ীভাবে সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।
(২)(অস্থায়ী)জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিঃ
অর্থাৎ এমন কোনো পদ্ধতি গ্রহণ করা যার ফলশ্রুতিতে সন্তান জন্মানোর ক্ষমতা অবশিষ্ট থাকা সত্বেও বর্তমানে নির্দিষ্ট সময়ের ভিতর সন্তান জন্ম নিবে না।
(৩)চারমাস পূর্বে গর্ভপাতঃ
অর্থাৎ-গর্ভাশয়ে সৃষ্ট সন্তান চারমাস অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে ঔষধের মাধ্যমে বিনষ্ট করে দেয়া।
(৪)চারমাস পর গর্ভপাতঃ
অর্থাৎ-গর্ভাশয়ে সৃষ্ট সন্তানকে চারমাস অতিবাহিত হওয়ার পর ঔষধের মাধ্যমে বিনষ্ট করে দেয়া।

তৃতীয় পদ্ধতি শরীয়ত সম্মত প্রয়োজন ব্যতীত নাজায়েজ ও হারাম।
বিশেষ কিছু কারণে শরীয়ত অনুমোদন প্রদান করে থাকে।
(ক)বর্তমানে কোলে দুধের একটি শিশু রয়েছে,অপরদিকে উক্ত মহিলার গর্ভাশয়ে নতুন সন্তানও উৎপাদিত হচ্ছে। গর্ভের ধরুন দুধ একেবারে শুকিয়ে গেছে। অপরদিকে উক্ত সন্তানকে অন্যকোনো উপায়ে লালনপালন করা যাচ্ছেনা। মায়ের দুধ ব্যতীত অন্যকিছুতে সে মূখই দিচ্ছে না। এমতাবস্থায় চারমাস হয়নি এমন গর্ভকে গর্ভপাত করা বৈধ রয়েছে।
(খ)কোনো মুসলমান বিজ্ঞ ডাক্তার উক্ত গর্ভবতী মহিলাকে পরিদর্শন করে বলে যে,গর্ভপাত না করলে মহিলার জান বা কোনো অঙ্গ বিনাশের আশঙ্কা রয়েছে।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/446

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সন্তান নিতে আপনাদের কোনো সমস্যাই আপাতত দৃষ্টিতে দেখা যাচ্ছে না। সুতরাং আমাদের পরামর্শ হল, আপনারা সন্তান নিয়ে নিন।হয়তো আল্লাহ এমন কোনো সন্তান দিবেন,যে সন্তান আপনাদের বংশের মুখকে উজ্জল করবে। 

তবে যেহেতু এখন মাত্র ১০ দিন হয়েছে, তাই লেখাপড়ার জন্য যদি গর্ভপাত করিয়ে নেন, তাহলে আশা করা যায় হয়তো রুখসত হবে,আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন নতুবা গোনাহের বোঝাটা তেমন ভাড়ী হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...