আসসালামু-আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু,
বিঃদ্রঃ
আমি এর আগেও এই প্রশ্নটি করেছিলাম, কিন্তু আমাকে যদিও বলা হয়ে থাকে অপেক্ষা করতে,পরবর্তীতে আমার প্রশ্নটি আপনারা সাইট থেকে রিমুভ করে দেন,,
এমনটা কেনো করেছেন আমার জানা নেই, কিন্তু আমার প্রশ্নটি আমি আবারো করছি,,
দয়া করে এবার উত্তর টা দিলে অনেক উপকৃত হতাম.
****
****
শায়েখ আমি জানতে চাই মাজহাব সমপর্কে।।
**
আমি আপনাদের ফোতোয়া সাইট ঘুরে মাজহাব সম্পর্কে অনেক ফতোয়া দেখেছি, আপনারা বলছেন (গায়রে মুজতাহিদ /মুকাল্লিদের জন্য) মাজহাব মানা ফরজ,,
****
মানে যে কোন একজনের তাকলিদ করা মুকাল্লিদের জন্য ফরজ তাই তো,,?
**
এখন আমার প্রশ্ন হলো,
১,,
আমি ধরেন হানাফি মাজহাব মানি আমি সাধারন একজন মানুষ, হাদিস কোরআন ব্যাখ্যা করার সামর্থ্য আমার নেই, কিন্তু জিবীত আলেম জ্ঞানী ব্যাক্তিদের থেকেই আমি যখন জানবো,
হানাফি মাঝহাবের এই এই কিছু জিনিস ভুল আছে, (যেহেতু মানুষ ভূলের উর্ধে নয়, অবশ্যই ইমাম দেরো ভুল আছে)
তখন আমি কি সত্যের পথে যাবো না,,?
নবিজীর হাদিসকে বেশি গুরুত্ব দিবো না ?
নাকি নবীজীর হাদিস থেকেও বেশি গুরুত্ব দিয়ে অন্ধঅনুসরন করবো হানাফি মাজহাবকে, সে ভুল হোক বা ঠিক,,,? (কারন যেকোন ১ টি মাজহাব মানা ফরজ বলছেন আপনারা) (কিন্তু ৪ মাজহাবের সকলেঈ বলেছেন, তোমরা যখন আমার বিরুদ্ধে কোরআনের দলিল পাবে তোমরা সেটা গ্রহন করবে,আমার ইজতিহাদ কে ছুরে মারবে, যখন হাদিস/নবীজীর সুন্নাহ পাবে আমার বিরুদ্ধে আমার ফোতোয়া কে দেয়ালে ছুড়ে মারবে)
আসলে আমার করনীয় কি হবে, দয়া করে বলবেন,,
২,,
৪ মাজহাব থেকেই সবচেয়ে বেশি যুক্তিসঙ্গত, হাদিস কোরআনের নিকটবর্তী, সহিহ হাদিস গুলো মানা যাবে কি,,,?(উদ্দেশ্য সহিহ হাদিসের আমল করা, নিজের প্রবৃত্তির বা নাসফের অনুসরনের জন্য হবে না ইন-শা-আল্লাহ,নিজের সুবিধা অনুযায়ী মাসয়ালা গ্রহন যদি না করি বরং, আল্লাহর কাছে আরো প্রিয় বান্দা হওয়ার সার্থ্যে, আমি সহিহ হাদিসেদ দিকে যাই, তাহলে কি ৪ মাজহাব থেকে মিলিয়ে আমল করা যাবে,,? (যেটা হক এর বেশি নিকটবর্তী হবে সেটা)
৩,,
আমি হানাফি মাঝহাব মানি, কিন্তু এই মাজহাবে "রফয়ে ইদায়ীন" না থাক্লেও অন্য ৩ মাজহাবে আছে, **
এমনকি ওটা আমরা মূলত সবাই করি (১ম এ তাকবিরে তাহরিমা করি এটাও "রফয়ে ইয়াইন" ঈ) (ঈদের নামাযে অতিরিক্ত ৬ তাকবীর দেই এটাও "রফয়ে ইদায়ীন")
তাহলে আমি রুকুর আগে এবং পরে কি রফয়ে ইদয়াইন করতে পারবো,,? যদি না পারি কেনো পারবো না,,?
**
তাকবীরে তাহরিমা ও ঈদের নামাযে তো ঠিকঈ করি,,
এমনকি এই আমল্টি অনেক সাহাবী থেকে বর্ণিত, সহিহ হাদিস,, রাসূলের সুন্নাহ,, তো আমাদের সুন্নাহ এর ক্ষেত্রে উদার হওয়া কি উচিত না,,? এটা করলে তো আর গুনাহ হবে না বরং ১০ টি করে নেকি পাওয়া যাবে,তাহলে আমি কি করতে পারবো,,?
৪,,
সহিহ হাদিস দিয়েই বিতরের সালাত
কয়েক ভাবে পড়ার নিয়ম আমরা রাসুল সাঃ এর আমল থেকে দেখতে পাই,
**
নবীজী কখনো,,, ১ রাকাত
(যদি তাহাজ্জুদ পড়তে পড়তে ফজরের সময় হয়ে যেতো)
কখনো( ৩/৫/৭) রাকাত
এভাবেও বেতর নামায পড়েছেন, তাহলে আমি হানাফি কিন্তু আমি যদি সেভাবে নামায পড়ী তাতে কি নামায হবে না,,?
**
ইসলাম কি কোন বেধে দেওয়া ধৰ্ম,,?
এখানে অনেক ভাবেঈ এশার বিতরের সালাত পড়ার সহিহ হাদিস আছে, তাহলে আমি কি এগুলো আমল করতে পারবো না,,,?
৫,,
আমি কি সুন্নাত মুস্তাহাব বিষয়ে ব্যতিক্রম করতে পারবো,,?
**
যেমন:
* জোরে আমিন বলা
*বুকে হাত বাধা
*রফয়ে ইদয়াইন করা
*তাশাহুদে আংগুল উঠিয়ে রাখা সারাক্ষন,
ইত্যাদি।
**সুন্নাহের ক্ষেত্রে আমাদের উদার হওয়া উচিত, বিদয়াত,শিরক,সমাজের আরো আরো ফেতনার ব্যপারে আমাদের কোঠর হওয়া উচিত,,
৬,,
আবু হানিফা তো বলেছেনও যখনঈ কোন সহিহ হাদিস পাবে সেটাই আমার মাঝহাব,, তাহলে আমরা জীবীত আলেম দের থেকে সহিহ হাদিস জানতে পারলে সেটা আমোল করলে কি কোন সমস্যা আছে,,?
**