আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
189 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
 প্রিয় শায়েখ,কষ্ট করে ইন শা আল্লাহ পুরোটা পড়ার জন্য আন্তরিক ভাবে অনুরোধ করছিঃ

আমার বয়স ২১ বছরের কাছাকাছি।আমি ঢাকায় একটা ইংলিশ ভার্সন কলেজে পড়ছি,২/৩ রুমের সাবলেটে থেকে।এখানে আমি,বাবা এবং পাশের রুমে একজন আংকেল থাকেন।আমার বাবা একজন আখিরাত অবিশ্বাসী, নাস্তিকদের ভক্ত অনেক আগে থেকেই। আমাকেও সেভাবে গড়ে তুলতে চেয়েছিল কিন্ত আল্লাহর রহমতে হেদায়েত এর সুভাস পাই আমি আলহামদুলিল্লাহ।জন্মদাতা পিতা হলেও বলতে লজ্জা লাগছে যে আমার বাবা প্রচন্ড রকমের বদমেজাজি,পর্ণগ্রাফি আসক্ত,নবি সাঃ এর ব্যাপারে খারাপ মন্তব্য পোষণকারী,আম্মুর উপর মানসিক নির্যাতন, বেকার একজন তিনি (আম্মুর ইনকামের টাকায় খায়,পড়ে,ফ্যামিলির সবকিছুর খরচ চালানো হয়)।আমি ঢাকায় আব্বুর সাথে আছি পড়াশোনার জন্য। আমাদের রান্না,ঘরের সব কাজ বাবাই করেন,আমার সব রকম ভাল খারাপ খাবারের দিক দেখাশোনা করেন,হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিচার রাখেন(আম্মু দেশে একটা সরকারী হসপিটালের হাইয়ার পোস্টে আছেন)।কিন্ত আমি উঠতে বসতে,কারণে অকারণে খুব বাজে বাজে গালিগালাজ করে(.......বাচ্চা, গলা চেপে ধরে মেরে ফেলে রাখব,....বাচ্চার তোর......চু**.....বলতে পারছিনা জঘন্য গালি)আমি লুকিয়ে খুব কাঁদি বুঝতে দেইনা, উপরে রাগ দেখাই।সালাত লম্বা টাইম ধরে পড়লে ধমক,ফজর/তাহাজ্জুদের এলার্ম বাজালে আবারো সেই গালি শুনা লাগে এবং এলার্ম অফ করে দেয় যার জন্য কাজা হয়ে যায় আমার।মানুষের সামনে ইন্সাল্ট করে এরকম আরো অনেক কিছু আমাকে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে ফেলছে।ঘুমানোর আগে প্রতি রাতে তিনি পর্নগ্রাফি দেখে ঘুমায়(এক রুমে ২টা আলাদা বিছানায় দূরে দূরে ঘুমাই,অনেকবার বলার পরেও অন্য রুমে যান না বাড়ির মালিক এর  আরেকটা রুমে রাতে ঘুমাতে বলেছিলাম)খুব অনিরাপদ, অশান্তি লাগে আমার কাছে।মাঝে মাঝে এসবের জন্য ঘুমের ভিতর খারাপ স্বপ্ন দেখি,কান্না করে দেই।
আমি একজন দ্বিনদার ছেলে খুঁজছি যিনি আমাকে এরকম পরিবেশ থেকে নিয়ে যাবে।আমার বাবা মা বিয়ে দিতে রাজি না একদম ই,আমি জব করার আগ পর্যন্ত আমাকে বিয়ে দিতে দিবেনা(আমিই এক মাত্র মেয়ে ফ্যামিলির হাল ধরার জন্য)।কিন্ত আমি বুঝাতে পারছিনা আমার উপর দিয়ে কি যাচ্ছে শায়েখ।ফ্যামিলির কেউ রাজি না বিয়ে দিতে।আমার দ্বিনি ফ্রেন্ড,তারা সবরকম ভাবে হেল্প করছে আমাকে দ্বিনদার একজনকে পেতে,কিন্ত আমার পরিবার যে একদম নারাজ।তারা হুজুর দেখতেই পারেনা দুই চোখে,আর আমার বাবা তো হুজুরের নাম ই সহ্য করতে পারেনা গালাগালি করে।এই ক্ষেত্রে আমি কি করতে পারি শায়েখ?
আমি ইস্তেখারা করে নিকাহর দিকে পজিটিভ ইংগিত পেয়েছি,পরিবারকে না জানিয়ে আমি বায়োডাটাও দিয়েছি পাত্রের জন্য।এখন প্রস্তাব আসলে ইন শা আল্লাহ আমার কি করা উচিৎ শায়েখ??আমি খুব ই মানসিকভাবে দুর্বল  হয়ে গিয়েছি,পড়াশোনার জন্য এত অর্থ খরচ করছে আমার পিছে কিন্ত আমার উপরেই তিনি এসব নির্যাতন করছেন,আমি পড়াতেও এডভান্স হতে পারছিনা।
শায়েখ অনেক জাযাকাল্লাহু খইরান,কষ্ট করে পুরোটা পড়ার জন্য।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।জানুন-https://www.ifatwa.info/994, কুফু সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/780
চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1525

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়ে একাকি দুইজন সাক্ষীর সামনে বিয়ে করে নিলে,এবং ছেলের কু'ফু মেয়ের সমান হলে, বিয়ে তো হয়ে যাবে।এভাবে বিয়ে হলে তা জায়েয হবে। তবে মাতাপিতার সম্মতি ব্যতিত বিয়েটা কখনো কণ্যাণকর হবে না। তাই আমরা সর্বদা মাতপিতার সম্মতিতেই বিয়ের পরামর্শ দিয়ে থাকি।

প্রশ্নের বিবরণ মতে যেহেতু আপনার পিতা নাস্তিক পর্যায়ের, তাই আপনি আপনার মা'কে সবকিছু খুলে বলুন।যদি মা না বুঝেন, তাহলে আপনি কোনো দ্বীনদার পাত্রকে বিয়ে করতে পারবেন,ইনশা'আল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...