আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
1,254 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
edited by
এক ব্যক্তি সমুদ্রে ডুবে গিয়ে গুরুতর দুর্ঘটনায় পড়তে পারতেন। আল্লাহর কুদরতে তিনি বেঁচে গেলেন। শরীরে গুরুতর কোন ক্ষতিও হয়নি।

১) এরকম ঘটনার ক্ষেত্রে শুকরানা হিসেবে জানের সাদাকাহ/সদকা দেওয়া কি জায়েজ?
২) যদি জায়েজ হয়ে থাকে, কি দিয়ে সদকা আদায় করতে হয়?

৩) কারা এই সদকা পাওয়ার উপযুক্ত?
জাযাকাল্লাহ খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (574,110 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী উক্ত ছুরতে কোনো সদকাহ করা তার উপর আবশ্যকীয় নয়।    
তবে সে যদি নিজে থেকে শোকরানা স্বরুপ মানুষদের খাওয়াতে চায়,তাহলে সেটা নিষেধ নয়।
তবে আবশ্যকীয় মনে করে খাওয়ানো যাবেনা।
  
  রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন-
 بَاكِرُوا بِالصَّدَقَةِ ؛ فَإِنَّ الْبَلَاءَ لَا يَتَخَطَّى الصَّدَقَةَ 
“তোমরা দানের ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করবে। কেননা বিপদাপদ তাকে অতিক্রম করতে পারে না”। (বাইহাকী ৭৩৭৪)।

★সেই খাবার সে যাকে ইচ্ছা খাওয়াতে পারে,তবে গরিবদের খাওয়ানোই উত্তম।

হ্যাঁ সে যদি মান্নত করে থাকে,তাহলে তার মান্নত পুরন করা ওয়াজিব।
  
মান্নতের বস্তুর হকদার শুধুমাত্র দরিদ্র ও গরীবরা। তাই যাকাত খাওয়া জায়েজ নয় এমন ধনী ব্যক্তিদের জন্য উক্ত মান্নতের খাবার খাওয়া ও খাওয়ানো জায়েজ হবে না। 

فى رد المحتار- ( ومن نذر نذرا مطلقا أو معلقا بشرط وكان من جنسه واجب ) أي فرض كما سيصرح به تبعا للبحر والدرر ( وهو عبادة مقصودة ) خرج الوضوء وتكفين الميت ( ووجد الشرط ) المعلق به ( لزم الناذر ) لحديث ” { من نذر وسمى فعليه الوفاء بما سمى } ” ( كصوم وصلاة وصدقة ) 
যার সারমর্ম হলো কেহ যদি জায়েজ মান্নত করে,তাহলে তা পূরন করা আবশ্যক।     

১- ফাতওয়ায়ে শামী-৫/৫১৫-৫১৮
২-বাদায়েউস সানায়ে-৪/২২৮
৩-ফাতওয়ায়ে তাতারখানিয়া-৬/২৮১

(قوله: أي مصرف الزكاة والعشر) الخ وهو مصرف أيضا لصدقة الفطر والكفارة والنذر وغير ذلك من الصدقات الواجبة كما في القهستاني (رد المحتار، كتاب الزكاة، باب المصرف-2/339، البحر الرائق، كتاب الزكاة، باب المصرف-2/245

যার সারমর্ম হলো  ছদকায়ে ফিতর, কাফফারা, মান্নত,ইত্যাদি  বস্তুর হকদার তারাই যারা যাকাত খাওয়ার যোগ্য।

সুতরাং যে ব্যক্তি জানের বদলে জান দেওয়ার মান্নত করবে সে একটি গরু কিংবা এক বছর বা তার চেয়ে বেশী বয়সী একটি ছাগল বা বকরী গরীব-মিসকীনদের দান করবেন অথবা তা কোন মাদরাসার লিল্লাহ বোর্ডিং-এ দান করবেন। তার জন্য এভাবেই তার মান্নত পুরা করা ওয়াজিব।

উল্লেখ্য মান্নত শরিয়তে নিষেধ নয় বটে; তবে পসন্দনীয়ও নয়। শরিয়ত উদ্বুদ্ধ করে নফল সদকার প্রতি; মান্নতের প্রতি নয়।

হাদীস শরীফে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বর্ণনা করেছেন- 
أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ يَوْمًا يَنْهَانَا عَنِ النَّذْرِ وَيَقُولُ إِنَّهُ لاَ يَرُدُّ شَيْئًا وَإِنَّمَا يُسْتَخْرَجُ بِهِ مِنَ الشَّحِيحِ 
রাসূলুল্লাহ (সা.) একদিন আমাদের মান্নত করতে নিষেধ করেছেন। আর বলেছেন, মান্নত কোনো কিছুকে ফেরাতে পারে না। তবে মান্নতের মাধ্যমে কৃপণ ব্যক্তির সম্পদ বের করা হয়। (মুসলিম শরীফ, হাদীস নং- ৪৩২৫)।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...