আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
83 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (80 points)
reshown by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। বিস্তারিত একটা প্রশ্ন জানার ছিল।

১।একটা মেয়ে বিয়ে করেছে কিন্তু বাসায় বলে নি।এখনো বাবার বাসায় থাকে।মা বাবা জানত না।ছেলেটাও কাউকে বলে নি।মেয়েটার মা বাবা জানত ছেলেটার সাথে প্রেম করে।ছেলেটাও সবাইকে এমনটা বলেছিল।বিয়ের কথা তখন ও বলে নি।তহ ছেলে আর মেয়েটা চেয়েছিল আবার মা বাবাকে রাজি করিয়ে বিয়ে করবে।কিন্তু আগের বিয়ের কথাটা কাওকে বলবে না।তহ ছেলেটা আরেকটা মানুষকে মেয়েটার মায়ের কাছে পাঠায় কথা বলার জন্য।কিন্তু মেয়ের মা রাজি না,বলে যে ছেলেটা ভাল হলে আমার মেয়ের কাছ থেকে দূরে সরে যাইতে বল বা ছেড়ে দিতে বল এরকম আরো কথা বলে।মেয়েটার মা ও জানত না বিয়ের কথা তখন।কেউ জানত না।এমনিতে প্রেম না করতে বা মেয়েটার সাথে আর সম্পর্ক না রাখার কথা বলতেছিল আর কি।তহ মানুষ ওটা গিয়ে কথাগুলো ধরেন সব ছেলেকে বলল মানে মেয়ে ওটার স্বামীকে।মানুষ ওটাও জানত না বিয়ের কথা।মানে মেয়ে ওটার মা যা যা বলেছে মানে মেয়ে ওটার সাথে আর যোগাযোগ না করতে হেন তেন এসব বলতেছে ছেলে ওটাকে।কিন্তু তখন তহ বিয়ে করছে যে ওটা জানত না।তাই তালাকের আলোচনা হয় নি।তহ মানুষ ওটা ছেলে ওটাকে বুদ্ধি দিচ্ছে মানে মেয়ে ওটাকে ( স্ত্রীকে) বলতে বলিও ওর মাকে যে তুমার সাথে (ছেলে ওটাকে)ও আর বিয়ে করবে না আপনারা মানেন নাই তাই,পড়ালেখা করব হেন তেন বলতে বলিও,আর তুমার(ছেলে ওটার সাথে) আর সম্পর্ক বা যোগাযোগ রাখবে না এমন মিথ্যা বলতে বলিও তারপর ওকে মানে মেয়ে ওটাকে আর চাপ দিবে না বিয়ের জন্য।তখন মানুষ ওটা বিয়ের কথা জানত না প্রেম করে সেটা জানত সেই হিসেবে প্রেমিকাকে বলতে বলেছে।তহ ছেলেটাও রাজি হয় মেয়েটাকে এসব তার মাকে বলতে বলবে  সেটার  জন্য।মেয়েটাকে কেনায়া শব্দ বলে নি ঐ মেয়েটাকে তার মাকে এমন মিথ্যা কথা বলার জন্য বলে ফোনে।মেয়েটা রাজি হয় নি।বলে যে না না বলব না।মেয়েটার সাথে স্বামীর ফোনে কথা হয় যে।তারপর স্বামী বলে তুমার পরিবারের আন্দাজ তুমি বুঝ যা ভাল হয় তা কর এসব তালাকের নিয়তে বলে নি।আর ফোনে কথা হচ্চিল স্ত্রী তালাক ও চায় নি।। এর অনেকদিন পর আবার বিয়ে করেছে যে ওটা জানার পর ও মানুষ ওটা ঐরকম বুদ্ধি আবার দিয়েছিল।স্বামী আবার বলতে বলেছিল স্ত্রীকে তখন।স্ত্রী তখন ও না না বলেছিল।তারপর বলেছিল তুমার পরিবার তুমি যা  ভাল বুঝ কর এটা তালাকের নিয়তে বলে নি।আর মেসেজে বা ফোনে  কথা হচ্ছিল স্ত্রীর সাথে, স্ত্রী তালাক ও চায় নি।কিন্তু স্ত্রীকে।এখানে উপরোক্ত কোন কারনে কি তালাক হবে?

২।স্ত্রীকে যখন ফোনে বা মেসেজে এসব বলতে বলতেছিল বা মা কি কি বলছে মানুষ ওটাকে এসব স্ত্রীকে বলতেছিল। তখন ছেলে ওটার মনে ওর মা বাবার প্রতি দয়া আসছিল।মানে মেয়ে ওটার মা বাবার প্রতি।কিন্তুু মেয়ে ওটা তালাক চায় নি।((আপনি বলেছিলেন মেসেজে স্ত্রী তালাক না চাইলে কেনায়া শব্দ নিয়ত ছাড়া বললেও তালাক হয় না এমনকি স্ত্রী তালাক দিবে বললেও এরপর স্বামী নিয়ত ছাড়া বললেও তালাক হয় না।শুধু স্ত্রী তালাক চাইলে এরপর স্বামী কেনায়া শব্দ নিয়ত ছাড়া বললেও তালাক হয় সেটা বলেছিলেন।))  তহ তখন মানে ফোনে কথা হচ্ছিল যে স্ত্রীর সাথে মায়ের বিষয়ে তখন  কথার কথায় তালাকের নিয়ত ছাড়া  যদি কেনায়া শব্দ বলে তাহলে কি তালাক হবে?স্ত্রী তহ তালাক চায় নি।

৩।মেয়েটাকে স্বামী তালাকের পাওয়ার দিছে।মেয়েটা ধরেন মেসেজে স্বামীকে প্রশ্ন করে আপনি বলতে বলেছিলেন যে আমাকে আমার মাকে  বলার জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করব না,কথা বলব না,সম্পর্ক রাখব না। এসব বলে আর কিছু বলে নি।কারন মেয়েটার ওয়াসওয়াসা আসতেছিল এসব বলা দ্বারা কোন সমস্যা হবে না তহ।সে তহ স্বামীকে বলে নি বরং স্বামী এমনটা তার (মেয়েটার) মাকে বলতে বলেছিল যে সেটা নিয়ে প্রশ্ন করতে চেয়েছিল।আর মেসেজে তহ কথা গুলো আগে পরে হতে পারে মানে প্রথম মেসেজটা দিয়ে এরপর আর বলতে বলছেন না বলে পুরো কথাটা বলতে পারে।মানে আপনি বলতে বলেছিলেন এটা এক মেসেজে বলে এরপরের মেসেজে একটা একটা কথা গুলো বলেছে।এর ভেতর স্বামীও মেসেজ দিয়েছে।তহ পরের মেসেজ গুলোতে আর আপনি বলতে বলেছেন বলে নি কারন প্রথমে বলেছে। এরপর কথা গুলো জিগ্যেস করেছে মানে ওই যে যোগাযোগ রাখবে না হেন তেন কথা গুলো জানতে চেয়েছে আর কি।মেয়েটা তহ নিজে বলে নি।আর মেসেজে কথাগুলো আগে পরে হয়ে যায় বা গুছিয়ে লিখে নি।।কিন্তু স্বামীকে প্রশ্ন করার উদ্দ্যশ্যে লিখেছিল।মেয়েটা তার স্বামীর সাথে থাকতে চায়।এতে কি  ওদের বেৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে?

৪।।মেয়েটা স্বামীর সাথে সংসার করতে চায়।ওরা সংসার করতে পারবে তহ?

৫।কোন স্ত্রী যদি মেসেজে স্বামীকে আমাকে বলে ভাল না লাগলে বলে দিয়েন বা না চাইলে আমাকে বা না লাগলে বলে দিয়েন।চলে যাব।এখানে তহ স্ত্রী তালাক চায় নি বা উচ্চারন ও করে নি হয়ত মনে মনে থাকলেও উচ্চারন ও করে নি । তহ এরপর স্বামী কেনায়া শব্দ নিয়ত ছাড়া বললে কি তালাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (587,340 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চার মাযহাব সম্ভলিত সর্ববৃহৎ ফেকহি গ্রন্থ "আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যা"গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে,
نَقَل ابْنُ عَابِدِينَ عَنِ اللَّيْثِ: فِي مَسْأَلَةِ طَلاَقِ الْمُوَسْوَسِ  أَنَّهُ لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ  الْمُوَسْوَسِ  ، قَال: يَعْنِي الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
وَنَقَل ابْنُ الْقَيِّمِ: إِنَّ الْمُطْلِّقَ إِنْ كَانَ زَائِل الْعَقْل بِجُنُونٍ أَوْ إِغْمَاءٍ أَوْ وَسْوَسَةٍ لاَ يَقَعُ طَلاَقُهُ،  قَال: وَهَذَا الْمَخْلَصُ مُجْمَعٌ عَلَيْهِ بَيْنَ عُلَمَ ـ اءِ الأُْمَّةِ

- رِدَّةُ الْمُوَسْوَسِ: 
٢١ - إِنْ تَكَلَّمَ الْمُوَسْوَسُ  بِكَلاَمٍ يَقْتَضِي الرِّدَّةَ لَمْ يَكُنْ فِي حَقِّهِ رِدَّةٌ. صَرَّحَ بِذَلِكَ الْحَنَفِيَّةُ، يَعْنُونَ الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
ইবনে আবেদিন শামী রাহ বর্ণনা করেন,ওয়াসওয়াসা গ্রস্থ ব্যক্তি -যার বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে বসেছে-তার তালাক গ্রহণযোগ্য নয়।
ইবনুল কাইয়িম রাহ বলেন, যদি তালাক প্রদানকারী ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা,বেহুশি বা পাগলামির দরুণ বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে থাকে, তাহলে তার তালাকও গ্রহণযোগ্য হবে না। এর উপর সমস্ত উলামাদের ঐক্যমত রয়েছে।

বিবেক বুদ্ধি লোপ পেতে বসা ওয়াসওয়াসা রোগীর এমন কোনো কথা বার্তা যা মুরতাদ হওয়াকে লাযিম করে দেয়, সেই কথাবার্তার দরুণ উক্ত ওয়াসওয়াসার রোগী মুরতাদ হবে না।(আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাতুল কোয়েতিয়্যাহ-৪৩/১৫৬)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রসশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি ওটিসি রোগের চিকিৎসের দ্বারস্থ হন। ইনশ'আল্লাহ আপনার ওয়াসওয়াসা দূর হবে।

আপনার সমস্ত বিবরণ পড়েছি। এখানে তালাকের কারণ নাই। আপনার সংসার ঠিকই আছে। কোনো টেনশন নিবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...