ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত ইবনে রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ، ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﻳﺼﻠﻲ ﺍﻟﻤﺮﻳﺾ ﻗﺎﺋﻤﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﺟﺎﻟﺴﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﻧﺎﺋﻤﺎ ﻳﻮﻣﺊ ﺑﺮﺃﺳﻪ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺳﺒﺢ "
অসুস্থ ব্যক্তি দাড়িয়ে দাড়িয়ে নামাজ পড়বে।যদি দাড়াতে কষ্ট হয়,তাহলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসে বসে নামায পড়তে কষ্ট হয়,তাহলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তার মাথা দ্বারা ইশারা করে সে নামায আদায় করবে।যদি তারপরও তার কোনো প্রকার কষ্ট হয়,তাহলে সে যিকির করবে।(এ'লাউস-সুনান-৭/১৭৪)
আল-জাওহারাতুন নায়্যিরাহ কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
اذا أراد أن يؤمي للركوع أومأ قائما،و يؤمي للسجود قائدا ،والأفضل هو الإيماء قاعدا في الكل
যখন অক্ষম ব্যক্তি ইশারায় রুকুর করার ইচ্ছা পোষণ করবে, তখন যেন সে দাড়িয়ে ইশারা করে।এবং যখন সে ইশারায় সেজদা করার ইচ্ছা পোষণ করবে, তখন যেন সে বসে ইশারা করে।তবে সর্বাবস্থায় বসেই ইশারা করা উত্তম। (আল-জওহাতুন নায়্যিরাহ;১/১১৪)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১) প্রেগন্যান্ট অবস্থায় সলাতের ক্ষেত্র নড়াচড়া কষ্টকর হলে, বসা থেকে দাড়ানোর কোনো প্রয়োজন নাই। কোনো কিছুর সাথে ভড় দিয়ে উঠারও প্রয়োজন নাই, বরং বসে বসে ফরয সুন্নত ও নফল নামায পড়া যাবে।যদি চেয়ারে বসা থেকে উঠে দাড়ানো সহজ হয়, তাহলে দাড়িয়ে নামায শুরু করে তারপর চেয়ারে বসে ইশারায় রুকু সিজদা করা হবে। তারপর আবার দাড়ানো সম্ভব হলে দাড়িয়ে নামাযকে পড়া হবে,নতুবা এই চেয়ারে বসেই সম্পূর্ণ নামাযকে নামাযকে পড়া হবে ও সমাপ্ত করা হবে।
২) জ্বী, ফরজ সলাত স্বাভাবিকভাবে পড়ে, ওয়াজিব,সুন্নাত ও অন্যান্য সলাতগুলো চেয়ারে বসে পড়া যাবে প্রেগন্যান্সির সময়। এমনকি ফরয নামাযকেও পড়া যাবে।
৩) সলাতে থুতনির উপরি অংশ ও পায়ের পাতা ঢাকা ফরয নয়।কেননা এগুলো সতরের অন্তর্ভুক্ত নয়।