আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
247 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (82 points)
edited by
১।আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। কোন স্বামী স্ত্রী আগে জানত না বউকে বোন ডাকলে বা স্বামীকে ভাই ডাকলে সমস্যা হতে পারে যে সেটা।ধরেন কোন স্ত্রী তার স্বামীকে রাগ করে বলল তুই আমার ধর্মত ভাই।স্বামীও বলল ঠিক আছে বোন।পরে সব স্বাভাবিক হয়ে গেল।স্বামী ধরেন বলল কি বোন বলছ না তুমি আমার? তহ এভাবে ডাকলে কি কাপপারা দিতে হয়? অনেক হুজুরে বলে ইউটিউবে যদি বোনকে যেমন বিয়ে করা যায় না ওই নিয়তে ডাকলে কাপপারা দিতে হবে। কিন্তুু পরে মানে আগে জানত না ৭-৮ মাস পরে স্বামীকে জিগ্যেস করলে স্বামী বলে ১০০ বার বউ ডাকছি যে বোন কেন ডাকব? স্বামীর মনে নাই যে সেখানে নিয়ত কি ছিল কেমনে বলবে? তহ এতে কি কাপপারা দিতে হবে? ওরা আগে জানত না।এখন আর ডাকবে না।ওরা একসাথে সংসার করলে কি সমস্যা হবে?আপনি  এরকম কয়েকটা প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন সমস্যা হবে না তবে আর ভবিষ্যৎ এ না বলতে, অন্যজনের প্রশ্নের উত্তরে।আমি করি নি প্রশ্ন।

২।ধরেন কোন মেয়ের বিয়ে তার পরিবারে মেনে নেয় নি।সে মাকে বলল আপনারা যেরকম বলেন সেরকম করব।মা বলে এতটুকুতে চলে আয়, ভুলে যা বা সাফ হয়ে যা, সে বলে ঠিক আছে।কিছুক্ষণ পর মানে একটু পর মেয়েটা ওয়াশরুমে যাওয়ার সময় নাকি ওয়াশরুম  থেকে আসে কি ভাবতে ভাবতে এসে বলে কিন্তু যার সাথে বিয়ে দিবেন তাকে আমার অতীতের  মানে আগের বিয়ের কথা বলবেন।মানে এখনের বিয়েটা আর কি।এমনটা বলেছে ধরেন।মেয়েটাকে তার স্বামী তালাকের পাওয়ার দিছে।কিন্তুু সে নিজেকে তালাক দেয় নি।কথা গুলো বলেছে ঠিক কিন্তু তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে সে না না করত।মানে নিজের দিকে ইন্গিত করত না।সে জানত না মেয়েরাও কেনায়া শব্দ দ্বারা তালাক দিতে পারে নিজেকে সেটা।কথা গুলো বললেও পরে মানে  ঐদিন পরে তালাকের কথা চিন্তায় আসলে সে না না করত।ভাবত আগে বাবার সাথে কথা বলবে পরে ডিসিশন নিবে।সে  তখন খুবই ডিপ্রেশনে ছিল।কেনায়া শব্দ নতুন শুনেছিল।সে ভয়ে ছিল কোন এরকম স্বামী বলেছিল কিনা ভেবে ভেবে টেনশন করত কাদত।কি করবে বুঝতে পারতেছিল না।মেয়েটা মাকে কথা গুলো বললেও হয়ত নিজের দিকে  ইন্গিত করে বলত না।সে জানত না মনে হয় তখন মেয়েরাও কেনায়া শব্দ দ্বারা নিজেদের তালাক দিতে পারে যে সেটা তাই কথা গুলো আগে বললেও পরে যখন তালাকের চিন্তা আসে তখন না না করত।মানে কেনায়া তালাকের কথা না স্প্ষ্ট তালাকের কথা চিন্তায় আসলে না না করত মানে দিত না।।হয়ত ভাবত পরে ডিসিশন নিবে কি করবে বা পরে দিবে ডিভোর্স। মানে পরে দিলে দিবে এটা ভাবত তখন ঐ মুহুর্তে না।মানে সে ভাবত আগে বাবার সাথে কথা বলবে।কিন্তুু  পরের দিন বাবার সাথে কথা বলার সময় সে বলেছে বাবা আমি স্বামীর সাথে থাকতে চায়।সে কথা গুলো যখন মাকে বলেছিল তখন ভয়ে ছিল কোন স্বামীীর কোন কথা দ্বারা তালাক হয়েছিল কিনা এসব ভেবে।তাই মাকে ঐরকম বলেছিল।কিন্তুু সে মন থেকে স্বামীকে চায়ত।তাই সে তালাকের চিন্তা আসলে না না করত।বলতে পারেন সিদ্ধান্ত হিনতায় ছিল যখন  মায়ের সাথে কথা বলেছিল তখন।সে এখন স্বামীর সাথে থাকতে চায়।উপরের কথা দ্বারা কি কোন তালাক হবে? সে খুব চিন্তায়। সে স্বামীর সাথে থাকতে চায়।সে মাকে কথা গুলো বললেও নিজের দিকে ইন্গিত করে বলে নি মনে হয়।সে ভাবতেছিল মা বাবা যা বলে করবে কিন্তু নিজেকে তালাক দেয় নি  মনে আসলে ওয়াসওয়াসা তখন সহ না না করত।

৩।শায়খ ২ নং প্রশ্নটা কি বুঝেছেন নাকি আবার লিখব?

৪।২ নং প্রশ্নটা যদি আমার হয় এভাবে প্রশ্ন করার কারনে কি আমার বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে পাওয়ার দিলে স্বামী?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
https://ifatwa.info/45382/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
স্ত্রীকে বোন ডাকা উচিৎ নয়। হাদিসে রাসূল (সা.) এমনটি করতে নিষেধ করেছেন।

হাদিস শরিফে এসেছে,

عَنْ أَبِي تَمِيمَةَ الْهُجَيْمِيِّ، أَنَّ رَجُلًا قَالَ لِامْرَأَتِهِ: يَا أُخَيَّةُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أُخْتُكَ هِيَ؟، فَكَرِهَ ذَلِكَ وَنَهَى عَنْهُ

‘আবু তামীমাহ আল হুজাইমী (রা.) সূত্রে বর্ণিত। এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বললো, হে আমার বোন? রাসূল (সা.) বললেন, সে কি তোমার বোন? তিনি তার এরূপ সম্বোধনকে অপছন্দ করলেন এবং এরূপ করতে নিষেধ করলেন।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২২১০]

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যা হবেনা।
তারা আগের মতোই স্বামী স্ত্রী হিসেবে আছে।
তবে ভবিষ্যতে আর এহেন ভাই/বোন বলে সম্বোধন করবেনা।     

(০২)
এতে তালাক হবেনা। 
সুতরাং এই মহিলার বৈবাহিক সম্পর্ক এখনো এই  স্বামীর সাথেই বহাল রয়েছে।

(০৩)
হ্যাঁ, বুঝেছি।

(০৪)
না,এভাবে প্রশ্ন করায় আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবেনা।
যদিও আপনার স্বামী আপনাকে তালাকের ক্ষমতা দিক,তবুও এভাবে প্রশ্ন করায় আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...