আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
100 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ

প্রশ্ন ১: এমন ব্যায়াম করা যাবে যে ব্যায়াম করলে স্তনের size কমবে?উল্লেখ্য যে কোনো রোগ নেই এমনেই  যদি কেউ করে তাহলে জায়েজ হবে?

প্রশ্ন ২:রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন ,"তিনি  ঈশার নামাজের পর কথা বলা পছন্দ করতেন না বরং তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাওয়া পছন্দ করতেন "  আমি iom এ পড়ি। যেখানে ক্লাস শেষ হয় ১১:০০ বা ১১:১৫ টায়। এখন আমার জন্য কোনটা করা উত্তম হবে ক্লাস না ঘুমানো?আমি তাহাজ্জুদ এ উঠি আবার সকালেও তাড়াতাড়ি উঠি ঘুম না হলে সমস্যা হয় (যদিও আমি বেশিরভাগ ক্লাস সকালে recorded class দেখি)

1 Answer

0 votes
by (561,150 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
এতে যদি শরীরের ক্ষতি না হয়,সেক্ষেত্রে জায়েজ আছে। 

প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে এতে কোনো রোগ নেই, সুতরাং বিষয়টি এমনই হলে এমন ব্যায়াম করা যাবে।

(০২)
ঈশার নামাজের পর দুনিয়াবি (অনার্থক) কাজ বা (অনার্থক) কথাবার্তা বলা মাকরুহ।
তবে জরুরী কাজ বা কথা হলে কোনো সমস্যা নেই।    (ফাতাওয়ায়ে শামী (১/৩৪১)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

 حَدَّثَنَا جَرِيرٌ ، عَنْ مَنْصُورٍ ، عَنْ خَيْثَمَةَ ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ قَوْمِهِ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " لَا سَمَرَ بَعْدَ الصَّلَاةِ

অর্থাৎ ঈশার নামাজের পর কথা বলা যাবেনা (মুসনাদ আহমদ হাদীস নং ৩৬০৩)

,
হজরত আয়েশা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, আমি রাসুল (সা.)-কে কখনো এশার আগে ঘুমাতে এবং এশার পর গল্পগুজব করতে দেখিনি। এশার পর হয়তো জিকিরে মশগুল থাকতেন, এতে তো কেবল লাভই, নচেৎ ঘুমিয়ে পড়তেন, এর দ্বারা সব অপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে মুক্ত থাকা যায়। আয়েশা (রা.) বলেন, তিন ধরনের মানুষের জন্য রাত জাগার অনুমতি রয়েছে : বিয়ের রাতে নবদম্পতি, মুসাফির ও নফল নামাজ আদায়কারী। (মুসনাদে আবি ইয়ালা, হা. : ৪৮৭৯)
 
হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছেঃ নবী করীম (সাঃ) বলেছেন এশার নামাজের পূর্বে ঘুমানো এবং এশার নামাজের পর অপ্রয়োজনীয় অহেতুক গল্প গুজব করতে অপছন্দ করতেন (সহিহ বুখারি হাদিস নাম্বারঃ ৫১৪)

বিস্তারিত জানুনঃ-

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
অনেক ছাত্র/ছাত্রীদের ব্যস্ততার দিক লক্ষ্য করে ক্লাশ রাতে দেয়া হয়েছে।
এটি জায়েজ,এটি হাদীসের নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত হবেনা।

আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মনে হলে আপনার জন্য তারাতাড়ি ঘুমিয়ে যাওয়াই ভালো হবে,সেক্ষেত্রে সকালে recorded class দেখে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...