বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/48500/ নং ফাতাওয়ায় বলেছি
যে,
নামাযের মধ্যে পঠিত
সূরার সমূহের ধারাবাহিকতা (কুরআনে বিদ্যমান বিন্যাস) রক্ষা করা ওয়াজিব। তবে কোনো কারণে
যদি উক্ত ওয়াজিব তরক হয়ে যায় তবে সেজাদায়ে সাহু আসবে না, এবং নামাযকে দোহরাতেও
হবে না। বরং নামায আদায় হয়ে যাবে। (কিতাবুল ফাতাওয়া-২/২০৩)
ইচ্ছাকৃতভাবে ধারাবাহিকতা
রক্ষা না করে ক্বেরাত পড়া মাকরুহ। তবে অনিচ্ছায় হলে মাকরুহ হবে না।
□
সেজদায়ে
সাহু আবশ্যক হয় ৬ কারণে। যথা-
১) কোন রুকন আগে করে ফেলা।
২) কোন রুকনকে আপন সময় বা স্থান থেকে দেরী করে ফেলা।
৩) কোন রুকনকে তাকরার তথা বারংবার আদায় করা।
৪) কোন ওয়াজিবকে পরিবর্তন করে ফেলা। যেমন জোরে পড়া বিষয়কে আস্তে পড়া।
৫) কোন ওয়াজিবকে ছেড়ে দেয়া।
৬) এমন কোন সুন্নতকে ছেড়ে দেয়া যা পুরো নামাযের দিকে সম্বোধিত। যেমন প্রথম
বৈঠকে তাশাহুদ ছেড়ে দেয়া
أنه يجب بستة أشياء:
بتقديم ركن، وبتأخير ركن، وتكرار ركن، وبتغيير واجب، وبترك واجب، وبترك سنّة تضاف
إلى جميع الصلاة (المحيط البرهانى، كتاب الصلاة، الفصل السابع فى سجود
السهو-1/501)
মর্থার্থ: ছয় কারণে সেজাদায়ে সাহু ওয়াজিব হয়।
যথা: ১) কোন রুকন আগে করে ফেলা, ২) কোন
রুকনকে আপন সময় বা স্থান থেকে দেরী করে ফেলা। ৩) কোন রুকনকে তাকরার তথা বারংবার
আদায় করা। ৪) কোন ওয়াজিবকে পরিবর্তন করে ফেলা। যেমন জোরে পড়া বিষয়কে আস্তে পড়া। ৫) কোন ওয়াজিবকে
ছেড়ে দেয়া। ৬) এমন কোন সুন্নতকে ছেড়ে দেয়া যা পুরো নামাযের দিকে সম্বোধিত। যেমন
প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ ছেড়ে দেয়া
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. (ক) এই হল ফরয
নামাযে ধারাবাহিকতা রক্ষা করার বিধান। তবে নফল নামাযে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা জরুরী
কোনো বিষয় নয়।
(খ) উক্ত
ধারাবাহিকতা বলতে এ রকম নয় যে, সূরা ফীল পড়লে পরের রাকাতে তাকে সূরা কুরাইশই পড়তে
হবে। বরং ধারাবাহিকতা বলতে বুঝায় কুরআনুল কারীমে যেই সূরা আগে আছে সেটাকে আগের রাকাতে তেলাওয়াত করা। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে প্রথম
রাকাতে সূরা ফীল তেলাওয়াত করলে পরের রাকাতে সূরা ইখলাস পড়া যাবে। এতে কোনো সমস্যা নেই।
২. নফল নামাজ পড়া
শুরু করলে তা শেষ করা ওয়াজিব হয়ে যায়। আর যদি কোনো কারণ বশত ভেঙ্গে ফেলা হয় তাহলে তার
কাযা করা ওয়াজিব হয়ে যায়। তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উক্ত নামাজটা কাযা করে নিবেন।
৩. বিতর নামাজে
দুআ কুনুত পড়া ওয়াজিব। তাই তা ভুলে ছেড়ে দিলে সাহু সেজদা ওয়াজিব হয়। সাহু সেজদা
দিলে নামাজটা সঠিক ও সহীহ হয়ে যাবে। আর যদি সাহু সেজদা না দিয়েই নামাজ শেষ করে
থাকেন তাহলে যেহেতু ওয়াজিব ছুটে গিয়েছে তাই পরবর্তীতে ঐ বিতরের নামাজ কাযা পড়ে
নেওয়া ওয়াজিব। সুতরাং এমন করে থাকলে ঐ নামাজ আবার পড়া লাগবে।