আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
326 views
in সালাত(Prayer) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম,আমার জানা মতে ফজরের সালাত আদায়ের পর সেই স্থান এ বসে যিকির,তাজবীহ পাঠ করে সালাতুত দুহা(ইশরাক) সালাতের ওয়াক্ত শুরু হলে ২রাকাত সালাত আদায় করলে কবুল হজ্জ এর সাওয়াব পাওয়া যায়,
আমার প্রশ্ন যদি কোনো কারনে ফজর সালাত এর পর উক্ত স্থান থেকে উঠে, তাহলে কি কবুল হজ্জ এর সাওয়াবটি পাবো নাকি উক্ত স্থান এ বসে থাকতেই হবে নামাজ শেষ না করা পর্যন্ত?

আর যেহেতু হাদিসে উল্লেখ আছে মসজিদে জামায়াত এর সাথে সালাত আদায় করলে এই সাওয়াব পাওয়া যাবে,মহিলাদের তো মসজিদের যাওয়ার বা জামায়াত এ আদায়।করার সুযোগ নেই,
বাড়িতে ইশরাক এর সালাত আদায় করলে কি উক্ত সাওয়াব পাওয়া যাবে?

1 Answer

+1 vote
by (61,230 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

সালাতুল ইশরাক অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ সালাত। এ মর্মে হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

مَنْ صَلَّى الْغَدَاةَ فِي جَمَاعَةٍ ، ثُمَّ قَعَدَ يَذْكُرُ اللَّهَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ ، كَانَتْ لَهُ كَأَجْرِ حَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ

*“যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামাআতে পড়ে, অতঃপর সূর্যোদয় অবধি বসে আল্লাহর যিকির করে তারপর দুই রাকআত নামায পড়ে, সেই ব্যক্তির একটি হজ্জ ও উমরার সওয়াব লাভ হয়।”*

বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহর রসূল (সাঃ) বললেন, “পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণ।” অর্থাৎ কোন অসম্পূর্ণ হজ্জ-উমরার সওয়াব নয় বরং পূর্ণ হজ্জ-উমরার সওয়াব। (তিরমিযী, সুনান, সহিহ তারগিব- ৪৬১)

হাদীসে এসেছে-

«إذا مرضَ العبدُ أو سافر، كُتب له مثل ما كان يعمل، مقيماً صحيحا»

বান্দা অসুস্থ হলে বা সফর করলে (তার আমলনামায়) ঐ সওয়াব লেখা হবে সুস্থ ও অবাস অবস্থায় যে সওয়াব লেখা হত।”(সহীহুল জামে-৭৯৯)

 প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

১. একান্ত জরুরি প্রয়োজনে যদি কাউকে উঠতে হয় (যেমন, টয়লেটে যাওয়ার প্রয়োজন) আর প্রয়োজন সেরে পূণরায় এসে সালাতের স্থানে বসে দুআ, যিকির, কুরআন তিলাওয়াতে মশগুল হয় তারপর সূর্য এক ধনুক পরিমান উদিত হওয়ার পর দু রাকাআত সালাত আদায় করে তাহলে ইনশাআল্লাহ সওয়াবের ক্ষেত্রে বত্যয় ঘটবে না। অনুরূপভাবে অসুস্থ জনিত কারণে যদি যদি নামাযের স্থানে বসে থাকা সম্ভব না হয় তাহলেও নিয়তের কারণে পূর্ণ সওয়াব অর্জন করবে ইনশাআল্লাহ।

কেউ যদি একান্ত অপরিহার্য কাজ ছাড়া ঘর-সংসার, বা অন্য দুনিয়াবী কাজে লিপ্ত হয়ে যায় আর কাজ সেরে এসে দু রাকাআত সালাত আদায় করে তাহলে উক্ত হাদীসে বর্ণিত সওয়াব থেকে বঞ্চিত হবে। কিন্তু সাধারণ নফল ইবাদত হিসেবে সওয়াব পাবে ইনশাআল্লাহ।

২. জ্বী! নারীরা বাড়িতে ইশরাক এর সালাত আদায় করলে উক্ত সাওয়াব পাবেন ইনশাআল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...