বিয়ের প্রপোজাল সংক্রান্ত

Question

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ, সম্মানিত উস্তাদ

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বোন আলহামদুলিল্লাহ দ্বীন চর্চা  করে অনেক বছর যাবৎ।মেয়েরা যতটা দ্বীন চর্চা করে ছেলে তেমন পাওয়া যায় না।কুফু মিলানোর চেষ্টায় ব্যর্থ। অন্যদিকে মাদ্রাসা ব্যকগ্রাউন্ড পাত্র দেখা যায় জেনারেল লাইনের মেয়েদের পাত্রী নির্বাচনে অনাগ্রহ। (আবার মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে পরিবার বলে তাদের চরিত্র নাকি খারাপ থাকে, আল্লহু আ'লম! বিভিন্ন নিউজফিডের বিচ্ছিন্ন ঘটনায়)পারিবারিকভাবেই এই ব্যাপারে অনেকটা যুদ্ধ করে চলছে বিয়ের প্রপোজাল এর ক্ষেত্রে (যেহেতু মেয়ের পরিবার অতটা দ্বীন প্র‍্যাক্টিস করে না মেয়ের মত)অন্যদিকে এভাবে দ্বীনদার পাত্র খুজতে খুজতে বয়সও বেড়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে পরিবার মেয়ের পাত্র খোজার দায়িত্ব মেয়ের উপর ই  ছেড়ে দেয়,এজন্য মেয়েকে ওয়েবসাইটগুলো খুজে বায়ো প্রপোজাল পাঠাতে হচ্ছে মেইলে অনেকটা অপারগ হয়ে, গায়রতেও খুব লাগছে।(মেয়ে চায় নি অনলাইনে বায়ো খুলে নিজের বায়ো এভাবে প্রকাশ করতে, অনেকটা অনিচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে বায়ো খুলেছে,যেহেতু (অনলাইনে উচ্চতা, কালার, ওয়েট সব  বাহি্যক এপিয়ারেন্স দিতে হয়) ওয়েবসাইটের অল্প কিছু প্রশ্নে বুঝা যায় না ছেলের দ্বীনের হালত। মেয়ের মাহরাম সত্ত্বেও সাহায্যর কেউ নাই যেহেতু তাদের মতে কাগজে কলমে দ্বীনদার থাকে, বাস্তবে নাই।এক্ষেত্রে মেয়ে যদি ইমেইল এ প্রশ্ন করে দ্বীনের হালত বুঝার জন্য? এতে কি গুনাহ হবে?যদি গুনাহ হয়, এমন সাহায্য পাওয়ার জন্য কি ইসলামীক মাধ্যম আছে? অন্যদিকে অনলাইনে জগতে একজন মানুষ কতটা সত্যবাদী থাকে সেটাও ভয়ের বিষয়, সত্যি কি অনলাইন ওয়েবসাইট এ দ্বীনদার পাওয়া যায় না?

#আফওয়ান৷ অনেক কিছু লিখেছি, অনুগ্রহ করে উত্তরের সাথে উপর্যুক্ত নসীহা দিলে খুব উপকার হবে শায়েখ।

Answer 1

জবাবঃ-

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 

بسم الله الرحمن الرحيم

বিবাহের ক্ষেত্রে রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেন।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

 

وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!

(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)

কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 

রাসুলুল্লাহ সাঃ ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিতে বলেছেন।

,

প্রশ্নে উল্লেখিত বোনের মাহরাম থাকা সত্ত্বেও তার জন্য এভাবে বিবাহের পাত্র খোজার মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব একা নিজের কাধে নেয়া ঠিক হয়নি।

উত্তম হবে,এই দায়িত্ব তার বাবা বা অন্য কোনো অভিভাবকের হাতে দিয়ে দেয়ার।

যদি অপারগ হয়ে তাকেই  এভাবে অনলাইনে পাত্র খুজতে হয়,তাহলে প্রয়োজনে ফিতনার আশংকা না থাকলে দ্বীনের হালত জানার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশ্ন করার অনুমতি থাকবে।

তবে অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন করবেনা।

অনার্থক প্রশ্ন করবেনা।

পাত্রের দ্বীনদারী বুঝার জন্য সহজ পদ্ধতি হলো, তার একমুষ্ঠি দাড়ি আছে কিনা,জেনে নিয়ে সে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে কিনা,জেনে নিবে।

তার পরিবারে পর্দার পরিবেশ আছে কিনা,জেনে নিবে।